Today 12 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

চুল বিড়ম্বনা

: | : ১৪/১২/২০১৩

মানব মস্তকের উপর ক’খানা চুল নিয়ে মানুষের চিন্তা দুঃশ্চিন্তার অন্ত নেই । কত কায়দা কসরত করে চুলকে বাগে রাখতে হয় তা মানুষ মাত্রই উপলব্ধিসার । অবশ্য আদিম যুগে অত কিছুর বালাই ছিল না । চুল ভূমিতে নামিল না উর্ধ্বে ঠেকিল তা কে ভাবিত । তাদের যত ভাবনা সব ছিল আহার নিয়ে । কালের পরিক্রমায় মানুষ শুধুমাত্র আহারে আটকে থাকল না । তারমধ্যে সৌন্দর্য চর্চা গড়গড় করে প্রবেশ করল । এবং শুরু হলো চুলকে নিয়ে নানান ডান-বাম । কেউ ডানে সিঁথি দেয়’তো কেউ বামে । যারা ডান বামে বিশ্বাসী নয় তারা নেয় মধ্যপন্হা । এরা মাথার মাঝ বরাবর  সিঁথি দেয় । বর্তমান আধুনিক যুগে ডান বাম চাপা পড়ে লেয়ার ব্রয়লার কাট এসেছে । শুধু চুলের সিঁথি বা লেয়ার ব্রয়লার নিয়ে পড়ে থাকার জন্য মানবের জন্ম হয়নি । তাই মানব চিন্তা করে কেন চুল গজায়, কেন চুল পড়ে । চুল পড়িলে ভালো নাকি না  থাকিলে মন্দ । থাকিলে কতটুকু থাকা উচিত । এবং কোন প্রক্রিয়ায় থাকা উচিত । মানুষ চিন্তাশীল বটে । তাই মাথার উপর রাজ্যের সৃষ্টিশীলতা দেখা যায় । কারো চুল লাল’তো কারো চুল বেগুনি । কেউ কেউ চুলের বার্ধক্যেকে নামিয়ে আনে ষোল কিংবা বিশে । কেউ চুল ঝুলায় , কেউ চুলকে রাখে ”আরামে দাঁড়াও” কায়দায় ।

 

চুলের প্রতি মানুষের এমন প্রীতি দেখে আমার হিংসে হয় । আমি বরাবর চূড়ান্ত অলস । অনেকটা অপদার্থ প্রকৃতির । সেলুনে গেলেই আমার চোখ জড়িয়ে আসে । চুলের লাল সাদায় আমার কিছু যায় আসে না । আমার বরং জ্ঞানী-বিজ্ঞানীদের উপর মেজাজ বিগড়ে উঠে । আরে বেটা এত কিছু আবিষ্কার করলি অথচ এমন কোন স্প্রে আজো আবিষ্কার করলি না যার দ্বারা চুলের বৃদ্ধি স্হগিত করা যায় । তাহলে আমার কি যে অনন্ত অবসর মিলতো । চুলকে একবার সাইজে এনে এমন স্প্রে মারতাম যেন জনমে আর সেলুন মুখো হতে না হয় ।

 

জ্ঞানী বিজ্ঞানীরা আমার কথাটা যদি শুনতে পেয়ে কিছুমাত্র উপকার করেন তবে এই অধম নাপিতের হাত থেকে রক্ষা পায় । আরে ভাই মানুষের উপকারতো মানুষই করে । আপনাকে পারিশ্রমিক না দেই যথেষ্ট আলসেমি করে বকুনি’তো দিব না ।

 

……………………….নিঃশব্দ নাগরিক ।

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top