Top today
একটা পতাকা কিনতে চেয়েছিলাম…..
কয়দিন যাবৎ মাথাটা খাচ্ছিল সীনটা
মা, আমাকে একটা পতাকা কিনে দিবে?
বিজয় দিবসে বারান্দায় টানাব;
শুনে মীমও বলছিল আমারও কিন্তু লাগবে একটা মা,
লাল সবুজ পতাকা অনেক ভালবাসি মা,
কাল অফিস হতে ফেরার পথে নিয়ে এসো কিন্তু,
হন্যে খুঁজেছি পথে ঘাটে এই কয়দিন
কোথাও বৃদ্ধ চাচাকে দেখিনি
কাঁধে নিয়ে পতাকা ফেরী করেন নি;
গত বছরও তার হাত হতে নিয়েছি
তৃপ্তিতে তার চোখ দুটো চিকচিক করছিল,
তার নি:শ্বাসে, বিশ্বাসে পতাকার সম্মান দেখেছি,
লাল সবুজের পতাকাকে ভালবাসতে দেখেছি….
এই ভালবাসার বেচাবিকিতে তিনি হয়তো;
দুবেলা দুটো অন্ন দিতে পেরেছিলেন তার লাল সবুজ দুটি আত্মজকে,
এবার তিনি ফেরীতে নামেন নি;
সেই ভালবাসার চোখ দেখা হতে হয়েছি বঞ্চিত…
আর লাল সবুজের ভালবাসায় সিক্ত হতে পারিনি আমি,
হয়তো বৃদ্ধ ঘরে বসে পতাকা বেঁচার স্বপ্ন দেখছেন আর বলছেন,
দেশ শান্ত হবে; সবুজের বুকে লাল উড়বে ফৎফৎ করে;
আদৌ কি শান্ত হবে দেশ?
বৃদ্ধের মত হাজারো খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি দিয়ে
তোরা শান্তিতে থাকিস কিভাবে?
যখন যুদ্ধ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে আমার বাবা, তরুন ভাইয়েরা নেমেছিল যুদ্ধের ময়দানে,
যখন একটি গান ছিল সবার জন্য উৎসাহব্যঞ্জক…
“মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি…”
সেই স্বপ্ন সেই গান, সেই বীরত্ব আজ ধুলায় লুন্ঠিত,
স্বেচ্চাচারিতা, উদ্ভট আলাপচারিতা,
কারো বাবার স্বপ্ন মন্ডিত দেশ গড়ার অংগীকার,
কারো স্বামীর স্বপ্নের দেশকে নিজের সম্পদে পরিণত করার পাঁয়তারা,
আহারে সোনার দেশ আমার;
কোথায় গিয়ে লুটিয়ে পড়েছ আজ,
তোমায় নিয়ে কেউ ভাবে না আর;
আজো তোমার সবুজ বুক লাল রক্তে ভিজে যায়;
তবে আজ আর তোমাকে শত্রু মুক্ত করার জন্য নয়,
নয় তোমাকে স্বাধীন করার উদ্দেশ্য।
ক্ষমতার দাপট আর স্বার্থপরতার মাঝে পড়ে পিষ্ট তুমি হে মাতৃভূমি।
পতাকা কিনা না হয়নি আমার,
কি হবে পতাকা টানিয়ে;
যে জাতি পতাকার সম্মান জানে না
ভালবাসে না দেশ, দেশের মানুষকে;
বিজয় দিবস উদযাপন তাদের মানায় না অন্তত:
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোটা কেমন যেনো মেকি লাগে আজকাল…
আজ এই ডিসেম্বরে এসে স্বাধীনতা মানে কি এই বুঝলাম?
ক্ষমা কর বাবারা, পতাকা কিনতে পারিনি বলে,
পতাকা কারো বাবার, কারো স্বামীর, আমাদের না;
তাদের লাল সবুজ স্বার্থপর স্বপ্নগুলো যেদিন ধুলায় লুটিয়ে পড়বে
সেদিন আমি, সীন-মীম কুঁড়িয়ে নেব হাতের মুঠোয় লাল সবুজ স্বপ্ন।
মা, আমাকে একটা পতাকা কিনে দিবে?
বিজয় দিবসে বারান্দায় টানাব;
শুনে মীমও বলছিল আমারও কিন্তু লাগবে একটা মা,
লাল সবুজ পতাকা অনেক ভালবাসি মা,
কাল অফিস হতে ফেরার পথে নিয়ে এসো কিন্তু,
হন্যে খুঁজেছি পথে ঘাটে এই কয়দিন
কোথাও বৃদ্ধ চাচাকে দেখিনি
কাঁধে নিয়ে পতাকা ফেরী করেন নি;
গত বছরও তার হাত হতে নিয়েছি
তৃপ্তিতে তার চোখ দুটো চিকচিক করছিল,
তার নি:শ্বাসে, বিশ্বাসে পতাকার সম্মান দেখেছি,
লাল সবুজের পতাকাকে ভালবাসতে দেখেছি….
এই ভালবাসার বেচাবিকিতে তিনি হয়তো;
দুবেলা দুটো অন্ন দিতে পেরেছিলেন তার লাল সবুজ দুটি আত্মজকে,
এবার তিনি ফেরীতে নামেন নি;
সেই ভালবাসার চোখ দেখা হতে হয়েছি বঞ্চিত…
আর লাল সবুজের ভালবাসায় সিক্ত হতে পারিনি আমি,
হয়তো বৃদ্ধ ঘরে বসে পতাকা বেঁচার স্বপ্ন দেখছেন আর বলছেন,
দেশ শান্ত হবে; সবুজের বুকে লাল উড়বে ফৎফৎ করে;
আদৌ কি শান্ত হবে দেশ?
বৃদ্ধের মত হাজারো খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি দিয়ে
তোরা শান্তিতে থাকিস কিভাবে?
যখন যুদ্ধ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে আমার বাবা, তরুন ভাইয়েরা নেমেছিল যুদ্ধের ময়দানে,
যখন একটি গান ছিল সবার জন্য উৎসাহব্যঞ্জক…
“মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি…”
সেই স্বপ্ন সেই গান, সেই বীরত্ব আজ ধুলায় লুন্ঠিত,
স্বেচ্চাচারিতা, উদ্ভট আলাপচারিতা,
কারো বাবার স্বপ্ন মন্ডিত দেশ গড়ার অংগীকার,
কারো স্বামীর স্বপ্নের দেশকে নিজের সম্পদে পরিণত করার পাঁয়তারা,
আহারে সোনার দেশ আমার;
কোথায় গিয়ে লুটিয়ে পড়েছ আজ,
তোমায় নিয়ে কেউ ভাবে না আর;
আজো তোমার সবুজ বুক লাল রক্তে ভিজে যায়;
তবে আজ আর তোমাকে শত্রু মুক্ত করার জন্য নয়,
নয় তোমাকে স্বাধীন করার উদ্দেশ্য।
ক্ষমতার দাপট আর স্বার্থপরতার মাঝে পড়ে পিষ্ট তুমি হে মাতৃভূমি।
পতাকা কিনা না হয়নি আমার,
কি হবে পতাকা টানিয়ে;
যে জাতি পতাকার সম্মান জানে না
ভালবাসে না দেশ, দেশের মানুষকে;
বিজয় দিবস উদযাপন তাদের মানায় না অন্তত:
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোটা কেমন যেনো মেকি লাগে আজকাল…
আজ এই ডিসেম্বরে এসে স্বাধীনতা মানে কি এই বুঝলাম?
ক্ষমা কর বাবারা, পতাকা কিনতে পারিনি বলে,
পতাকা কারো বাবার, কারো স্বামীর, আমাদের না;
তাদের লাল সবুজ স্বার্থপর স্বপ্নগুলো যেদিন ধুলায় লুটিয়ে পড়বে
সেদিন আমি, সীন-মীম কুঁড়িয়ে নেব হাতের মুঠোয় লাল সবুজ স্বপ্ন।

Like · · Stop Notific