“মধ্যবিত্তের সন্তান”
আমি যুদ্ধ পরাজিত সৈনিক,
পুজী খুঁয়ে নিঃস্ব বণিক।
আমার হাতে শূন্য ঝুড়ি,
কাঁধে সিন্দাবাদের বুড়ি।
তাকিয়ে থাকি বহুদুর,
তবু ঝাপসা দৃষ্টি নুর।
আমি সারেং অকুল পাথারের,
হারিয়ে যায় ধ্বনি হাহাকারের।
আমার হৃদয়ে সন্তান হারানোর অনুভূতি,
অশ্রুজলের নেই বিরতি।
দাঁড়িয়ে থাকি-তুলিতে রঙ মাখা,
ক্যানভাস নেই তাই হয় না আঁকা।
আমি নেতার একনিষ্ঠ শ্রোতা,
ভুলে যায় সবি ভাগ্য দেবতা।
কেম্নে রিলিফের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকি?
ফিরতি পথে তাই মুদী দোকানে করি বাকী।
আমার গলায় ঝুলানো বিশ্বাসের তাবিজ,
বিশ্বাস আমার তরে নবীর হাদিস।
আমি দাঁতে দাঁত চেপে সয়ে নিই তলপেটের চাপ,
রাতের আঁধারে সেরে নিই দুঃখের বিলাপ।
পাথর চেপে করি ক্ষুধা নিবারণ,
এক কাপড়ে করি সতর ধারণ।
প্রলেপ দিয়ে দুঃখের দেয়াল করি গোপন,
দুশ্চিন্তায় ধুমা করি গলধঃকরণ।
রঙ্গীন ফুলে সাজাই স্বপ্নের কানন,
জানি সবি স্বপ্নতেই কেবলো রোপণ।
নিঃস্ব হয়ে যাই;তবু বিকিয়ে দিই না আত্মসম্মান,
আমি এক দুর্ভাগা মধ্যবিত্তের সন্তান।