Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

 

জজ্ঞালের স্তুপের জটাজুটে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে-

জীবন ? রাজপথে – গাছপথে – ধুলোপথে – ফুটপথে

কুকুরের সাথে সহবাসে গুটিসুটি মেরে পড়ে থাকে,-জীবন !

বস্তিতে – পস্তাতে – সস্তাতে – পথে পথে

লাথি গুতো খেয়ে – খেয়ে বেড়ে উঠে, সে ও কী জীবন ?

আনাচে

কত আর?

পাহাড়সম ভার।

হাঁটুতে ধরেছে ঘুণ।

উৎসাহের বয়স নহে আর তরুণ।

 

বাঁধের নিচ হয়েছে ফাঁপা খোলস।

সামর্থ্যের গায়ে অনিচ্ছায় ভরা অলস।

ধস নামার গুছানো আয়োজন।

ভাঙ্গনের সাজানো উপকরণ।

 

ছায়াহীন কালো তিথি।

আলকাতরার লেপন দেয়া তকদীর বিধি।

নীতিবাণী সবি নিষ্ফলা।

ফাঁপা শূন্য গোলা।

নিরস হাহাকার।

অশ্রু বেকার।

কাঁপে না আরশ।

জিদের খুঁটি সরস।

 

এ যেন দুষ্ট

আজাজীল কেন আদমকে সেজদা করেনি?
এ প্রশ্নের জবাব হচ্ছে অহংকার
অহংকার নামক এবস্ট্রাক্ট কে বানিয়েছে?
এটা আমারও প্রশ্ন
সুতরাং আজাজীল এবং আদম
এর মাঝে অহংকার কি করে এলো?
এ প্রশ্নের জবাব আমার কাছে নেই
আমাকে প্রশ্ন করো না।

আদম এবং হাওয়া কেন বেহেস্তে থাকতে পারল না?
এ প্রশ্নের জবাব

চলন্তিকা এবং প্রথম আলোতে এটি ছিল সম্ভবত আমার সর্বপ্রথম লিখা।ভূলক্রমে লিখাটা এডিট করতে গিয়ে আমি ডিলিট করে ফেলেছিলাম।আজকে আমি চাচ্ছিলাম ফেব্রুয়ারীর লেখায় এর লিন্ক দিতে।তখন এই লিখা খুজে পাইনি।সেইজন্য লিখাটা আবার আজকে পাবলিশ করলাম। কেও কেও সম্ভবত এই লিখাটা পড়েছেন।যারা

সমস্ত বাড়ীটা ঢেকে আছে শোকের গভীর চাদরে !

আজ ভোরেই  এবাড়ীর কত্রী ফরিদা বেগম তার দীর্ঘ বিরাশি বছরের জীবনের অবসান ঘটিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন মৃত্যুর দেশে ! বেশ বনেদী পরিবারের মেয়ে আর বৌ হিসেবে বেশ একটা সুখ আর স্বস্তির জীবনই কাটিয়ে যেতে

দু চামচ বিশুদ্ধ তেল তাতিয়ে নিলে
যখন তুমি সকালে
ভাবছি এবার যাবেই বুঝি হিম
রুটির সাথে ছিল ভাজা আলু
ভালবেসে আনলে তবু
পোঁচ করা ডিম ।

খেতে খেতে পড়লো মনে
লংকা কুঁচি দিয়ে
চিড়ে খেতে লাগে দারুন
ভাজা হলে ঘিয়ে ।

মুড়ি মাখায় থাকে যদি
খাঁটি সর্ষের

মাথায় প্রতি মুহুর্তেই যেন হাতুড়ি পেটার শব্দ
ইটের পর ইট চারপাশে দালান, বাড়ি,
হিমেল সন্ধ্যায় নেয়া হয় না শীতের উষ্ণতা
শুধু নেয়া যায় কল-কারখানার ধোঁয়া, এলোপাথাড়ি ।

শুষ্ক কঠিন প্রকৃতি পরিপূর্ণ থাকে রিক্ততায়
দিনের আলো যেন নিমেষেই দৌড়ায়ে চলে যায়,
কর্মময় জীবনে মেপে মেপে সময় পার
জ্যাম

শুভদের বাসায় গিয়েছিলাম মাঝে এক শুক্রবার চলে গিয়েছে। অর্থাৎ ১৫ দিন আগে। এর মধ্যে একদিন ফোনে কথা হয়েছে, সেও এ সপ্তাহে নয়, গত সপ্তাহে। এত দীর্ঘ বিরতি নেওয়া আসলে ঠিক নয়। ছেলে দুটির জন্য মায়া হয়। মা প্রবাসী, বাবা থেকেও

হঠাত্‍ বাদল এলো
যেমন তেমন নয় প্রবল বেগে ;
চারদিক থেকে কৃষ্ণ মেঘের ঝাপটা
মাঠ ঘাট পথ শুন্য হলো ।

অচিন এক পাখি নিরাশ্রয়ে
দিক বেদিক ছুটছে ঠাঁই পাচ্ছে না ।
এক বৃক্ষ থেকে অন্য বৃক্ষ
একটি পত্র তল থেকে আরেকটি পত্রালে
কেহই তার ভার সইছে না ।

বাদলের

আমিরাতে দুই হাজার বছর–

এবার আমিরাতে দুই হাজার বছরের তাৎপর্যটা বলি, সতের বছরের ছেলে ছত্রিশ বছর বিদেশে অবস্থান করার পর সে ছেলে আর ছেলে রয় না; হয়তোবা রোগাক্রান্ত মৃত্যু পথপথি একজন, না হয়তোবা লাঠি আশ্রিত বাঁকাদেহী পুরাপুরি বৃদ্ধ একজন।

ঊনিশ শ নিরানব্বই

go_top