ক্ষুধার্ত
ক্ষুধার্ত যে
ক্ষুধার জ্বালায় ভুলে আত্মার সম্বোধন
ভাল কি বা মন্দ জানা নেই
বুভুক্ষু উদরের কাছে নত সকল মহত্ত্ব
মানুষ বলে, ওই দেখ বেটা বদমাশের সরফরাজ
নির্লজ্জ
চুরিও জানে না আস্ত একটা গাধার শিষ্য
চুরি করেছে কী–ত্যাক্ত একটা অখাদ্যরুটি
খেতে পারে নি এটুকু, খেয়েছে দোকানি বেটার মার যত–
বেদমপ্রহার!
লাথিচড়!
অর্ধচন্দ্র!
এতটুকু আহারের জন্যে কতটুকু লাঞ্ছিত মানুষ–
অত্যাচারিতগণ–দীনদৈন্য বাতুল যারা
হতে পারে মানুষের দুশমন
তবে বিধাতার আপন
একদিন তারাই ওই প্রাসাদের মালিক
তখন পীড়ক কে? সেই প্রাসাদের চাকর।
আফসোস!
ভাগ্যবিড়ম্বনায়–
চাপরাশি সেদিন–হবে ভিখারি
দ্বারে দ্বারে ফিরি একমুঠো চায় খাবে লাথিঝাঁটা
ক্ষুধাতুর দেহে রবে না একবিন্দু বল
অবল অবয়বে পাবে না স্বস্তি
তখন বুঝবে তারা ক্ষুধাযন্ত্রণা কী!
বিধির তুলাদণ্ড বরাবর–
যে যত করে সে তত ভরে
আজ যারা পীড়িত মজলুম ক্ষুধার্ত
কাল তারা বাদশা–শাহিতক্তের মালিক
ভুলে কেন যায় উৎপীড়ক জগন্নাথেরা।
২৪ শ্রাবণ, ১৪১৮–
ডি সি রোড, চট্টগ্রাম।