আসুন মানুষকে মর্যাদা দিতে শিখি ।
জগতের যে কি হলো মানুষের মঙ্গল মানুষ কিছুতেই সহ্য করতে পারে না । কারো আয় উন্নতি দেখলেই একেবারে পিওি জ্বলে উঠে মানুষের । মানুষের এমন হিংসাত্বক আচরন আমি কিছুতেই বরদাস্ত করি না । এই যেমন ইদানীং নানান পত্রিকায় সরকারী দলের ( নির্বাচনকালীন সরকার না নিয়মিত সরকার তা আমার জানা নেই, যে যার যার মতো বুঝে নিয়ে আমাকে বিব্রত হওয়ার হাত থেকে রক্ষে করবেন ) সাংসদদের কিছুমাত্র সম্পওি নিয়ে বেশ অস্হির হয়ে উঠেছেন । অথচ আমাদের আনন্দিত হওয়ার কতো সুযোগ ছিল । কিন্তু তা না করে নিন্দুকের মতো তাদের পেছনে উঠে পড়ে লাগলাম । কখনোই ভাবলাম না কত কষ্ট করে তারা গত পাঁচটি বছর আমাদের নিরন্তর সেবা দিয়ে গেছেন । আমাদের সুখে দুঃখে কত প্রবোধ বকেছেন । কত শ্রমের বিনিময়ে আমাদেরকে বর্তমান বাংলাদেশ দিয়েছেন । এসব মূল্যায়ন না করে বেঈমানের মতো তাদের সমালোচনায় উঠে পড়ে লেগেছি ।
আমরা মানুষ হিসেবে যেমন নিন্দুক তেমনি বোকাও । হলফনামায় কি সব আজেবাজে গরিবী তথ্য পেয়েই আমরা লম্ফঝম্প শুরু করে দিয়েছি । এমনকি এসব উচ্চমার্গীয় মানুষের স্ট্যাটাস নিয়েও টানাটানি শুরু করে দিয়েছি । মানুষকে এত গরীব (!) প্রমান করে আমরা যে কী সুখ পাই । আরে বাবা যতটুকু প্রকাশ না করলেই নয় ততটুকু প্রকাশ করার মানে এই নয় তাদেরকে আমরা নেহায়েত ভিক্ষুক শ্রেনীতে স্হির করবো । মানুষের মর্যাদা আমাদেরকে অবশ্যই অক্ষুন্ন রাখতে হবে । এবং এমন গরীবি অপপ্রচারনা হতে আমাদেরকে দূরে থাকতে হবে ।
পৃথিবীতে সবারই একটা সহ্যসীমা আছে । এই সহজ সত্য আমাদেরকে জ্ঞানে আনতে হবে ।
উনার বিরাট ভদ্রলোক তাই এখনও তেমন কোন প্রতিক্রিয়া বা অতিক্রিয়া দেখান নাই । তাদের জায়গায় আমি হলে কবেইেএক হাত নিয়ে নিতাম । অবশ্য সবাই চুপ থাকবে এমনটা ভাবারও কারনও নেই । ইতিমধ্যেই একজন তার বয়ান আমাদেরকে শুনিয়ে দিয়ে বাস্তবতা বুঝিয়ে দিয়েছেন । ইচ্ছে হলে ছয়শত কোটি টাকা অর্জন করাও নাকি কোন ঘটনা ছিল না । বেচারা নেহায়েত সৎ এবং ন্যায়পরায়ন দেখে কি অবলীলায় এসবের লোভ উপেক্ষা করে গেছেন । অথচ আমরা তার প্রশংসা না করে কি সব আজেবাজে ভাবছি । ছিঃ ।
আসুন মানুষকে মর্যাদা দিতে শিখি ।
……………..নিঃশব্দ নাগরিক ।