ভুতের গলির সেই ভূত কি ফিরে এলো????
পূর্ব প্রকাশের পরে
নীল আর রনি চাচা মিলে আজকে সারাদিন ঘুরল কাটাবনের বস্তি ভূতের গলির আশেপাশে।নীলের জীবনে এ এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা রনি চচার সাথে পরিচয় হওয়া একসাথে কাজ করা। অসীম প্রানশক্তির অধিকারী রনি চাচা।ক্লান্তি বলে কোন জিনিস যেন ওনার মধ্যে নাই। নীল মাঝে মাঝে পানি খাচ্ছে জুস খাচ্ছে কোথাও বসার স্কোপ পেলে বসছে ওনার মধ্যে সেকেন্ডের জন্য রেষ্ট নেওয়ার চেষ্টাও দেখলনা। তারা ঘর থেকে বের হয়েছে সেই সকাল নয়টা এখন বজে প্রায় চারটা।এই বিরাট সময়ে ওনাকে একটু পানি ও খেতে দেখেনি নীল।
চাচা চলেন আমার বাসায় লাঞ্চ করে আবার বের হব অবশেষে নীল বলতে বাধ্য হল।
রনি চাচা ভীষন লজ্জা পেয়ে গেলেন।
ছি ছি কি ভীষন অন্যায় হয়ে গেল নীল।আমি অত্যন্ত দুঃখিত একেবারে ভূলে গিয়েছি তোমার কথা। আই অ্যম এপলোযাইস নীল। চল কোথাও লাঞ্চ সারা যাক।
তারা রেষ্টুরেন্ট এ ঢুকতে বাসা থেকে ফোন ।মা ফোন করেছে হসপিটাল থেকে ।বর্ষা মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ায় মা বাবা হসপিটালে এসেছে বর্ষাকে নিয়ে।
লাঞ্চ ফেলে দুজনে দৌড়ে আসল হসপিটালে।বর্ষার হাসিমুখ দেখে সে নিশ্চিত বোধ করল। বর্ষার চেহারাতে অন্যরকম সৌন্দয্য দেখতে পাচ্ছে।নীল মুগ্ধ হয়ে হাসি মুখে বর্ষাকে দেখতে লাগল। একটা চমৎকার মেয়ে বর্ষা।কোন অভিযোগ নাই কোন চাহিদা নাই সাধারন মেয়েদের মত।নীল তাকে নিয়ে কোথাও তেমন বের হয়না।এমনকি হানিমুনে তাদের কোথাও যাওয়া হয়নি। কোন কমপ্লেইন নাই।নীল অনেক সুখী বর্ষাকে পেয়ে।
মাবাবা দুজনে হাসিমুখে এগিয়ে এলেন। বাবা হাসিমুখে মিষ্টি খাইয়ে দিলেন রনি চাচাকে মা এসে খাইয়ে দিলেন তাকে।
ব্যাপার কি নীল ব্যস্তভাবে জিজ্ঞাসা করল।
বর্ষা লজ্জায় মুখ ফিরিয়ে রাখল। রনি চাচা কাধ চাপড়ে দিলেন তার।
কনগ্রাচুলেশান সম্ভবত আমি দাদা হচ্ছি আর তুমি বাবা হচ্ছ।
লজ্জা আর খুশীতে নীলের মুখটা দেখার মত হল।
কিছু সময় গল্প আর আনন্দে কেটে গেল ।
বিদায় নিয়ে বের হতে নীল রনিকে কালকে র শিডিউল মনে করিয়ে দিল।
হেসে রনি কাধ চাপড়ে আশ্বস্ত করল।
নীল এখন তোমার কাজ হল এখন স্ত্রীর সাথে সবসময় থাকা। সে এখন দেশের একজন রিপ্রেজেনটেটিভ। এটা হবে দেশের কাজ করার মত। হেসে পিঠ চাপড়ে দিয়ে চলে গেলেন তিনি।
সবাই চলে গেল কামরা থেকে। বর্ষা লজ্জায় মুখ ফিরিয়ে রেখেছে।
বাবা কি ব্যাপার সব কান্ডকারখানা করে ফেলেছে প্রথম মাসে বাচ্চার বাবা বানিয়ে দিয়ে কিসের এত লজ্জা। দেখি দেখি আমার লজ্জাবতী বউ এর মুখ দেখি বর্ষার মুখটা তার দিকে ফেরানোর চেষ্টা করল।
রাগে লজ্জায় নীলের পিঠে কিল বসিয়ে দিল বর্ষা।
বউ এর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে ভাবল ইস একটা ভূল হয়ে গেছে তার। তার এই লক্ষী বউটাকে এখন পর্যন্ত তেমন কোন চমৎকার গিফট দেওয়া হয়নি।
মনে মনে নীল পরিকল্পনা করতে থাকে কিভাবে বা কি গিফট দিলে বর্ষা সবচেয়ে খুশী হবে।কিছুই সে বের করতে পারলনা।
অবশেষে সিদ্বান্ত নিল সুন্দরবন যাবে হানিমুনের অংশ হিসাবে।
(পরবর্তীতে)