দেখার তীব্র সাধ
তোমাকে দেখব বলে সেই কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ তলে
পিছ ঢালা পথের ধারে পদ্ম ফোটা দিঘীর জলে ;
তীর্থের কাক আমি হেরিতে কাতর
তুমি পাষানী হৃদয় তোমার পাথর ।
তুমি দেখেছ ? কভু কি শুনেছ ?
কোন দিন কি জানতে চেয়েছ ?
তীব্র অপেক্ষায় অনিদ্রায় কত ব্যর্থ ছলে
কেটেছে যাতনার অনলে ডুবে আঁখি জলে ।
কত শত যে নিশি কেটেছে আমার
শুনতে চাওনি তুমি শুধু একবার ;
গাঙ্গের হিংস্র ধারার ন্যায় গেছ চলে
দীর্ঘ কালের সূচি প্রেম দু’পদে দলে ।
খেলা অন্তে ভংগুর করেছ বালু ঘর
তুমি নাকি আমি শ্রেষ্ঠ স্বার্থপর ?
সহস্রবার ফিরতে কহে তোমায়
জ্বলে ছারখার হয়েছি ঘৃণায় ।
মিনতির স্বরে ব্যর্থ কাতরে ব্যকুল চিত্তে তোমাকে হাঁকছি
জুম্মাহাট কেবলকৃষ্ণ গাঁয়ের সেই ব্রীজে বসেই থাকছি ;
এক পলক দর্শন দাও ভয় পেওনা
তোমার প্রীতি কোন ক্ষণে চাইবনা ।
যে প্রেম করিল মোরে পথ ধুলার তুল্য
পায়নি যেথায় কিঞ্চিত্ পরিমাণ মূল্য ,
তবুও কেন জানি হেরিতে করছি সাধনা ?
দিবা রাতি সকল বেলা এটাই ভাবনা ।
তোমাকে দেখে সমূখে তোমার
দু’ফোটা ইতি অশ্রু ফেলার
তুমি কখনো কি একটু সুযোগ দিবে ?
একালে না হলে সেকালে কি পাব ?
নাকি সব কালে অপূর্ণ সাধ বক্ষে চেপে রবো ?
মোর তরে কি দু’ফোটা অশ্রু ফেলিবে ?
তোমাকে দেখব বলে আঁখি জলে
বেঁচে আছি প্রতিক্ষার ছায়া তলে ।