বসন্তের কবিতা/ ডায়েরীর পাতা থেকে
ডায়েরীর পাতা থেকে
শুনছি কিছু পুরানো প্রিয় গান
ওগো আজ কিছু তো নাই
বিদায় নেওয়ার আগে
তোমারি সুরে গাওয়া
এ গান খানি রেখে যাই।
তুমি বললে: মানি কি এসব
বিদায় মানি
বলতে চাও কি শুনি।
আমার উত্তর
এ গান নহে সত্যি
নহে জীবনের কথা।
তুমি বললে বিদায় দুঃখ বা কোন
ভারী জিনিসে তোমায়
আর দেখতে চাইনা প্রিয়া।
শুনতে চাইনা কোন বিধি নিষেধ।
সব সীমানা বাউন্ডারী
আজ দিয়েছি তুলে
যত ব্যবধান গিয়েছি ভূলে।
তোমাকে পাওয়ার আশায়।
আমি:এ কি সম্ভব প্রিয়তম?
কিভাবে হবে তা।
তুমি: হবে হবে হবে
হতে হবে যা অনিবার্য।
আমরা যে এসেছি পৃথিবীতে
পরস্পর পরস্পরের জন্য।
বেহেশতের দরজায় অবশ্যই
আমি রাখব পা তোমাকে নিয়ে।
উত্তর করি আমি
নেই আর চিন্তা পরকালের।
তাহলে আমরা দুজন পরস্পরের।
======================
দিয়েছি গোলাপ আমার রাজাকে
রাজা করল কিছুক্ষন মিউমিউ
ছুটল আমার পিছু পিছু
দেখে মনে হল চায় কিছু
অসামান্য।
মনে মনে হলাম তৈরী
দিব আজ সব
মন খুলে বাধন খুলে
তাও ভেবেছি দেবে সে খুলে
নিবে টেনে বুকে।
স্নান শেষে শূভ্রতায়
আবেগে এলাম তোমার পাশে।
প্রিয়তম আজ ঘুমিয়ে গেছে
অপেক্ষা না করে।
আমি বসেছিলাম শিয়রে তোমার
তোমার ঘুমন্ত মুখটা দেখতে দেখতে
আলতো ভাবে ছুতে ছুতে।
ভাবছিলাম বেশী কি পাওয়া
যাচ্ছে হয়ে? ভাবছিলাম
আর ভাবছিলাম
এত ভালবাসা কেন যে তোমার হৃদয়ে
সমুদ্র ও যে মেনে যায় হার
তোমার হৃদয়ে ভালবসায় উদারতয় আবগে
ইচ্ছে হয় বলি
আকাশ বাতাস কাপিয়ে
সবাইকে শুনিয়ে
তোমাকে অনেক অনেক ভালবসি।
=============================
তোমাকে ভালবাসি যত না এসব গুনে
তারচেয়ে বেশী বাসি
মনে হয় যেন তুমি আমি
কোথায় যেন বড় একি
রকম ধাচে হৃদয়ে চিন্তায়
সমমনের আবেগে আর সচেতনতায়।
আজ আমি বসেছি তোমাকে নিয়ে
শুধু চলতে চাই
আজ আমি তোমাকে নিয়ে
লোকে? ভাবুক না যে যার মত
আমি তুমি গড়ব নুতুন
ইতিহাস এক প্রেমের।
তুমি হবে রাজা
আমি তোমর রানী
আমাদের পূথিবীতে
থাকব হাসিতে আনন্দে।
সব মলিনতার উর্ধে।
অসুন্দর কুটিলতা বা
থাকবেনা সেখনে কোন
তৃতীয় পক্ষ।
শুধু তুমি শুধু আমি
পরস্পর পরস্পরের দিকে
তাকিয়ে আজীবন বলব
ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি
শুধু তোমাকেই।