Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

ভুতের গলির সেই ভূত কি ফিরে এলো??

: | : ২৩/১১/২০১৩

পূর্ব প্রকাশের পর

অবশেষে রাশেদ তাই করল যেটা সংগত যেটা হওয়া উচিত। তার বিবেক তাকে যে পরামর্শ দিয়েছে রেশমীর ব্যাপারে সে তাই করল।রেশমীর পাঠানো ইমিগ্রেশান ফর্ম ছিড়ে ফেলল রেশমীর সেল নাম্বার ডিলিট করে ফেলল তার সেল থেকে ।

শেষবারের মত বলছি তোমাকে বিদায় বলে সে ফিসফিসিয়ে।আমাকে মাপ কর ।এটা করতে আমি অক্ষম।আর পাচ ছয় ঘন্টা পরে আরেকটা মেয়েকে বিয়ে করছি ।তার ভাল মন্দ আমার হাতে ।তার সুখ আমার মায়ের সুখ এখন আমার হাতে ।আমি স্বার্থপরের মত কিছু করতে পারিনা। মনে মনে সে বলে।

স্বার্থপর বা হবে কেন । আমি রেহনুমাকে ভালবাসি ।সে এক অসাধারন মেয়ে একজন চমৎকার মেয়ে।আমার ভাগ্য চমৎকার একটা মেয়ের সাথে আল্লাহ আমার ভাগ্য জুড়ে দিয়েছেন সে ভাবতে থাকে।

সে বার বার মনে মনে আবৃত্তি করল তার ব্রেইনকে মেসেজ দেওয়ার ভঙ্গিতে ।

আমি রেহনুমাকে ভালবাসি ।রেহনুমা আমি তোমাকে ভালবাসি ।আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি বলতে বলতে একপর্যায়ে বেশ অবসন্ন বোধ করল। কোন কিছুতেই সে পূর্বের আনন্দ মনে আনতে পারছেনা। হাহাকার এর মত কিছুক্ষন এই কথা ভাবল কেন এই জটিলতা আসল আমার জীবনে? রেশমীর চিঠিটা কেন তার হাতে আগে আসলনা ।বা  চিঠিটা যদি কোনদিন তার কাছে না আসত।

আজকে বিয়ের রাতে রেহনুমার সঙ্গে আন্তরিকভাবে কথা বলতে পারবেতো? রেহনুমার বিশেষ রাত কে বিশেষভাবে তাকে উপহার দিতে পারবে তো?

আহ এক পর্যায়ে অনেক অস্থির বোধ করল ।তারপর নিজে আবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাড়াল ।ওযু করল কিছুটা সময় নিয়ে ।অনেকদিন পরে বেশ সময় নিয়ে আজকে জোহরের নামাজ টা সে পড়ল। জোহরের নামাজ টা কাজে জয়েন করার পর তেমনভাবে পড়া হয়না এখন।যদিও সে আগে খুব নামাজী ছিল সবসময় চেষ্টা করত আযানের সাথে সাথে নামাজ আদায় করতে।এটা তার মা বাবার ধর্মীয় শিক্ষা ছিল।

নামাজ শেষ করে পড়ল সুরা মুযযাম্মিল সুরা ওয়াক্বিয়া মুশকিল আসানের সুরা।

শব্দ করে পড়তে থাকল

ইয়া আইয়্যুহাল মুযযাম্মিল।কুমিল লাইলা ইল্লা ক্বালীলা।নিছকাহূ আবিনকুছ মিনহু ক্বালীলা।

(সুরা মুযযাম্মিল থেকে)

ইযা ওয়াক্বাআতিল্ ওয়াক্বআ’হ।লাইছা লিওয়াক্বআ’তিহা কাযিবাহ্।খাফিদ্বাতুর রাফিআ’তুন।

(সুরা ওয়াক্বিয়া থেকে)

পড়তে পড়তে তার মনটা শান্ত হল একপর্যায়ে। মা এসে কাছে বসে ভালবেসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন।আস্তে আস্তে মনে এসে ঠাই করল পূর্বের সেই শান্তি আর আনন্দ।একসময়ে ঘুমিয়ে পড়ল জায়নামাজে।

রাত আটটায় কোনরকম বাধা বিঘ্ন ছাড়া চমৎকার আনুষ্ঠানিকতায় বিয়ে হয়ে গেল রাশেদ আর রেহনুমার।

বর বধুর মুখে আনন্দের হাসি। রেহনুমাকে দেখে রাশেদ সব ভূলে গেল । এত সুন্দর লাগছে ওকে ।

একঘর মানুষের মাঝখানে তারা বসে আছে ।সবাই তাদের নিয়ে হাসি ঠাট্রা করছে।নুতুন বর বধুর সেদিকে কোন মনযোগ নেই।তারা দুইজন দুইজনকে দেখতে ব্যস্ত।তা তো হবে ই।এটা তো তাদের ই সময়।

(পরবর্তীতে)

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top