যদি কেউ জানতে চায়
যদি কেউ জানতে চায়
মৃত পুরী থেকে,
নয়তো প্রথম পদার্পনেই,
কেউ যদি জানতে চায় আমার বাড়ি কোথায় ?
আমি মৃতিকায়, তুমি প্রাসাদে কেন,
কেন তুমি হাওয়ায় ভেসে পাখিদের মত দিগন্ত নীলিমায়?
জন্মের স্রোতধারী সেতো ভিন্ন নয়।
ভ্রমনের শুরুতে সজ্জিত ছিলাম একই সাজে,
তুমি, আমি, আমরা।
অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ, কলিজা ফুসফুস
সবইতো একই ছিল,
শুধু আমি চলেছি ডিজেলে,তুমি থাউজেন্ড অকটেনে ।
এ বৈচিত্র কোথায় পেলে?
তবে কি লুন্ঠন করেছ মাঝ পথে
চেঙ্গিস খান, তৈমুর লঙ্গের মতো?
যতি কেউ জান্তে চায়–
আমি ফুটপাতে কাটাই বিনীদ্র রজনী,
তুমি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আকাশ চুম্বি প্রাসাদে।
উঠলে কিভাবে?সিড়ি কোথায়?কি করে পেলে সিড়ি?
মূলধন? সেতো একই ছিল যাত্রার শুরুতে সকলের।
কেউ যদি জানতে চায়—
তোমার সন্তানেরা পড়ে প্রাচ্যে,
দূরে বহু দুরে, যেন স্বর্গ রাজ্যে, একই দিনে
একই পোশাকে জন্মেছে যে শিশু ফুটপাতে,
কমলাপুর বস্তিতে অনাহারে, চিকিযসাহীন
ধুকে ধুকে মরছে প্রতি দিন।তাদের আত্মারা
আজ ঘুরছে খুঁজছে মিলাতে হিসাব,
একদিন এসেছিল একই বৃন্ত থেকে
এ প্রাঙ্গনে চরে বেড়াতে সমতায় ।
সে দিন আর বেশী দূরে নয়,
যেদিন নিগৃহীত আত্মারা তারস্বরে
চিৎকার করতে কড়তে উঠে আসবে
মৃত পুরী থেকে। জানতে চাবে,
আমরা মরে গেলাম কেন?
আমাদের বরাদ্ধ কে নিয়ে গেল লুটে?
ফিরিয়ে দাও আমার খাবার,
ফিরিয়ে দাও আমার বস্র,
ফিরিয়ে দাও আমার জীবন
তোমাদের মতো করে। ।