Today 12 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

এক
জমিদার ঈশা খাঁর প্রাসাদের বাগানে টুনটুনি পাখিদের আড্ডা ছিল। সারাদিনই টুনটুনি পাখিরা এদিক সেদিক নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াত। বাগানের ছোট্ট ডুমুর গাছটিতে বাসা বেধেছিল মুকুল টোনার বাবা-মা। মুকুল টোনার জোড়া টুনটুনি পাখিটা অল্প বয়সেই মারা গিয়েছিল। তাই সে ছিল একা। তার

ওরা নাচে
বেঘোরে নাচে 
না জেনে না শুনে
না বুঝে নাচে,
নাচের তালে তালে নাচে
দেখে দেখে নাচে
মোড়ে মোড়ে
ঘুরে ঘুরে
হৈ হুল্লুড় করে 
দলে বলে
লাফিয়ে লাফিয়ে
মাতালের মত 
বেহুশ হয়ে নাচে;
ম্যাকিয়াভেলীর মিথ্যা বাশীর সুরে
গোয়েবলসের নাচের

( পূর্ব প্রকাশিতের পর )

২ .

ঝ….ন….ন……না…..আ…..আ……ৎ !!

মধ্য ডিসেম্বরের কনকনে শীতের মঝরাতে যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন চারপাশের সমস্ত চরাচর জুড়ে বিরাজ করছে গভীর নিস্তব্দ্ধতা , ঠিক তখনই কাঁচের কোন কিছু শক্ত মেঝেতে ভেঙ্গে পড়ে গুড়িয়ে যাবার বিকট শব্দে দারুন ভয় পেয়ে

‘প্রজন্ম যতো একাত্তুরের’ তোমরা শোন
হাজার রাতে লেখা সেই কাহিনী,
`সোনামতি` গ্রামটির বুকে এসে একদিন-
বুটপায়ে নেমেছিল ‘পাকবাহিনী’ ।
তখনো ভাঙ্গেনি গ্রামবাসীদের ঘুম –
লালাভায় ভরেছিল লক্ষ বুলেট,
শত গ্রামবাসীর বুক ঝাঁঝরা করে
রঞ্জিত হয় আরো শত `বেয়নেট` ।
আগুনের উৎসবে ছিলনা কিছু
`অবোধ পশু` আর `বৃদ্ধ-শিশু` ;
ঝলশানো

পৃথিবীর সমস্তে এখনো প্রত্যাশা

কালো মেঘে ঢাকা পরেনি

এখনো আকাশের সবখান,

আমার চোখের কোণে

এখনো নিদ্রা জল হাসে

এখনো অনেকে প্রাপ্তপ্রাপ্তির অপেক্ষায়।  

আমি নিভেপ্রায় এক

অগ্নি শিখার স্পর্শে জ্বলি;

ভেসে চলি তীব্র জোয়ারে

আমরা যখন ঝগড়া করে প্রকাশ করি মনের টান;
সমাজ তখন হাততালি দেয়, ছোঁড়ে কঠিন নিন্দাবাণ !
আমরা এসব গায় মাখি না, জানি, কেন মারছে ফাল ?
প্রেম না পেয়ে দুর্ভাগারা প্রেমের ওপর ঝাড়ছে ঝাল !

আমার আজ বেশ কাঁদতে ইচ্ছে করে
নিঃশব্দে নয়,গগনবিদারী শব্দে
যেন বিশ্ব ব্রহ্মমান্ডটা কেপে উঠে
থরথরয়ি কাপতে থাকে চন্দ্র সূয গ্রহ তারা।
অশ্রু যেনো ভাসিয়ে নিয়ে যায় পাহাড়,পর্বত,উচু গিরি
স্থলভাগ বলে কোন শব্দ থাকবে না ডিকশানারিতে;
সকল অশুভ শক্তি ধ্বংস হয়ে যাক
এরপর শুরু হোক নতুন করে জীবন

শীতের পিঠা
শীতের ভোরে ভাপা পিঠা
খেতে ভারি মজা,
ভাস্পে সিদ্ধ মজার পিঠা
তৈরী নয়কো সোজা।

চালের গুরির তৈরী পিঠা
মাঝে থাকে তার গুড়
ভাস্প উড়ানো গড়ম পিঠা
শীতরে করে দেয় দূর।

দাদুর ডাকে ভেঙ্গ যায় ঘুম
উঠানেতে দেখি
ভোরের রোদে বসে দাদু
পেতে এক জল চৌকি।

খাওয়ার সাদে ঢেকুর তুলে
আমাকে ডেকে কয়,
শীতের

কি লিখেছ হে ভাগ্য বিধাতা?
কোথায় তোমার ইনসাফ?
ভাগ্যলিপির প্রতিটি পাতায়

লিখেছ কষ্টের বিলাপ।
আমি কি তোমার অবৈধ সন্তান?
নই কি তোমার সৃষ্টির বৈধ উত্তরাধিকারী?
লোক সমাজের ভয়ে কি তবে
আমার হক্‌  নিয়েছ কাড়ি?
কেন করেছ এতো পাতার হায়াত লিপি?
অল্প কয়েক পাতাতে করিতে খতম,
বছর বিশ না হয় করিতে
আচ্ছা

এমনি সময় দূর থেকে কিছু লোকের চীৎকার শোনা গেল। ওরা যেন এই মন্দিরের দিকেই আসছে। নবু,নেচু,শমী,বনুই ওরা সবাই ছুটে এসে মন্দিরের ভিতর ঢুকল। তার মধ্যে লেংড়া নেচুও আছে। ও নিজকে বাঁচাতে পড়িমরি করে দৌড়ে এসেছে। ওরা সবাই আধমরা লোকটাকে দেখে

go_top