Today 12 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

রোদের প্রখরতা কে হেমন্ত ঢাকে যেন কুয়াশার প্রলেপে,
ঝরা শিউলির শিশির মাখা গন্ধ, মেঘের মুখে যেন কলুপ এঁটেছে
শুধু আকাশ বেয়ে চেয়ে চেয়ে, শঙ্খচিলের ঝাঁকে নির্লিপ্ত মিলিয়ে থাকে
যেন শূণ্য হাওয়ার কোলে ভাসে চাওয়ার খানিক অবয়ব।

আরো খানিক ছিল প্রপিতামহের স্মৃতির আকড়
গুহা গাত্রে যে

চরম অভিব্যক্তি
প্রকৃতির তীব্র ভ্রুকুটি হেরি,
ভাগ্যের অসহনীয় অবিচার
ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার;
লভিতে লভিতে প্রাপ্য তার
হারায়ে সবি নবরূপে
নবস্বপ্নের নবজগৎ গড়ি।

লালিত স্বপ্নের আজ্ঞা ভরে
মনোজগতে ফিরে কর্মে পরিব্যস্ত;
পরিব্যাপ্তি তার মনোমন্ডল, দেহমন্ডল, ভূ-মন্ডল
সব ছাড়িয়ে অসীমের লালসে।

প্রকৃতি রঙ্গীন; ভাগ্য হাতছানি দেয়
চেয়ে দেখি অনিমেষে
সবই সে দিয়ে দিতে চায় নিঃশেষে।

পুনঃশ্চ,

ক্ষমতার বড়াই করো না….
……………………কাজী ফাতেমা ছবি
=========================
আসছি ভবে যেতে হবে
বড়াই করে কে, রয়েছে কবে
দুনিয়া সত্য, জীবন মিথ্যে তবে
মেহমান হয়ে হেথা এসেছি সবে।

তুমি আমি, আমি তুমি
বাস দুদিনের, সাক্ষী ভূমি
মরিচিকার পিছনে মিথ্যা ভ্রমি
শেষ ঠিকানা তিন হাত জমি ।

বিভবের আশে অন্যায়ে জড়াই
যতই জ্বলমল অট্টালিকা

পুনর্জাগরণ

আমি এক সুপ্ত আগ্নেয়গীরি,

ঘুমিয়েছিলাম   ৪২  বছর ধরে ।

বুক মাড়িয়েছে কত অস্পৃশ্য শৃগালেরা

আমাকে মৃত ভেবে। সত্যিই কি আমি মৃত ?

না আমি মৃত নই, আমি সুপ্ত ।

বছরের পর বছর ধরে শৃগাল হায়ানের পদ চারণে

দূষিত হয়েছে আমার বুক,

আর জমা হয়েছে ঘৃণার লাভা

সে অনেক অনেক দিন আগের কথা।এক দেশে এক রাজা ছিল।রাজার ছিল পাঁচ বউ।বড় বউ মোহিতা।এরপর যথাক্রমে চন্দ্রা,নন্দিতা,নন্দিনী,মোহিনী।রাজা তাদের ডাকল।পাঁচ বউ রাজার সামনে এসে বসে।
-সংসার আর ভাল লাগছে না।রাজ্য তোমরাই চালাতে পারবে।আমি বনে চলে যাব।ঈশ্বর সাধনা করব।জীবনের অনেকটা দিন তো ভোগেই

অতীত বর্তমান ভবিষ্যত
বলা যদি হয়
নাও বেছে সময়

সকাল এর মধুর সময়টা
এখন হয়ে গেছে অতীত
ভাবছি যে কি হবে
কালকে
অথবা পরশু তরশূ
অদুর ভবিষ্যতে ।

আরাধনার ধন
কোন সময়টা?
গুরুত্বপূর্ন ?
এই যে বসেছি
লিখতে অথবা করছি
শেয়ার আপন ভাবনা
বা করছি যে কাজ
বর্তমান ।

চলি বর্তমানে
শিক্ষা নিয়ে
অতীত থেকে
ভবিষ্যতের প্রেরনায়।

তবে আজ বলি
বর্তমানে চলি
বর্তমান

খুব আঁধার চারপাশ

ভেজা ময়লাগুলোর ওপর শুকুরের পায়ের ছাপ,

সবচেয়ে বড় গাছটিও বুঝি উপড়ে পড়বে।

শকুনের স্পর্শ আজ তোমার ঊরুতে

অপ্রিয় শব্দগুলো বারবার বাজছে আমার কানে

আর সব ব্যাথারা দেয়াল হয়ে কাঁপছে আমার মনে।

সমাজপতিরা হুঁশিয়ার করে, ” পর্দা কর গো রূপসীরা।
চাউনি ধাঁধানো মুখের আলোতে যুবকেরা হবে দিশেহারা !”
এ অধম জানে, কখন কোথায় কার মুখ পোড়ে কার চুনে-
যে সুজন মরে, মরতে পারে সে শুধু রূপসীর নাম শুনে !

 

কই সেই তারুন্য যে তারুন্যে আমাকে বলতে শিখিয়েছে আমার ভাষা বাঙলা, আমি স্বাধীন দেশের আর আমি বাঙালী । তবে কি তারুন্যের শক্তির অভাবে একটি সম্ভাবনার অপমৃত্যু ঘটবে ?

 চা এর স্টলে দুরন্তপনা, বন্ধুদের সাথে সারা

কত অশ্রু ঝরেছে দু’নয়নে
কাহারে তাহা বলি?
হৃদয় কুঠিরে অগ্নি চোষনে
বিরহ যাতনায় জ্বলি।
আপন সীমানায় বন্দি হয়ে
নিরবে দুঃখ বিলাস।
আপন মৃত্তিকায় গর্ত খুঁড়ে
করেছি আত্ম তালাশ।

কত নিশিথে নিশ্চুপ ধ্যানে
পড়েছি মনের পাতা।
লাল কালির চরম চুম্বনে
বেদনার গল্প গাঁথা।

কাউকে আজও হয়নি বলা
মুখবন্ধ সেই ডায়রী।
মলাটের গায়ে সময়ের ধুলা
রঙ বদলে

go_top