Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

এভাবেই তো বলা যায়,
‘লেখা বাঁকা হবে বলে
সে প্রথম চিঠি লিখেছিল রুলটানা খাতায়।’
‘আর আমি লিখেছিলাম সবুজ পাতায়।’

এ কথা শুনে অনেকেই
আক্রমনাত্মক প্রশ্ন করে বসবেন।
তাই বলে এতো অল্প বয়সেই প্রেম,
এতো অল্প বয়সেই চিঠির আদান-প্রদান?

আমি এর কোন উত্তর দিতে পারব না।
আর কিই বা উত্তর

আমার আজো ইচ্ছে করে মামার বাড়ি যেতে,
‘চাওয়াই’ নদীর ধারে বসে চড়ুইভাতি খেতে ।
দুরন্ত সেই কিশোর বেলায়
গোল্লাছুট আর নাটাই খেলায়
পঞ্চবটির নাগর দোলায়
সুখের পরশ পেতে-
ইচ্ছে করে হারিয়ে যাই মধুর শৈশবেতে ।

সড়ক পথে পাড়ার বাঁকে ছোট্ট আলপথ,
বাঁশ বনের ছায়ায় দোলে স্বপ্নের শৈশব

মাটির খাঁচায় বন্ধি তুমি অতি ক্ষুদ্র অলি
দম ফুরালে যাবে চলি
ভব ঘরের মায়া ফেলি
অসীমের পানে
অতিথী তুমি ক্ষণিকের ভূবনে ।
কোথা থেকে এলে
কোথায় যাবে চলে
ক্ষণিকের অতিথী তুমি এ ভূবনে।।
কে হবে সুজন তোমার, কে হবে গুরু
ক্ষনিকের এ আলয় অসীমের শুরু
খুঁজতে হবে সুজন বন্ধু,সত্যিকারের

আমি কিছু মানুষের উপর যারপরনাই  বিরক্ত । এসব মানুষের দৃষ্টিশক্তিতে বেশ বড় রকমের ঘাপলা আছে তা আমি একপ্রকার  নিশ্চিত । এমন ক্ষুদ্র দৃষ্টিশক্তি নিয়ে যখন তারা এলেবেলে কথা বলে বসেন তখন মাথার ফোরটি নাইন ঠিক রাখা অতিশয় কষ্টের । তবু

ছয়টি ছেলে দুইটি মেয়ে তার
ছিল না সে অতি দরিদ্র,
গ্রাম্য ডাক্তার হিসাবে বেশ নাম ডাক
পেশাটাও তো ছিল অতি ভদ্র।

কিন্তু মানুষ করতে পারেনি
সে তার আটটি সন্তান,
এলোমেলো আর তছনছ হয়
তাদের সাজানো উদ্যান।

এসবের পিছনে কারন ছিল একটাই
সবই ছিল ঠিক, শুধু ঠিক ছিল না তার

অষ্টাদশ পর্ব
(ঊনিশ)
অনেকদিন বাড়ীতে যাওয়া হয়নি। অনন্তদা কোথায় আছে তাও জানা নেয়। বড় অভিমানী মানুষটি। নিজের বাড়ীতে মাথা গোঁজার যেটুকু জায়গা তাতে জীবনে যাবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেছে। সেটুকুও এখন ভাইদের দখলে। ভাইয়েরা অনন্তকে একটু খুঁজে দেখারও প্রয়োজন মনে করেনি। সে

নাটকের ভূমিকায় স্বামী স্ত্রী হয়ে
খাটের উপর ঘুমিয়ে ছিলেন দুজনে,
জোৎস্না ভরা মধ্য রাত তখন
নতুন স্ত্রী তাঁর বিভোর শয়নে।

অতীতের ভালবাসার সাথীর চিন্তা
ঘুম আসছিলনা স্বামীর দুচোখে,
তুলি নিয়ে ছবি আঁকতে চল্লেন তিনি
নতুন বধূকে একা ঘুমিয়ে রেখে।

পাশেই দাঁড়ীয়ে আঁকছিল ছবি
আঁকা বাঁকা তাকিয়ে নিজেই দেখে নিতো

এই জনপথে আর কবিতা লিখা হয় না
শুধু লিখা হয় অশ্রাব্য খিস্তি।
এই জনপথের সব কবি মরে গেছে
থমকে গেছে সভ্যতার ব্যপ্তি।
হয় না আর নতুন কবিতা লিখা।
পাঠক করে না আর কবিতা আবৃত্তি।
তাই তো অশালীন বিশ্রি শব্দের প্রতি
এই জনপথের আজ আসক্তি।

সহমর্মিতার কবিতা আর রচিত

আষাঢ়ে   ভরা   এক  বর্ষায়

মাঠে   এল    জল,

নৌকা   দোলে   ঢেউয়ের  তালে

জল   করে   টল   মল ।

পানির    নিচে   যে  দুর্বা  ঘাস

শেওলা    আছে   গায়,

ছোট   ছোট  সব   মাছ   গুলো

ঠুকরে  

বৃষ্টি তুমি হৃদয় দ্রাব,

শ্রাবণের ধারাঝর অনবর ধারাপাত,

জানালা গলিয়ে দেখো তার জাল শরীর।

বিন্দু থেকে সিন্ধুর সৃষ্টি না কি !

বস্তুত বিন্দুই সৃষ্টি ধার,

পিপাসার মগ্নতায় থেমে ছিল যে ভ্রূণ ফোঁটা–

ধীর তার এই জাল অবয়ব।

তারপর স্পষ্ট ছবির প্রলেপ এবং সেই পরিচিত মুখ

বস্তুত হৃদয় ছেঁকে নেওয়া

go_top