অপরিবর্তিত
রুপ এখন আর আমাকে কাছে টানে না,
নারীর বা প্রকৃতির;
ঘ্রান আর এখন আমার নাকে লাগে না,
ফুলের বা সুগন্ধির;
আমি পাই শুধু লাশের গন্ধ, বাতাসে শুধু লাসের গন্ধ ভাসে;
যে মহারাজা চেঙ্গিশ বানিয়েছিল খুলির পিরামিড, সে ভয়ানক ত্রাসে
কেঁপে উঠে দেহ; আবার সেই ভয়ঙ্কর দানবেরা সবখানে হানা দিচ্ছে,
তন্ত্র-মন্ত্রের গাঁথাবুলি হৃদয়ে গেঁথে, আবৃত্তি করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমায় কাছে টানে শুধু পথে পড়ে থাকা কাটা লাশ,
ভয়ার্ত আর্তনাদে জনতার বিশ্বাস
জ্বলতে থাকে লাশের সাথে,
অভিনয় করে যায় দানবেরা পুরানো দানবের বেশে
নব পিরামিডের আশায় দানবের হাসি হেসে
ভাবে পিরামিড হবে এবার রক্তে।
পাথর থেকে মাথার খুলি,
মানুষ থেকে পশু বলি,
রক্তের তৃষ্ণা যায় না ঈশ্বরের।
অথবা মানুষের দানব প্রবৃত্তির কামনা বেড়ে যাচ্ছে দিনে দিনে,
যে ভাবেই হোক এ কামনা মিটাতে হবে
এই ভেবে রক্ত পান করে যাচ্ছে মানুষ মানুষের।
রাজা সেজে বশে আছে কেউ,
চুরি করে খেয়ে যাচ্ছে মানুষ
মানুষের ঘাম আর রক্তের দামে অর্জিত সম্পদ,
অভিমানে ভুলে গিয়ে আবার ঘাম ঝরিয়ে যাচ্ছে তারা
যারা এতদিন ঝরিয়েছে নিশিদিন।
আর দূর থেকে বাজিয়ে যাচ্ছে বাদক
রক্ত ও ঘাম ঝরানোর বীণ।
সহস্র বছরেও রাজাদের ভাবনার হয় নি পরিবর্তন,
এখনো তারা দস্যু পালে, এখনও তারা ক্ষমতার নেশায়
ভুলে আছে সব।
এখনো তাদের ছায়াতলে কোন পাপই পাপ নয়।
এখনো তাদের ছায়াতলে থাকা মানুষকে পায় সবে ভয়,
কানে বাজে দানবের রব।
চারদিক শুধু লাশ পড়ে আছে নিশ্চিহ্ন হতে ,
বাতাসে শুধু লাশের গন্ধ ভাসে নিশি-দিন-প্রভাতে।
গন্ধের সাথে উড়ে যাচ্ছে সব পড়ে শুধু কঙ্কাল,
সেই কঙ্কাল বেঁচে রাজা সেজে বয়ে যাবে কাল।
২১১১১৩, ঢাকা।