ভুতের গলির সেই ভূত কি ফিরে এলো???
পূর্ব প্রকাশের পর
নীল আর বর্ষা এসেছে সুন্দর বনে বেড়াতে।যদিও নীলের মা কিছুতে ই রাজী ছিলেননা বিপদজনক জায়গায় বউকে যেতে দিতে।বিশেষ করে এই সময় বর্ষার বেড রেষ্ট এর পক্ষপাতী ছিলেন।
নীল এই সময় মেয়েকে যত কম সম্ভব বের হলে ভাল।আমরা এসব মানছি। বলে নীলের মা ঊৎকন্ঠায়।
নীল যে লজ্জা পাচ্ছে মাটা খেয়াল করতেছেনা।
দেখ বর্ষাকে বলে ও যদি খারাপ ফীল করে তাহলে না হয় যাবনা।যদিও সে যাওয়ার ব্যাপারে ডিটারমাইন্ড।
শেষে মা নিজের ব্যাগ গোছানো শুরু করলেন ।ছেলে বউ এর দেখাশোনা করার জন্য উনি ও যাবেন এটা বার বার বলতে লাগলেন।
বর্ষা আর নীল মুখ চাওয়া চাওয়ী করতে লাগল। মা যেতে চাইলে কি নিষেধ করতে পারে।তার মাটা কেনযে এত সরল।ছেলেমেয়ের হানিমুনে কোন মা কি যায়? এখন মাকে কে বোঝাবে।
বর্ষা বলছে ওহ আপনি যাবেন মা তাহলে তো অনেক মজা হবে।উৎফুল্ল হয়ে সে বলল।
মার ছোটাছোটি দেখে বাবা এসে দাড়ালেন সামনে।ব্যাপার কি তার রাসভারী গলায় জিজ্ঞাসা করলেন।
এই তুমি শোন বলে ডেকে বের করে নিয়ে গেলেন।
নীল আর বর্ষা শুনছে বাবা মৃদু গলায় বলছে । নীলের ছেলে আর বউকে একা ঘুরতে দাও।আমি তোমাকে এই কয়দিন ঢাকার সব জায়গায় নিয়ে যাব ঘুরতে।আহসান মন্জিল যাব মিউজিয়াম যাব।তোমার বৃদ্ধ বয়সে সেকেন্ড হানিমুন করব না হয়। বলে রাশভারী আদেল নাশফী হাসতে লাগলেন।
ভিতরে নীল আর বর্ষা ও হেসে ফেলল বাবার কথা শুনে।
নীল বুকে হাত দিয়ে হাফ ছেড়ে বাচার ভঙ্গি করল। বাচলাম সে উচ্চারন করল।
ছি তুমি কিরে বর্ষা হাসে নিজের মাকে নিতে চাওনা সোনা।
মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব।শপিং এ যাওয়া যায় মাকে আমাদের হানিমুনে নিব নাকি বোকা মেয়ে।মাকে রেখে কোথাও ঘুরতে পারতাম নাকি। ভাবছিলাম তোমার অজানা জিনিস সেই সুযোগে জেনে নিব।তোমাকে আবিস্কার করা যাকে বলে বউ এর নাকটা টিপে দিল।
যাওয়ার দিন রনি চাচা আসলেন এগিয়ে দিতে।শেষ মূহূর্তে ওনার নিজের ব্যবহ্রত গাড়ীটি দিলেন ওনার পারসোনাল ড্রাইভার সহ। সুন্দরবনে ওনার ছোট একটা কটেজ আছে তার ঠিকানা দিলেন এবং বললেন কেয়ার টেকার কে সব বলা আছে।শেষ মূহূর্তে বর্ষাকে দিলেন সোনার গহনা আর এক এনভেলাপে সম্ভবত টাকা।
নীল অভিভূত হয়ে গেল এত কিছুতে ।লজ্জার সাথে জবাব দিল এসবের কোন দরকার নাই।টাকা সে ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করল।
রনি চাচার জেদ এই টাকা বর্ষা আর আমার দাদুর জন্য।
দুইজনে সালাম করল একে একে মা বাবা চাচা সবাইকে।
মা শুরু করলেন হাউমাউ কান্না।
দুই সপ্তাহের জন্য যাচ্ছে বাবা। দেশ ছেড়ে যাচ্ছেনা তোমার ছেলে নীলের মা বাবা সান্তনার ভঙ্গীতে বললেন।
দুজনে গাড়ীতে উঠে বসল।গাড়ী চলতে শুরু করল গন্তব্যের পথে। দুজনের এখন মনটা বিষন্ন হয়ে আছে মা বাবার জন্য।এই প্রথমবারের মত নীল মা বাবাকে ছেড়ে বেশ কিছুদিনের জন্য বাসার বাহিরে যাচ্ছে।বর্ষাও বিয়ের পর এই পথমবার মাবাবা কে ছেড়ে বের হল।তার ও বুকের ভিতরটা টনটন করছে বৃদ্ধ শ্বশুর শ্বাশুড়ীর জন্য।এনাদেরকে সে কখনও আপন মা বাবার চেয়ে কম মনে করেনা।
এই কয়েকদিন দুইজনের মধ্যে যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল সুন্দরবন ভ্রমন নিয়ে এখন সেই উত্তেজনাটা মনে আর নেই। দুজন দুজনের দিকে বিষন্নতার কারন আচ করল।
নীল আবেগে বউকে জড়িয়ে ধরল জিজ্ঞাসা করল মন খারাপ মার জন্য?
হু বর্ষা স্বামীর বুকে মাথা রেখে চুপচাপ বাহিরের দিকে তাকিয়ে রইল।
(পরবর্তীতে)