Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

ভুতের গলির সেই ভূত কি ফিরে এলো??

: | : ২০/১১/২০১৩

পূর্ব প্রকাশের পর

মুক্ত কর ভয়

আপনা মাঝে

দূরহ কাজে

নিজেরে কর জয়।

আ আ আ আ

দূর্বলেরে রক্ষা কর

দূর্জনেরে হান

নিজেরে কভু নিসঃহায়

ভেবনা কভু যেন।

মিজান এই প্রথম বারের মত অফিসে অনটাইম পৌছল।তার রুমে দরজা খুলে ঢুকতে গিয়ে থমকে দাড়াল।

কেও একজন বেমানান সুরে বেমানান গলায় ব্যকূল ভাবে রবীন্দ্রনাথের সুন্দর গানটি গেয়ে যাচ্ছে।তাকাতে রুখসানা ম্যাডামকে দেখতে পেল।তার রুমের মুখামুখি রূখসানা ম্যাডামের রূম।

হেতির আইজকে হইছে কি?(মনে মনে নোয়াখালীর অ্যাকসেন্টে মিজান নিজের সাথে কথা বলে।)একেবারে আপ মূডে আছেন মনে হচ্ছে।ভাগ্যিস রবি স্যার পৃথিবীতে বাইচা নাই।নাহলে বিশাল দুইটা ঠাল্লা এখন খাইতা বিকৃত সুরে কর্কশ গলায় এই গান গাওয়ার জন্য।

সাজ দেখ্ বুড়ী বেটির। মনে মনে মিজান রুখসানা ম্যাডামের ঘুষ্ঠি উদ্ধার করতে করতে রুমে ঢুকল। কেননা কালকেও তাদের বিশাল কথাকাটাকাটি হয়েছে।

যাক আজকে মিজানরে খেয়াল করেনি এখনও।

আহা গাইতে থাক যত পার কর্কশ রবীন্দ্রসংগীত।আমারে বদার না করলে হল।

রুমে ঢুকে ফাইল পত্র রেডী করতে করতে ডোরে নক। এই সময় কে ভাবতে ভাবতে বলল কাম ইন।

ঘরে ঢুকল অডিট অফিসার ।এই ছেলেটাকে মিজানের খুব পছন্দ।রুখসানা ম্যাডামকে যেমন সবচেয়ে অপছন্দ তেমনি এই ছেলেটাকে সবচেয়ে পছন্দ।সবসময়ে হাসিমুখে থাকে। নাম তার আহসান হাবিব ডাক নাম সুমন।মিজান তাকে আদর করে সুমন নামে ডাকে এবং সেও মিজানকে মিজান সাহেব না বলে মিজান ভাই বলে ডাকে।যদিও অফিস এর ডেকোরাম হচ্ছে জুনিয়ার রা সিনিয়ারদের স্যার বলে ডাকবে আর সিনিয়ার রা জুনিয়ারদেরকে সাহেব বলে ডাকতে হবে।কিন্তু দুজনে এই ডেকোরাম অনুসরন করছেনা।

কি মিজান ভাই কি খবর? আজকে ত ঠিক সময়ে ইন।নিশ্চয় ভাবী সব গুছায়ে এনে দিয়েছে। বলল আহসান হেসে।

হ্যা সুমন ভাবছি এখানে বাসা ভাড়া নিব।কিরকম ভাড়া হবে?ওয়াইফ সহ এফোর্ড করা যাবে সুমন জিজ্ঞাসা করে মিজান।

এটা টূরিষ্ট স্পট তো কক্সবাজার ভাল কম ভাড়ায় বাসা পাবেন না মিজান ভাই ।একটা কাজ করেন না আমার বাসায় উঠবেন।আমার বাসা পরের মাস থেকে তালা মারা থাকবে। আপনার ঢাকায় বদলী না হওয়া পর্যন্ত নুতুন বাসা ভাড়া না করে আমার বাসায় থাকেন।বাসায় সবকিছুই আছে।

তুমি কোথয় থাকবে? অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে মিজান।

কেন আপনাদের সঙ্গে থাকতে দিবেন না হেসে সুমন জিজ্ঞাসা করে।তোমার মত মানুষ একসঙ্গে থাকলে কেও আপত্তি করবে নাকি?কিন্তু তোমার প্রাইভেসী?

আমি এখানে একমাসের জন্য আছি।নেক্সট পোষ্টিং আমার হবে বান্দরবন এরপরে শুনছি দেশের বাহিরে যাওয়া হতে পারে।কাজে কোন হেসিটেট করবেননা।নিজের বাসা মনে করেই থাকবেন।

দুপুরে লাঞ্চে কেয়া আসল।মিজান পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে বের হল একই কলেজ থেকে কেয়া সুমন গ্যাজুয়েশান করেছে।

তারা জোর করে সুমনকে বাসায় ধরে নিয়ে আসল ডিনার করার জন্য।বিশেষ করে কেয়াই বেশী জোর করল পূর্ব পরিচিত বলে।

সারা বিকাল হাসি ঠাট্রাতে কেটে গেল তাদের।তবে সময় সময় মিজানের মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল এই কথা মনে করে।

কেয়ার মত এত চমৎকার মেয়ে কেন যে তাকে পছন্দ করল বা বিয়ে করল।ও চাইলে কত চমৎকার ছেলে তো বিয়ে কেন যে তার মত এত সাধারন একজনকে কেয়া বিয়ে করল।

এই যে সুমনের চোখে মুঘধতা কেয়ার প্রতি।

ছি ছি পরক্ষনে সে লজ্জা পেয়ে গেল নিজের হীনমন্যতার পরিচয় পেয়ে।

আসলে এটা থেকে সে মনে হয় কখনও মুক্ত হতে পারবেনা। কেয়ার তুলনায় সে অত্যন্ত সাধারন একজন মানুষ।

মন একবার খারাপ হয়ে গেলে সহজে সে ভাল করতে পারেনা।কেয়া আর সুমন যদি তার মন খারাপ বুঝে ফেলে নিজেকে আড়াল করার জন্য কিছু গ্রোসারী আনার নাম করে সুমন আর কেয়াকে ঘরে রেখে বের হয়ে আসল।

কিছুক্ষন উদ্দ্যেশ্যহীনভাবে সমুদ্রের পাশে হাটল তারপর ক্লান্তদেহে আবার ঘরের দিকে রওয়ানা করল গ্রোসারীর কথা ভূলে গিয়ে।

(পরবর্তীতে)

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top