Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

দুই টুকরো কাশ্মিরী শাল – ৬

: | : ৩১/১২/২০১৩

(পূর্ব প্রকাশিতের পর )

 

 

মাঝরাতেই সেদিন ঘর ছেড়েছিল  বা ছাড়তে  বাধ্য  হয়েছিল  সালেহা !

তবে সেজন্য তাকে অবশ্যই   সকলের ঘুমিয়ে যাবার অপেক্ষায় থাকতে হয়নি ! কিংবা  চুপিচুপি বেরিয়ে  এসে    শেষ  পর্যন্ত মন্ডল চাচাদের পুকুরে আর ঝাঁপও দেয়া হয় নি তার ! বরং সকলের সামনে দিয়ে গর্বভরেই সে ছেড়ে আসতে পেরেছিল ঐ বাড়ী চিরতরে ।

আসলে শেষ পর্যন্ত যে কোথা থেকে কি হয়েছিল সেদিন সে সম্পর্কে আজও পরিষ্কার কোন ধারণা নেই সালেহার !  এমনকি বহু সময় বাদে যখন মৌলভী সাহেব দলবল নিয়ে এসেছিল তার কাছে একিন নিতে এবং উচ্চারণ করেছিল আহাদ মাষ্টারের নাম তখনও  বুঝি তার নিজেরই জীবনকে ঘিরে চলতে থাকা ভাগ্যের বারংবার এই দিক বদল সম্পর্কে কোনরকম পরিষ্কার ধারণা করার মতন অবস্হা তার ছিল না । কি যেন এক  ঘোরের মধ্যে বুঝি শুধু মৌলানা সাহেবের কথামতন ঠৌঁট নেড়ে সায় জানিয়ে গিয়েছিল  !

সেই ঘোর তার কাটেনি একেবারে শেষ পর্যন্তও ! এমনকি তার ভাই , বোন , ভাবী আর বাড়ীর ছোটরা যখন নিয়ম মাফিক কেঁদেকেটে বিদায় জানাচ্ছিল – তখনও তার কাঁদবার কথা মনেও আসেনি  ।  বা সত্যি সত্যি এতটুকুন কান্নাও কেন যে পায়নি তার ঐ মুহুর্তে !

আজ অবধি সে কথা মনে হলে মরমে মরে যান সালেহা !

ঠিক যেন এক চাবি দেয়া  জড় পুতুলের মতই অনুভূতিহীন হয়ে চলছিলেন ফিরছিলেন যেভাবে অন্যরা কিংবা   সঠিকভাবে বলতে গেলে  আসলে ভাগ্যবিধাতা তাকে চালাচ্ছিল !

সেই ভীষণ ঘোরের মধ্যেই তাকে এক সময় ঐ বাড়ী থেকে এনে বসানো হয়েছিল আহাদ মাষ্টারের আমকাঠের সস্তা  ছোট খাটটায় । তবে আশ্চর্যের ব্যাপার ছিল ঐ রাত্রে সালেহা খাটটা পেয়েছিল মোটামুটি ফুলে ফুলে সাজানো অবস্হাতেই । আসলে তাদের বাড়ীতে বিয়ের কাজকর্ম চলার সময় নাকি আহাদ মাষ্টারের অনুরাগী কয়জন এখানে চলে এসেছিল যথাসম্ভব ঘরটাকে নতুন দম্পত্তির বাসরঘর হিসাবে যথাসম্ভব সাজিয়ে তুলার জন্য ।

তবে তারা যা করতে পারেনি তা হলো ঐ একজন মানুষের উপযুক্ত খাটটাকে বদলাতে !  এমনকি এর পরেও আরও বেশ অনেক কয়টা দিনই লেগে গিয়েছিল  কাঠমিস্ত্রী ডেকে এনে বাড়ীর সামনের কড়ই গাছটা থেকে ডাল কেটে বড় আকারের খাটটা বানাতে ( যদিও আশ্চর্যের ব্যাপার হল , বড় খাটটাতে  শোয়া আরম্ভ করার পর থেকেই সালেহার মনে হচ্ছিল ঐ ছোট্ট খাটটাতেই যেন বেশি স্বস্তিতে ঘুমাতে পেরেছিলেন তিনি ! যদিও এই ভীষণ লজ্জার কথাটা স্বামীকে কখনোই মুখ ফুটে বলতে পারেন নি তিনি ! ) ।

আহাদ মাষ্টারের ঘরণী হিসেবে কি প্রথম দিন থেকেই স্বাচ্ছন্দ ছিল সালেহা ?

না।

মোটেই না। বরং প্রথমদিন থেকে  সালেহা কিছুটা কুন্ঠা (ঠিক লজ্জা বা নববধুর জড়তা নয় সম্ভবত ) ই বোধ করতেন মানুষটার সামনে । আসলে যে বিদ্বান আর পরোপকারী মানুষটাকে এতোদিন সমস্ত অন্তর দিয়ে দূর থেকে শুধু শ্রদ্ধাই জানিয়ে এসেছেন – ঘটনাক্রমে তারই ঘরণী হয়ে আসার অপ্রত্যাশিত সৌভাগ্য হয়তোবা মানুষটির সামনে ঠিক সহজ হতে দিচ্ছিল না তাকে ।

যদিও এমনটা খুব বেশিদিন থাকেওনি  । আহাদ মাষ্টারের একান্ত প্রচেষ্টা আর ভালবাসায় নিজ সংসারে মানিয়ে নিতে খুব বেশি সময়ও লাগে নি !

আহাদ মাষ্টারের সংসারে এসে যেটা পেয়েছিলেন সালেহা তা হল জীবনের প্রথমবারের মতন ( শেষ বারের মতনও হয়ত ! ) নিজের একটা বাড়ী । যমুনার তীর ঘেঁষে হোক ছোট্ট তবু সেই বাড়ীতেই সালেহা গুছিয়ে নিয়েছিলেন নিজের সংসার । প্রাচুর্য্য নয় , আহাদ মাষ্টার তাকে দিয়েছিল ভালবাসা আর স্নেহের মিশেলে নির্ভরতার এক পরম ভান্ডার । যা খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও কানায় ভরিয়ে দিয়েছিল সালেহার জীবন । এরই মাঝে সালেহা খুঁজে পেয়েছিলেন জীবনের সেই অনাস্বাদিত সুখ যা সম্ভবত প্রতিটা নারী মাত্রই মনে মনে খুঁজে বেড়ায় আজীবন । আর যা জোটে সালেহার মতন গুটিকয়েক ভাগ্যবতীর জীবনে ।

আহাদ মাষ্টারও সালেহার চাইতে বয়সে বেশ খানিকটা বড়ই ছিলেন । সালেহার যখন বিয়ে হয় তখন তার বয়স একুশ বাইশ হলেও আহাদ মাষ্টার ছিলেন প্রায় চল্লিশের কাছাকাছি । তার ইচ্ছা নাকি ছিল জীবনে বিয়েই না করার । তিনি চেয়েছিলেন একদা যে আদর্শ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন , সেই আদর্শকে যতটুকু সম্ভব নতুন প্রজন্মের  মধ্যে ছড়িয়ে দিতে । আর সে কারনেই যুদ্ধের পর আরো অনেকের মতন ছুটেননি প্রতিষ্ঠা আর প্রতিপত্তি অর্জনের পিছনে । রয়ে গিয়েছিলেন নিজ গ্রামেই ।  বেছে নিয়েছিলেন শিক্ষকতার মতন মহান পেশাকে । গ্রামেরই সামান্য প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক হিসেবে আমৃত্যু প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন গ্রামের ছেলেমেয়েদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়াবার ।

এমনকি তার সেই প্রচেষ্টা বাদ যায়নি নিজের স্ত্রীর বেলায়ও । বিয়ের কদিন পর থেকেই প্রতিদিন নিয়ম করে রাত্রিবেলা স্বামীর সামনে বর্ণমালার বই আর চক স্লেট নিয়ে বসতে হতো সালেহাকে । প্রথমদিকে লজ্জার কারনে গাঁইগুই করলেও তা ধোপে টেকেনি আহাদ মাষ্টারের অনমনীয় প্রচেষ্টার কাছে । রীতিমতন মাষ্টার সুলভ ধমক ধামকে নবপরিনীতা স্ত্রীকে বাধ্য করেছিলেন তার ছাত্রী হতে ।

এমনিভাবে কেমন করে দিন কেটে যাচ্ছিল ।

একসময় সালেহা  টের পেলেন মা হতে চলেছেন তিনি ।

আজও মনে পড়ে , সেই রাতটার কথা ।

আহাদ মাষ্টারের বিশাল বুকের ছাতির মধ্যে ছোট্ট পাখির মতন মুখ লুকিয়ে থাকা সালেহা বেগম ভীষণ লাজুক ব্রীড়ানত কন্ঠে স্বামীকে জানিয়েছিল তার গর্ভধারনের সংবাদটি ।

না !

কোন বাড়তি উচ্ছাস সেদিন দেখায়নি মানুষটি । স্বভাবসুলভ ধীর স্হির ও সহজভাবে কিন্তু ভারী মনোযোগের সাথে শুনেছিল সুসংবাদটি । প্রতিক্রিয়া কি একেবারেই দেখায়নি মানুষটি ? দেখিয়েছিল বৈকি । সারারাতভর তাকে বুকের সাথে জড়িয়ে রেখেছিল । আলগা হতে দেয়নি সে বাঁধন একটিবারের জন্যও –  তা ঘুমের মধ্যেই টের পেয়েছিল সালেহা ।

পরদিন আর একটি কান্ড করেছিলেন আহাদ মাষ্টার । প্রতিদিনের মতন দুপুরবেলা সেদিন আর খেতে আসেননি । স্কুল থেকে খবর পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ফিরতে দেরী হবে । এমনটা তার প্রায়ই হতো । নানান কাজ নিয়ে বাড়ী ফিরতে দেরী হতো মাঝে মধ্যেই । তবে এসব ক্ষেত্রে সাধারনত বাসা হয়ে যেতেন একবার ।

যাই আজ নিশ্চয়ই জরুরী কাজ এসে গেছে । যার কারনে বাড়ী আসার আর সুযোগ পায়নি মানুষটা – ভেবেছিলেন সালেহা ।

সেদিন একটু রাত করেই ফিরেছিলেন আহাদ মাষ্টার । একাও ফেরেন নি । তার সাথে এসেছিল জাহানারা আপা । আহাদ মাষ্টারের সম্পর্কে খালাতো বোন । বয়সে তার স্বামীর চেয়ে কিছুটা বড় বলে তারা ডাকতো জানু আপা বলে । বিধবা হয়েছিলেন খুব অল্প বয়সে । কোন সন্তান হয়নি । আর বিয়ে থাও করেনি ।

স্বামীর সাথে জানু আপাকে দেখে বেশ একটু অবাকই হয়েছিল সালেহা । কারন জানু আপা রাজবাড়ীতে তো  থাকে না । থকেন সিরাজগঞ্জে । ওখানেই নানারকম কাজ বিশেষ করে সেলাইয়ের কাজ করে নিজের জীবন  নিজেই চালায় জানু আপা । আহাদ মাষ্টার বোনকে যথা সম্ভব সাহায্য্য করতে চাইলেও কখনোই তা জানু আপা নিতে রাজী হননি । আর এ নিয়ে স্বামীর যে একটা গোপন দঃখ আর অভিমানবোধ আছে সেটাও জানতেন সালেহা ।

এর আগে বারকয়েক তাদের বাসায় এসেছে জানু আপা । একবার এসে দিন দুয়েক থেকেওছিলেন । তবে এর আগে প্রত্যকবারই এসেছেন আগে থেকে জানিয়ে এবং দিনের বেলায় । আর সবচেয়ে বড় কথা কখনোই  এ বাড়িতে ভাইয়ের সাথে জানু আপাকে আসতে দেখেননি সালেহা । তাই বিষয়টা তাকে অবাক করলেও মুখে কিছুই বললেন না সালেহা ।

যদিও রহস্য উদঘাটনে বেশি সময়ও খুব লাগেনি । সালেহা রান্নাঘরে সবার জন্য রাতের খাবার তৈরী করতে যেতেই একেবারে হাঁ হাঁ করে উঠেছিলেন জানু আপা ।

– আরে বউ করস কি ? করস কি ? এই অবস্হায় পরথম কয়ডা দিন খুব সাবধানে থাকতে হইবো রে তর বউ !

জানু আপা জানলো কি করে ? ভাইয়ের সাথে কখন দেখা হল তার ? আসার পথেই তো , নাকি ? কিন্তু এতোদিনে স্বামীকে যতটুকু চিনেছে সালেহা তাতে অন্তত পথের মধ্যে দেখা হওয়ার সাথে সাথে এসব কথা বলে ফেলার মানুষ তো তিনি নন !

তাহলে ?

– আপনে এত্তো রাইতে যে আপা ? ভাইয়ের বাড়ীতে আইবেন তো সক্কাল সক্কাল আইসা বেড়াইবেন না !

বুদ্ধি করে একটু ঘুরিয়ে জানতে চায় সালেহা ।

– আরি মরণ ! আমি জানলামই তো হেই হাইনজের কালে !

– কে খবর দিলো গো আপনেরে ?

– কে দিবো আবার ? তর সওয়ামীই দিছে রে !

– কিন্তুক তিনি আপনেরে পাইলো কই আপা ? কিছুই তো বুঝতাছি না গো !

সালেহার ভীষণ অবাক হওয়া দেখে এবার ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন জাহানারা । মিষ্টি স্বভাবসুলভ হেসে পুরো রহস্যটা এবার পরিষ্কার করেন তিনি ।

– ও বুজছি । আমাগো সাধু সন্নাসী ভাইটা তাইলে তোমারে কিছুই কইয়া যায়নি । হুন বৌ । আমি বিয়াল বেলা আচানক আমার পাগলা ভাইটারে বাড়ীত ঢুকতে দেইখা তো পুরা তাজ্জব ! তার উপর সারা চোখমুখ ভইরা আছে দুনিয়ার চিন্তায় । ঘরে ঢুইকাই আমারে কয় চলেন জানু আপা আপনে আমার লগে । কই যামু ? না , তার লগে অহনই এই বাড়ীত আইতে অইবো ! কারণ কি ? না , তার বৌ পোয়াতি । ইমুনভাবে কইলো মনে অইলো যে আইজ কাইলই বুঝি তুই বাচ্চা বিয়াবি !

বলে মুখে আঁচল চাঁপা দিয়ে হাসতে থাকেন জাহানারা । তার হাসি দেখে লজ্জায় একেবারে লাল হয়ে যায় সালেহা । খানিকটা রাগও হয় , এমন  বুঝের মানুষ হয়েও স্বামীর ছেলেমানুষের মতন আচরণের বর্ণনা শুনে !

কি লজ্জা ! কি লজ্জা !

– আমি যহন জিগাইলাম কয় মাস চলে তহন আর আমার বেক্কল ভাইয়ে তো কইতে পারে না । খালি কইলো সুখবরটা তুই কাইলই জানাইছস । আমি শুইন্যা   তো হাইস্যাই শেষ !

এবার যেন জানু আপার উপরই খানিকটা  অভিমান হয় সালেহার !

এটা  নিয়ে এতো হাসির কি হলো ? সে তো আসলেই মানুষটাকে সব কিছু ব্যাক্ষা করে বলেনি ! আসলে বলার মতন সময়ও পায়নি তো ! তাহলে মানুষটা জানবে কি করে ?

হটাৎ করেই এসময় হাসি থামিয়ে দিয়ে কেমন উদাসী আর ভাবুক হয়ে যান জাহানারা । পরের কথাগুলো বলে যান ভীষণ দরদ মাখিয়ে ।

– কিন্তুক হের পরে পাগলাটায় যা কইলো তাতে আমার কলিজা ছিড়া যাইবার লাগছিল বৌ । যহন কইলো , জানু আপা তোমার ভাইয়ের পয়লা পরথম সন্তান অইবো । এই খবরটা সবার আগে তো জানবার বুঝবার কথা আছিল বাড়ীর মুরুব্বী কুনু বেটি মাইনষের । কিন্তু আমার তো মাও নাই , আর চাচী খালাও কেউ নাই ! আমি অইলাম দুইন্যার এতিম । আপনজন আর মুরুব্বী বলতে যা এক আছ জানু আপা তুমি !

বলতে বলতে এবার কান্না ঢাকতে আঁচলে মুখ ঢাকেন জাহানারা ।

– তুমি আর না কইরো না জানু আপা ।  এই সময়টায় বাড়ীত একজন মুরুব্বী মাইয়ামানুষ থাকন লাগে না , তুমি কও ?

– এই দিকে আমি কইলোমথনই হুট কইরা চইলা আসি কেমনে – তুইই ক বৌ ! আমারও তো কাম আছে মেলা । বেটিগো কত্তগুলা বেলাউজ , পেটিকোট আর পোলাপাইনের ফারাগ (ফ্রক) এর ওয়াডার আছে । হেইডাও কইলাম তর জামাইরে । হুইনা পাগলডায় কয় মিশিন লয়্যা চলো ! তুমি বানাইবা আমার বাড়ীত বইসা । সব হয়্যা গেলে একদিন দুই ভাই বইনে মিল্যা বলে দিয়্যা যাইবো আইসা !

জানু আপারর কথা ঐ মুহুর্তে যেন মন্তরমুগ্ধের মতনই শুনছে ।

– তার মানে বুঝলি বউ এই পাগলায় আমারে মওকামথন পাইছে । এর আগে তো কুনুদিন কুটিবার চাইয়াও আমারে নিজের কাছে আইন্যা রাখতে রাজি করাইতে পারে নাই ! আমিও বুজলাম কয়ডা দিনের লাইগা না আইন্যা পাগলায় ছাড়বো না । আর আমারও সম্মাদটা হুননের পর থিক্যাই তরে একনজর দেখনের লেগা কইলজাডা পুইড়্যা যাইতে আছিল রে বৌ । তাই আর বেশি চিন্তা ভাবনা না কইরা চইল্যাই আসলাম !

– খুব ভালা করছ আপা । আমার শাউড়ীর মথন আমার মার মথন কাম করছো তুমি !

আনন্দ আর আবেগের অতিশায্যে জাহানারাকে দুই হাত বাড়িয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে সালেহা ।

উফ ! তার মতন সামান্য একজন নারীকে নিয়ে এতো ভাবে ঐ আকাশের মতন বিশাল মানষটা !

এতো সুখ সইবে কি করে সালেহা ! কিভাবেই বা দেবে মানুষটার এমন অপরিসীম ভালবাসার প্রতিদান !

ভাবতে ভাবতে সালেহার দুই চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়া কৃতজ্ঞতা আর আনন্দের সম্মিলিত অশ্রুধারা জাহানারার কাঁধ ভিজিয়ে নেমে যেতে থাকে পিঠ বেয়ে !!

( চলবে )

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top