Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

বাহান্ন থেকে একাত্তুর

তারপর;

কেটে গেছে অনেকগুলো বছর

একুশ আসে একুশ যায়

আমার ভেতরটা বিদ্রোহ করে

তারা বারবার ফিরে আসে

আমরা ভুলে গিয়ে আবার

শ্রদ্ধায় মাথা নত করি, বলি

তোমরা দিয়েছ অনেক

আমরা তা হারিয়েছি অবহেলায়।

 

 

সারাদিনের খাটাখাটুনির পর বাসের মধ্যে ঘুমটা গভীরই হয় আলমগীর শেখদের। তখনই দেয়া হয় তাদের শরীরে আগুন। আলমগীর শেখ হয়ত নদী-ভা্গংনের শিকার কোন অসহায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনোক্ষম কিশোর, হয়ত স্বামী-পরিত্যক্তা অসহায় কোন নারীর একমাত্র অবলম্বন, হয়ত হতে পারে সে বখে যাওয়া

তুমি শুধু একবার বল

“জানি ভালোবাস আমায়”।

কী হবে? এই আকাশটা হবে আরও নীল।

পেজা তুলোর মত মেঘ গুলো

হবে আরও ভেজা।

গাঁদা ফুলের বাসন্তি রঙ

হবে আরও বাসন্তি রাঙা।

শীতের সকালের রোদ হবে,

চাকভাঙা মধুর মত ঝিম মিষ্টি।

তুমি শুধু একবার বল।

“আমি বুঝি তুমি বোঝাতে চাও যা”

এই দিন

আঁখি কোনে টলমল যতটুকু আছে জল
হৃদয়র সবটুকু ভালবাসা তোমায় দিলাম
যাঁরা দিয়েছো প্রাণ অকাতরে
মায়ের তরে একাত্তরে ।
প্রণাম,নমস্কার,সালাম তোমাদের তরে
যাঁরা দিয়েছো অমূল্যধন ইজ্জৎ বিসর্জণ
মাকে করেতে স্বাধীন ঐদিনে,
বেঁধেছে ভালবাসার ঋণে
বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ তোমাদেরই অবদানে।
জাগ্রত,জলন্ত বিবেক যেন
হচ্ছে প্রতিবন্দি ক্ষনে ক্ষনে
ধরছে ঘুনে দিনে দিনে,
বিবেক বিকিয়ে

মানব তন্ত্র আজ যন্ত্রের মন্ত্রে দীক্ষিত
মন তন্ত্র আজ স্বপ্নের জালে বেষ্টিত।

স্বপ্ন কন্ঠ আজ বাস্তবতার হাতে লুন্ঠিত
বাস্তবতা মন্ত্র আজ অর্থের চাপে কুন্ঠিত।

মানব যন্ত্র মন তন্ত্র ভুলেছে
শ্যামল মন শুষ্ক মরু বনেছে।

স্বপ্ন আঁচল আঁধারে রাত্রি চলেছে
ভাঙনের পথে নতুনেরে খুজেছে।

আমার মন গ্রন্থ আজ কাব্য

 

 

মেঘের পালকে
রোদের ঝিলিকে
জলের ছলকে
মনের তুলিতে মাধুরী মিশিয়ে
একেঁছি ছবি
হৃদয় পটে
তোমারি প্রিয়া
নয়নের নোনা জল দিয়ে ;

 

দুঃখের অনলে
মেঘের ভেলা
আকাশে ভাসে গো
বেদনার গরলে সে যে নীল,
প্রিয়াহীন রাতে
হৃদয় গভীরে
শূন্য ঝংকারে বীণ
ওগো বিরহে কাতর দীল্‌;

 

কেন যে সে
বুঝে ও বুঝে না
হৃদয় আমার
আহা কাতর কাহার তরে,
কি করে

হুমায়রা হিমি যেদিন তুমি চলে গেলে
দুর্বার বেগে আপনার দু পদে দলে ;
অর্ধ যুগের তিলে তিলে গড়া নিবিড় প্রীতির বন্ধন
করিতে ছিন্ন তোমার চিত্তে হয়নি কি সামান্য কম্পন ?

তছনছ করিছ সবি সর্বনাশী ঝড় বেশে
অতীত সুদূরে ঠেলে এ হৃদয়ে অহ্নি জ্বেলেছ হেসে হেসে

শিশির বিছানো ঘাসে আর;
শিউলি ঝরা পথের উপর দিয়ে নি:শব্দে
যে কখন চলে গেলো আমার প্রিয় শরৎ;
কেনো না বলে চলে গেলে শরৎ তুমি?
এখনো শুভ্র মেঘের ভেলায় ভাসিনি তো!
শুভ্র কাশফুল ছিঁড়ে ছিঁড়ে আকাশে উড়াইনি!
বিষন্ন আকাশ, বিষন্ন কাশের গুচ্ছ রেখে গেলে;
আর এক বুক হতাশা…..
শরৎ

দাঁড়াও ক্ষণিক

চঞ্চলা হরিণীর  মতো  গতি  তোমার,

যেন  পর্বত  চূড়া  থেকে  নেমে  আসা  ঝর্ণা,

ছুটে  যাচ্ছে  নাড়ীর  টানে  মিলন  মোহনায় ।

তোমার  আগমন  কার্পো  মাছের মতো  ধীর, মন্থর ,

বাড়তে ই  চায়না  যেন,

মা  বলেন  সবেইতো  শুরু , সে দিনের  খোকা,

দাঁত  পড়ে  দাঁত  গজালো , বেড়ে

এসেছি এক কমিউনিটি সেন্টারে
ওর এক বন্ধুর বিয়ের দাওয়াতে।
বেচারা বন্ধু সংকোচে ম্রিয়মান
দেশের বিদ্যমান সংকটে
তার এই বিয়েতে।

ও বলল  চিয়ারস চিয়ারস
বন্ধু আনন্দ কর।
এই দেশ থাকবে এরকমই
যার পরিবর্তন হবেনা কখনই।
তুই আমি কি সব প্রাকৃতিক
বা জৈবিক জিনিস বাদ দিয়ে
দিব? তা কি হবে?
সম্ভব কখনও?

ও জোর করে
টেনে

go_top