“অকাল গর্ভপাত”
যদি পারতাম ঘুরিয়ে নিতে ঘড়ির কাঁটা
ঠিক এক বসন্ত পূর্বে।
তোমাকে ভালবেসে যে ভুল করেছিলাম
সংশোধনের নিমিত্তে কাঁচি চালাতাম সেই পর্বে।
তাকিয়ে থাকতাম না তোমার নাদুসনুদুস মুখশ্রী পানে;
নিষেধাজ্ঞা আইন পাশ করতাম মনের সংবিধানে।
তোমার কণ্ঠ ধ্বনি উপেক্ষা করতাম;
শিমুল তুলো গুঁজে দিতাম দুই কানে।
এড়িয়ে চলতাম মিরপুরের সেই কুইক বাইট
যেখানে প্রথম দেখেছিলাম চাঁদের রূপ।
চুরি করে আড় চোখে বারবার দেখেছিলাম তোমায়
দেখার সাধ মিটেনি তদ্রূপ।
যদি পারতাম ফিরে আনতে
গতবছর ক্যালেন্ডারের ঠিক এই সময়।
নিজেকে সংশোধন করে আবগের ঘরে তালা মেরে
দাঁড় করাতাম নিজের নয়া অবয়।
ফুটাতাম না কথোপকথনের নিশি ফুল
অতোগুলো বিনিদ্র রজনীর।
কেটে দিতাম মুঠোফোনের লাইন
যখনি কণ্ঠ শুনিতাম কোনো রমণীর।
জড়াতাম না নিজেকে আষ্টেপিষ্টে
তোমার মিষ্টি কথার ইন্দ্রজালে।
সম্পর্কের মায়ার বাঁধন গড়ে
আবার চূর্ণ করার অধিকার দিতাম না তোমার হাতে তুলে।
যদি পারতাম ফিরে যেতে
সময়ের ফেলে আসা সেই পুরনো মোহনায়।
ভাসাতাম না নিজেকে তোমার স্রোতে;
জোর লাগাতাম অন্য স্রোতের করুণায়।
জাদুটোনা করে বাণ মেরে
তোমার চারিদিকে করতাম আমার বাঁধার প্রাচীর।
যদি পারতাম ফিরে যেতে
যদি পারতাম গতবছরের সেই সময় করতে হাজির।
যদি পারতাম ফিরে যেতে একলাফে
যেখান থেকে ভুলের সূত্রপাত।
দিতাম না সম্পর্কের সহবাসের সুযোগ
তাহলে হয়ত হত না অকালে গর্ভপাত।