“মরে গেছে কবি”
এই জনপথে আর কবিতা লিখা হয় না
শুধু লিখা হয় অশ্রাব্য খিস্তি।
এই জনপথের সব কবি মরে গেছে
থমকে গেছে সভ্যতার ব্যপ্তি।
হয় না আর নতুন কবিতা লিখা।
পাঠক করে না আর কবিতা আবৃত্তি।
তাই তো অশালীন বিশ্রি শব্দের প্রতি
এই জনপথের আজ আসক্তি।
সহমর্মিতার কবিতা আর রচিত হয় না।
ঘৃণার স্তুপে চাপা পরেছে মানবতার কানন।
হিংসার আগুনে জ্বলছে এই জনপথ
কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে নীল গগন।
মাটি’র গন্ধ আর কেউ শুঁকে না
যে মাটি’তে লুকিয়ে আছে আত্মত্যাগের নমুনা।
মাটি’র নির্যাস কলমে ধারণ করে না কেউ;
করে না কেউ আর গর্বের পঙক্তি রচনা।
পাথরের গায়ে পাথরের আঘাত
বিপরীতমুখী অসহিষ্ণু প্রতিক্রিয়া।
ছিঁড়ে গেছে সহনশীলতার গালিচা;
অশ্রদ্ধা-দৈন্যতার প্রক্রিয়া।
এই জনপথে কোনো কবি নেই
যে ফুটাতো পাথরের গায়ে দুষ্প্রাপ্য ফুল।
আবেগের চাদর মাটি’তে বিছিয়ে
জাগিয়ে তুলতো ভ্রাতৃত্বের মূল।
এই জনপথের সব কবি মরে গেছে
তাই তো গতিহীন সমাজ সংস্কারের দর্শন।
বেড়ে গেছে চটি লেখকের আধিক্য
তাই তো চলছে নিয়ত মানবতার ধর্ষণ।
কবি সে কখনো সভ্যতার রানার
বিলি করে নয়া আলোর বার্তা।
যেখানেই আঁধারের রাজত্ব
সে পানেই তার বেদম যাত্রা।
কবি নেই তাই আলো নেই
অন্ধ যেন এই জনপথ।
আঁধারের বোরকা গায়ে পরে
আঁধারের সনে বন্ধনের শপথ।
হঠাৎ করে যেন এই জনপথের সব কবি মরে গেছে
স্তব্ধ হয়ে গেছে মননশীলতার চরকা।
তাই তো এই জনপথে আর সভ্যতা বুনন হয় না
হয় না আর মানবিকতার আব্রু রক্ষা।।