Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

রিকশা থেকে নেমে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বাসস্ট্যান্ডের দিকে হাঁটতে শুরু করলো লিটন। ঢাকার বাস তাকে কষ্ট করে খুঁজে বের করতে হলো না। একটা ছোকরা এগিয়ে এসে বললো, ঢাকানি যাইবেন স্যার ?

লিটন হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়তেই ছোকরা ব্যস্ত হয়ে পড়লো-
-আইয়্যেন স্যার, সামনে

সুশান্তর চেয়ে প্রশান্ত বড়, শৈশব থেকেই সে কিছুটা দূরন্ত প্রকৃতির তাই কেউ কেউ তাকে প্রশান্ত নামে না ডেকে দূরন্ত বলে ডাকতো। প্রায় দিনই স্কুল থেকে কোন না কোন অভিযোগ আসতো, বেশিরভাগ দিনই ক্লাসের পড়া ফাঁকি দিয়েছে, কোনদিন কাউকে মেরেছে, কোনদিন

মেঘ ভাসলো বৃষ্টি আসলো
গড়ীয়ে পানি যায় ,
ছোট ছেলে হেসে খেলে
দিন তার কাঁটায় ।

খাতা ছিড়ে কাগজ ছিড়ে
ছোট ডিঙ্গি বানায় ,
কাঁচা রাস্তায় পাঁকা রাস্তায়
আনন্দে সে চালায় ।

বাংলাদেশের গনতন্ত্রের মুক্তির জন্য এই ১০ই নভেম্বর একটি উল্লেখযোগ্য দিন হিসাবে পালিত হয় ।এই দিনে নূর হোসেন বুক চিতিয়ে দিয়ে গনতন্ত্র মুক্তি পাক অঙ্কিত দেহ পুলিশের গুলির সামনে মেলে ধরেছিলেন । হাজারো মানুষ সে আন্দোলনে অংশগ্রহন করেছিলো শুধু আমাদের

কবিতার শুরুটা এভাবে
যেমন ধরো,
সে অনেক সুন্দরী
তাকে আমি কখনই পাব না
সে বাসবেনা ভাল
আমার মত একজনকে।

তোমরা প্রশ্ন কর;

তাকে কী জানিয়েছো
তোমার মনের কথা ?
সে কী জানে
তুমি তাকে ভালবাস ?

আমি বলি
নাহ, জানাইনি তাকে
কিন্তু হয়তো সে জানে

আর কীই বা বলবো গিয়ে
সব প্রশ্নের উত্তর তো
আমার জানা,

বলো
যে

এই যে ভাই, শুনলাম আজকে নাকি আপনার বিয়ে?
টাকা-পয়সা কি নিচ্ছেন কিছু হবু শ্বশুড়কে ফাঁদে ফেলে?
না, না ভাই, কি যে বলেন শিক্ষিত মানুষ আমি
যৌতুকের ধারে কাছেও যে নাই
যৌতুক নিলে মান যাবে যে তখনি।
তাই নাকি! ভালোই বলেছেন, এমন মানুষ কজনেই বা আছে
কনের

হুমায়রা আমি তো কবি নই
কাব্যিক ভাষা পাব কই ?
ভাঙ্গা চুরা কাটা ছেড়া কিছু বর্ণ জোড়া লাগাই
এভাবেই মনের শব্দগুলো এলো মেলো সাঁজাই ।

হয়তো কাব্যের স্থান পাবেনা মোর কথাগুলো
তাহাতে হৃদয়ে যাতনা নেই এক চুলো
যদি বইয়ের পাতার হয় অযোগ্যতা
এটাকে বলিবনা আমি ব্যর্থতা ।

যদিও

হে বাংলাদেশ, ভুলে কী গেছ নূর হোসেনের কথা ?
রোদ্দুর বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল সে প্রাণ
রেখেছিল তোমার মান
কী দিলে তুমি তার ব্যথার উপহার ?

হে বাংলাদেশ, এরা কারা ?
চির সত্যকে ঢাকিছে মিথ্যের পোশাকে
মিথ্যেকে জাগিছে সত্যের অবকাশে !
তা দেখে মুচকি হাসে সহাসে প্রকাশ্যে

খুঁজতে খুঁজতে অবিনাশি সুখ
ইটসুরকির ভাঁজে ভাঁজে দন্তে চিবানোর মত, বড়ই নাজেহাল
দুর্দশায় পায়ের চটি যাচ্ছে ক্ষয়ে, যেন সব জমছে কমলাকান্তের উইলে
পুরান সভ্যতার বিলীন অস্তিত্বে ঢেকে আছে যেন।

সব ক্ষুধা তৃঞ্চার লালা ঝরে ঝরে,
নিঃশেষ হউক সর্বাঙ্গ শরীর, অপয়া বিষ দর্পে গেয়ে উঠুক সবুজ

জ্বলছে রিকশা; জ্বলছে বাস
ভাংগছে গাড়ী, ভাংগছে কাঁচ,
জনতা হলো বুঝি তুরুপের তাস;
রক্তে লাল পথ;  রাস্তায় লাশ,
পেছাচ্ছে পরীক্ষা ; বন্ধ ক্লাশ।
সুনসান অলিগলি; নি:শব্দ আশপাশ,
উৎকন্ঠায় কাটে দিন রাত মাস।
গুম হচ্ছে মানুষ; বাড়ছে ত্রাস,
সবুজের লাল সূর্যের লেগেছে পূর্ণগ্রাস!
একাত্তরে কি ভেবে হয়েছিল স্বাধীনতার বীজ চাষ?
পরাধীনতায়

go_top