Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

ভুতের গলির সেই ভূত কি ফিরে এলো ????

: | : ১৮/১১/২০১৩

দ্বিতীয় পর্বের শুরু এখান থেকে

কাল রাশেদ এর বিয়ে।তার বিল্ডিং এর চারিদিকে করা হয়েছে আলোকসজ্জা ।রাশেদ এর যত খালাত চাচাত ভাইবোন সবাই চলে এসেছে বিয়ে উপলক্ষে।পুরা বিল্ডিং এর সিড়িতে করা হয়েছে আলপনা।সাতদিন ধরে তার সব ভাইবোন রা যতধরনের শপিং ছেলেমেয়ের সব করছে। খরচের বহূলাংশ এর দায়িত্বভার নিয়েছে রাশেদ এর এক চাচা।নাহলে এই বড় খরচ টানতে গিয়ে রাশেদ এর খবর হয়ে যেত। তারপর ও কম যাচ্ছেনা।অফিস থেকে লোন নিয়েছে পাচ লাখ টাকা যেটা তার মাসিক বেতন থেকে কাটা যাবে।

এসব হলুদ এর ঝামেলায় যাওয়ার দরকার ছিল।বিরক্ত হয়ে সে ভাবে।এত খরচ । ভাই বোনদের সবার আবদার হলুদ হতেই হবে।কালকে হয়েছিল তার হলুদ। আর আজকে শেষ হল তার হলুদ।সব ভাইবোনরা রাশেদ এর রুম এ বসে দেখছে মেয়ের বাড়ী থেকে আসা বিয়ের সব সরন্জাম।চারিদিকে বিভিন্ন টিকাটিপ্পনী শুনছে রাশেদ।

ছি ছি এই ডিজাইন এর শেরওয়ানী এখন কেও পরে নাকি? রাশেদ তোর বউরা তো মনে হচ্ছে খ্যাত হবে। তার এক খালাত বোন ফোড়ন কেটে রাশেদ এর উদ্দ্শ্যে বলল রাশেদকে খেপানোর উদ্দেশ্যে।

রাশেদ ও সমান তালে জবাব দেয় ।আমার বউ খ্যাত আমি বুঝব তোর মাথা ঘামানোর দরকার নাই।তুই তোর কাজ কর মাথামোটা ।প্যাকেট সুন্দর করে যদি না করিস কোন গিফট তো দিবনা উল্টা আমার চটকনা খাবি।

রাশেদ এর মা রুম এ এসে সবাইকে বের করে দিল। ছেলেটারে ঘুমাইতে দে।

খালাত বোনটি আবার ফাজলামী করে বলে বসে খালা তোমার কপালে কিন্তু দঃুখ আছে তোমার ছেলে এখনি বউয়ের পোষা বেড়াল হয়ে গেছে। আমারে যে ধমক দিল বউয়ের রূচি খারাপ বলাতে।

মাও বলে তোরে থাপ্পড় মারা উচিত তুই আমার লক্ষী বউ এর বদনাম করিস।

তোমার সর্বনাশ আর ঠেকায় কে পরে বউ উঠতে বসতে যখন ঠেঙ্গাবে তখন বুঝবা।খালাত বোন হাসতে হাসতে ঘর থেকে বের হয়ে যায় এই কথা বলে।

রাশেদ এর মা সবাইকে রুম থেকে সরিয়ে নিয়ে আসলেন।ছেলের রূমে পানি বিস্কুট আপেল রেখে দিলেন ফোন দিয়ে দিলেন যদিও বললেন

আজকে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যা বাবা বলে দরজা ভেজিয়ে দিয়ে গেলেন ।যাওয়ার আগে আজকের ডাকে আসা দুটা চিঠি দিয়ে গেলেন।

আজকে রেহনুমাকে ফোন করতে পারেনি। পাজিল ভাইবোনগুলার যন্ত্রনায় ফোন করার সুযোগ পায়নি। ফোন এর নাম্বার ঘুরাতে ঘূরাত চিঠি খুলে প্রেরকের নাম দেখে তার হাত পা কাপতে লাগল বুক ধড়াস ধড়াস করতে লাগল।

রেশমি এতদিন পরে সঙ্গে আনুশকার একটা ফুল আকা চিঠি। উত্তেজনায় রাশেদ উঠে বসল বিছানায় ফোনের ওইপ্রান্তে রেহনুমা হ্যালো হ্যালো করে যাচ্ছে তার কানে যাচ্ছেনা।

রেশমির বিরাট চিঠি । তার হাসবেন্ড এর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে।অষ্ট্রেলিয়াতে সেটল করেছে।ফোনে বিয়ে করবে।নুতুন জব ছেড়ে এখন আসতে পারবেনা। ইমিগ্রেশন এর ফর্ম সঙ্গে দিয়ে দিয়ছে।

সে লিখেছে আগের চিঠিতে তো সব পড়েছ।

আগের চিঠি তো রাশেদ খুলে দেখেনি।

আহ এ কি হয়ে গেল।

এখন আর কিভাবে সম্ভব কালকে আমার বিয়ে। সবচেয়ে বড় কথা রেহনুমার ভাগ্য এখন তার সাথে জড়িয়ে গেছে। এখন আর তা সম্ভব না।

যখন মনে হল আনুশকাদের জন্য এই মূহূর্তে কিছু করা সম্ভবনা তখন একই সঙ্গে রেহনুমার জন্য যে ভালবাসা মনের মধ্যে জমছিল তা অনেকটাই হালকা হয়ে গেল। তার মনটা এখন একটু দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে গেল।

হায় হতাশভাবে সে বাহিরের দিকে তাকিয়ে রইল।

(পরবর্তীতে)

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top