দাঁড়াও ক্ষণিক
দাঁড়াও ক্ষণিক
চঞ্চলা হরিণীর মতো গতি তোমার,
যেন পর্বত চূড়া থেকে নেমে আসা ঝর্ণা,
ছুটে যাচ্ছে নাড়ীর টানে মিলন মোহনায় ।
তোমার আগমন কার্পো মাছের মতো ধীর, মন্থর ,
বাড়তে ই চায়না যেন,
মা বলেন সবেইতো শুরু , সে দিনের খোকা,
দাঁত পড়ে দাঁত গজালো , বেড়ে উঠলো যেন,
নতুন বাঁধা বাড়িতে লাগানো কলাগাছ
তর তর করে ।
আমি থামাতে চা ইনা শৈশব, কৈশোর, যৌবন,
সে যদি হাড়িয়ে যায় অজ্ঞাতে,
শুধু দেখা হবে না চপলা মেয়ের বাঁকা চোখের চাহনি ।
যৌবনের উন্মত্ততা হাড়িয়ে যায় যে নদীর,
ঘুঙগুর পায়ের দাগা পরে যদি তার বুকে,
ছুতে পারে না তবু ।
আমি চাই না এ জীবন, যে জীবনে নেই বৈশাখী ঝড়,
ফাগুনের বসন্ত, আষাঢ়ে নদীর উদ্দামতা ।
পাতা ঝড়া বৃক্ষ , ঘুনে ধরা খাটিয়া , চরা পড়া নদী ,
নুয়ে পড়া দেহ, সে আমার কাম্য নয় ।
হে যৌবন,
যেয়ো না তুমি , যেয়ো না আমায় ছেড়ে ,
প্রতারক প্রেয়শীর মতো, দাঁড়াও ক্ষণিক,
আমি বিলীন হয়ে থাকতে চাই,
তোমার সাথে অনন্ত কাল । ।