মা তুমি কোথায়….
আমি শুনেছি,
মানুষ মরে গেলে নাকি তারা হয়ে যায়
সেটাও তোমার কাছে থেকেই
মা… তোমাকেতো ওখানেও পাইনা
চেয়ে থাকা আর অপেক্ষা….
শুধু পাওনা এটুকুই
চোখের কোণে জল নিয়ে
তোমার চাঁদ দেখিয়ে
ঘুম পারানো গানের শব্দ
আজও আমার কানে
মৃদু সুরে বাজতে থাকে অবিরাম
আমি চাঁদের দিকেই তাকিয়ে মা
সেই পুরনো সুরে তোমাকেই খুঁজছি …
তোমার মুখে শোলক বলা কাজলা দিদি
আজও আসলোনা
আমি অপেক্ষায় নীল হয়ে
বাঁশবাগানে দৃষ্টিরত…..
তোমার শোলক বলা কাজলা দিদি আসবে বলে….।
ভেবেছি তার কাছেই জিজ্ঞেস করবো
তোমার ঠিকানাটা ।
মা…..আমি আজও মানতে পারিনা
তুমি পাশে নেই
কাকের কা.. কা …কর্কশ আওয়াজেও
নাকে চলে আসে তোমার যত্নে
দুধ মাখানো ভাতের গন্ধ
তুমি কবিতা বলতে,
দুধ মাখা ভাত কাকে খা….
আর আমার খাওয়ায় দ্বিগুন উৎসাহের সৃষ্টি হত
তুমি মা বলেই হয়ত….
মা… কত রাত গেল
নতুন সূর্য দিনের সূচনা ঘটালো
আমার তালগাছটা তোমার স্বপ্নের সমান বড় হল ।
তুমি তালগাছটা দেখলেই বলতে
দুটো তালগাছ নাকি তুমি আর বাবা
লম্বাটা বাবা আর খাটোটা তুমিতে
যুগল বাধা…
আমার শিশু বয়সেই তাতে ভালোবাসার উপলদ্ধিতার
অঙ্কুর গাঁথা….
আজ তালগাছে পাখির কলকাকলির অন্তহীন যাত্রা
তবুও তোমাকে না পাওয়া, আমার মা
তুমি বুঝি সবচেয়ে ছোট্ট তারাটিই হয়েছো
তাই খুজেঁ পেতে এত অস্থিরতা…..।
তোমার বকুল ফুল গাছটাও
আমার সাথে কথা বলে
সে আমাকে বলেছে ছন্দহীনেরা
ছন্দ ফিরে পেলেই তোমার মা আসবে
চাড়ীর পারের একাকী গাভীর কালচে চোখেও
তোমাকে হারানোর অপ্রাপ্তিতা
তুমি কোথায় মা,
তবে কি সেই দূর তারাতেই….?
তুমি বুঝি সবচেয়ে ছোট্ট তারাটিই হয়েছো
তাই খুজেঁ পেতে এত অস্থিরতা…..।
আমি শুনেছি মা, তারাতেই নাকি আছো তুমি
তাই অবিরাম রাতের আকাশে চেয়ে থাকা
তোমার অপেক্ষাতে প্রহর গোনা…..।