সম্পূর্ন জীবন ।
মানুষের জীবন কত বিচিত্র
হাজারো রংয়ের ছোঁয়ায় রাঙায়িত
কষ্টের নীল আর সুখের সাদা
কতবার বয়ে যায় জীবন ধারায়
ছোট্ট শিশুর অধীর আগ্রহ
কথা বলা আর হাটতে শেখা
তো তো শব্দে
একটা চকলেটে সারা পৃথিবীর আনন্দ পাওয়া
নিজেকে নতুন করে আবিস্কার করা
আস্তে আস্তে বোঝার প্রথিবীতে পা ফেলা
মানুষের জীবন এগিয়ে চলা…..।
মানুষের জীবন কত বিচিত্র
আধো শিশু আধো কৈশরে
বাবার কাধেঁ উঠে বেড়ানো
খেলার মাঠে বাধ ভাঙ্গা আনন্দে
নিজেকে মেলে ধরা প্রকৃতিতে,
জীবন বোধের স্বপ্ন ছোঁয়ার কল্পনাতে
বিদ্যালয়ের দুরন্ত জীবন কাটাতে কাটাতে
আস্তে আস্তে বেড়ে ওঠা…।
মনের অজান্তেই কল্পনাতে
নতুন নতুন চিন্তার জাগরনে
চারিপাশে আবিস্কারের নেশায় মেতে ওঠা…
কৈশরের সাত্যিকারের দুরন্ততায়
মনের মধ্যে অজানা স্বাদ ভালোবাসার আনাগোনা
লুকিয়ে লুকিয়ে চিঠি পড়ে
বইয়ের ভিতর আটকে রাখা….
জীবনের আনন্দে নিজেকে বার বার মেলে ধরা
অনেক রঙিন জীবন ধারা
সামনে এসে খেলা করা……।
আস্তে আস্তে জীবনটা এগিয়ে চলা
১৮ বছরের পরে নিজেকে খুজেঁ পাবার
প্রানান্তর চেষ্টায় নিমজ্জিত হওয়া
বিচিত্র জীবনের বিচিত্রতাকে মুখোর করা ।
মানুষের জীবন কত বিচিত্র
যৌবনে শক্তির চরম উৎকর্ষতা
হয়ত নষ্ট, হয়ত ভালোর পথে
নিজেকে ধাবমান করা….।
ফুলের কাছে নিজেকে বার বার সপে দিয়ে
অন্যজনের মনে ভিতর
নিজেকে প্রতিফলিত করা,
ভালোবাসার অতল তলে যৌবনের গান গাওয়া ।
স্বপ্নের এলোমেলো স্বাদে
জীবনের ঘূর্ণিপাকে নিজেকে আবার ফিরে পাওয়া
একঘেয়েমি জীবনে ৩০ বছরে
অণ্যকে নিয়ে ঘর বাঁধা
একে অপরের খুনসুটিতে
নতুনের অবগাহনে জীবনকে ধণ্য ভাবা
সংসার সাগরে দুঃখ সুখের দোলাচলে
একবার ব্যর্থতা, অন্যবার স্বার্থকতা…
এই নিয়ে এগিয়ে চলা ।
নতুন মানুষের আগমনীতে
ছোট্ট আরেকটি মুখের জন্ম নেওয়া
তারপর তাকে নিয়ে দুজনের স্বপ্ন দেখা
দুজনকেই ছোট্ট মুখটির উপর
নিজের মতন করে প্রতিস্থাপন করা
ভাবতে থাকা, চিস্তায় চেতনায় দুরন্ততা….
জীবনের হাজারো বিচিত্রতায়
নতুন কিছু যোগ হওয়া…..।
৪০- এ গিয়ে আবারও সেই
নিজেকে ফিরে পাওয়ার চিন্তা করা
কথনও হতাশ হওয়া
নিজের জীবনকে নিয়ে
আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করা….
নতুন করে সেই নতুন মানুষকে নিয়ে ।
সব শেষ হয়ে গেলেও
বিচিত্র মানুষগুলোর ভালোবাসায় বেঁচে থাকার
প্রানান্তর চেষ্টা করা
৪০ থেকে ৫০ এ অপরিবর্তিত জীবনে
হাহাকার হয়ে থেকে যায় বয়স হারানোর বেদনা ।
হিসাব কষতে কষতে আরো ৫টি বছর
কেটে গেলেই নিজেকে বৃদ্ধ ভাবতে শুরু করা
আবার অন্যের জন্য অপেক্ষা করা
সেই শিশু বয়সের মত……,
বাবা অথবা মায়ের এনে দেওয়া
চকলেটের স্বাদের মাঝে নিজেকে হারানোর মত ।
এখন অপেক্ষা সন্তানের মুখের চাহুনী,
আর এতটুকু ভালোবাসা পাবার আকুতি
যেভাবে ভালোবেসেছিলো ছেলেবেলায়
বাবা আর মা….. ।
৬০ বছরে চোখের পানিতে ভেসে গিয়ে
নিজেকে ফিরে পাওয়ার চরম স্বাদ
কৈশর, যৌবন, তারুন্যকে
ধরে রাখতে না পারার হতাশায় নিমজ্জিত
বৃদ্ধ জীবনে নীল কষ্টের অবতারানা
সাদা শুভ্র মেঘের সুখ কল্পনায়
বাকিটা জীবন কাটিয়ে দেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা….
আর ঠোটেঁর কোণে অজানা
সুখ অথবা দুঃখের হাসি
এভাবে কেটে যায় ভালোবাসার জীবন খানি….
এই হল বিচিত্র জীবনের সালতামামি ।
সাঈদ চৌধুরী ( রচনাকাল : বিকাল ৩টা ০৩.০১.২০১৪ইং)