Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

প্রত্যাশা থাকে কখনো মন থেকে
কারো মনে আমার জন্য;
এক কণা ভালবাসা জমা থাক,
দুষ্ট কপোত কপোতিরা যখন
আনন্দের গান গেয়ে বেড়ায়,
বাজনার তালে তালে ময়ূর ময়ূরী
পেখম তুলে নাচে…..
তাদের আনন্দে আমি গাইতে পারি না
সুরের তালে মন পারি না দোলাতে;
দু:খ ভাবনারা তাড়া করে পিছু।
আমিও সুখে দুলতে

রবির বাবা মস্ত বড় ইলিশ মাছ এনেছেন। বাজারে এত বড় ইলিশ মাছ সচরাচর চোখে পড়েনা। তার উপরে অল্প দামে এত বড় মাছ! সকালে আকাশে খুব মেঘ করছিল বলেই ক্রেতা কম ছিল। আর এই ফাঁকেই দান মেরেছে রবির বাবা।

ছুটির দিনে

সমুদ্র বলছে ঢেউকে –
‘আমার বুকে তুমি আড়মোড়া ভাঙো !’
গগন বলছে গর্জে –
‘আমার ছাঁয়ায় রহস্যময় করেছো নিজেরে !’
জল বলছে নির্দ্বিধায় –
‘তুমি আমার সৃষ্টি !’
তীর বলছে দম্ভে –
‘আমার তরে এসে লুটিয়ে পড় পায়ে !’
সব শেষে মুচকি হেসে পথিক বলছে বিনম্রতায় –
নীল চাঁদরে

ভরে থাকা বাসে কোনরকমে ঝুলে ছিলাম

গেটের হাতল ধরে।

হাতে ধরা ছিল পাঁচ টাকা দামের গোল্ডলীফ সিগারেট।

দিনটা খুব একটা খারাপ ছিলনা।

ঘামছিলাম দরদর করে, কাজ শেষে ফিরছিলাম,

মুখে ছিল সফলতার হাসি, আর ক্লান্তির ছাপ।

তবে বাসে ঝুলে থাকা তো নাগরিক কাজ এই ঢাকায়।

 

পাশ দিয়ে একটা

আমি তোমাকে বিশ্বাস করিনা
বিশ্বাস করিনা তোমার মতো
যারা মেয়ে যারা নারী ,
প্রয়োজনে কাছে এসে …
হেসে হেসে …
মিষ্টি কথা বল…
হেলে দুলে চল…
মুখে বল কেউ নেই আমার অথচ্
গোপনে যাচ্ছো ঠিকই হাজার বন্ধুর বাড়ী ।

আমি  বিশ্বাস করি স্রষ্টাকে
আকাশ বাতাস মাটি পানি
পশু পাখি বৃক্ষ লতা

আমার মনের কথাগুলো ব্যক্ত করি লিখে
এগুলো হয়ে যায় নাকি কবিতা ?
মানুষ অবাক হয় দেখে
আমি নাকি পদ্যের সবিতা ?

এ যে মোর বাক প্রকাশের ধারা
বচন নহে সবাই কহে কাব্য ছড়া
আমাতে পূর্ণ কাব্যের আলপনা সবি
তাই সবাই কয় , আমি নাকি কবি ?

হা …হা

খুব প্রভাতের মিষ্টি বাতাস,
কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরের শিশির
ঘাসের ডগায় মুক্তোর দানা
জ্বলমল করা রৌদ্রজ্জল সকাল;
দুর থেকেই ছুঁয়ে যাই
শিশিরের স্পর্শ;
হিম হিম অনুভব আংগুলের ডগায়,
শিশিরের কাছে গেলেই স্পর্শে গলে যায়;
আমার কঠিন হাতের স্পর্শ ওর সহ্য হয়না।
প্রভাতের মিষ্টি বাতাস
আমায় দেখে স্থির দাঁড়িয়ে পাতায়
লুকোচুরি খেলে আঁড়ালে থেকে,
আমার

এসেছিল পহেলা বৈশাখ
বাহিরে ইলিশ পান্তা খাওয়ার সময়
শহুরে পান্তা খাদক ফুটপাতের বাসিন্দারা
অবাক ও প্রশ্নবোধক চোখে তাকালে
অবচেতন মনে বলেছিলাম আজকেই শুধু।

ইটের গুমোট থেকে গিয়েছিলাম জনসমুদ্রে
কুঁড়ে ঘরের চাল ভেদ করে আসা
বৃষ্টির ফোঁটায় গ্রামের যারা ভিজে যায়
তাদের অন্নের স্বাদ নিতে।

যারা খায় নিত্য পান্তা
তারা কাঁচামরিচ

হে বাংলাদেশ, তেতাল্লিশ বছর পরে ও তুমি অসমাপ্ত
তোমার অস্থিত্ব অক্ষুন্নে মীরজাফররেরা পরিব্যপ্ত
তারপরেও বলি,আছে কী তোমার সমাপ্ত ?

হে বাংলাদেশ,আমরা যারা ছেঁড়া মানুষ আছি
জীবন দিয়ে তোমারে মোরা জীবনের চেয়েও ভালোবাসি
তোমার কালোতে কেদে উঠি প্রাণাধিক তেজে জ্বলে জেগে
তোমার আলোতে প্রাণ খুলে হাসি ।

তুমি

 

 

অনিন্দ্য সুন্দর কাননে তোমার প্রভু আমি যে এক রত্তি অধম
আহ্লাদী দু’টি সোনার হৃদয় সোহাগে দোলে আবেগর অনুরাগে
দু’ ফোটা নাপাক তরলে বীজ ফুটে একটি সোনার অন্কুর জাগে
রক্তের লাল নদী পার হয়ে প্রভু আলোর বিথানে বান্দা প্রথম
মুক্তির আকাঙ্খাতে ভক্তিতে বিনয়ে চুমেছিনু তোমারই

go_top