ভাতৃত্ব
আমি শুনি চারিদিকে ভাঙ্গনের সুর
কেউ নাকি আর একসাথে নেই
এখন নাকি সবাই আলাদা
যার যার কাজে, কর্মে, কথাতে
কই, এখনওতো মানুষ এক হয় প্রতিদিনই
নিজেদের প্রয়োজনেই, প্রানের তৃঞ্চাতেই
কোন দূরত্বতো আমি দেখিনা
একে অপরের সাথে,
অথবা সমাজের আনাচে কানাচে
এখনও মানুষ এক হয়
মৃত ব্যক্তির জানাযায়,
ঈদের নামাজে, পুজোতে
এখনও মানুষ উপচে পড়ে
সবাই ভাতৃত্বের বন্ধনে মিলিত হয়
এক সুতোর বন্ধনে…..।
তবে ওরা কারা ….?
যাদের দেওয়া আগুনে আমার মা পোড়ে
ঘর গুলো দুমরে মুচরে যায়,
গাছ উপরে ফেলে মাটি থেকে
রাস্তায় বয়ে যায় রক্তের বন্যা…
তবে কি ওরা আধুনিক হায়না…?
ওরা কি সমাজের অন্ধার গর্তে
বসত করে আমাদের ভাতৃত্ব শেষ করছে,
নাকি ওরা আমাদেরই মত মানুষ ?
যদি মানুষ হবেই,
যদি আমাদের সাথেই তাদের বাস
তবে কোথায় তারা
যারা আমার ভাইকে মেরে পালিয়ে যায়?
ট্রেনের লাইনটিকে উল্টে দিয়ে
একটি কিশেরীর তীল তীল করে গড়া স্বপ্নকে
ভেঙ্গে খানখান করে
মাকে করে অসহায়
তারা কি সমাজে আলাদা ঘর করেছে..
নাকি তাদের বাস অণ্য গ্রহে..?
এখনও মানুষ এক হয়
সব ফেলে মানুষের বিপদে,
এখনও ছায়া হয় কারো একাকিত্বতায়
হাত রাখে হাত অসহায়ত্বে
কোথায় ভাঙ্গন, কোন সমাজে?
এখনও মানুষ একই আছে এই দেশেতে….
ভাতৃত্বের বিনি সুতার বন্ধনে ।
আমাদের সমাজে আজ যে ভাঙ্গনের সুর তা কিছু মানুষের স্বার্থের জন্যই । যারাই তাদের স্বার্থের জন্য করছে তারা সবাই অর্থের বিনিময়েই । এর জন্যই মনে হচ্ছে সব মানুষে মানুষে বুঝি ভাঙ্গন ধরেছে । আসলে তা ঠিক নয় । এই অরাজক অবস্থা আমাদের বাঙালীর জন্য খুবই কম সময়ের জন্য । আমরা ভাতৃত্বের বন্ধনেই আছি এবং থাকবো চিরকাল । সবাই আশাবাদী হলে সেদিন বেশী দূরে নয় যেদিন আবার এদেশে শান্তির সুবাতাস বইবে ।
সাঈদ চৌধুরী
রচনাকাল ০৪/১২/২০১৩ ইং (সন্ধা ৬.৩০ মিনিট)