আমি ভোট কেন দেব?
আমি ভোট কেন দেব?
আমি ভোট কেন দেব? যে দলের চেতনায় আমি উদ্বুদ্ধ সেই চেতনার আলোয় সবাই যাতে আলোকিত হতে পারে সেই আশা থেকেই বোধ হয়। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে যাদের জন্য ভোটের মাঠে যাব তাদের চেতনা কি জানতে হবে। আমি জানলাম তাদের চেতনা কি। জানলাম তাদের একটি চেতনা আছে যার সাথে বিবেক ও বাস্তবতার আপোষকামীয়তা একাত্মতা পোষণ করা যায়। সেটা না হয় করলাম। অতঃপর দেখলাম চেতনার চর্চার পরিবর্তে ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা পাতাগুলো চরম নির্লজ্জতায় সার্বজনিন মালিকানাকে স্ব-মালিকানার করায়ত্ত করার নিমিত্তে স্বর্ণলগ্নগুলোর সহস্রবর্ষী পরমায়ূকে গলাটিপে সমাধীস্থ করার সকল আয়োজন সাঙ্গ করেছে। তখন সহমতী চেতনার অমোঘ স্বার্থ কিভাবে কামনা করি? না হয় আর একটু আপোষ করলাম। দেখলাম যে চেতনা আমাকে এই সহমতি চেতনার হাত ধরে পথ চলতে শিখিয়েছে সেই চেতনার চর্চা চিরায়ত রূপেই সে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রেখেছে। তাহলে কিভাবে আমি তার পক্ষে ঐতিহাসিক রায় দেব।
এবার ঐ চেতনাকে না হয় বাদ দিলাম। আর একটু বেশি আপোষকামীতায় লিপ্ত হই। সেখানে খুজে পেলাম ইতিহাসরে সাথে বিশ্বাসঘাতীদের। তাহলে আমি কেন ইতিহাস তাদের সাথে যাতে বিশ্বাস ঘাতকতা করে সেই ইতিহাসের সাক্ষ্য হবনা। কেননা আমি ইতিহাস সৃষ্টি করিনা আমাকে ইতিহাস জন্ম দিয়েছে।
ইতিহাসের পথ ধরেতো আপনাকে চলতে হবেই। কেননা ইতিহাস আপনাকে জন্ম দিয়েছে, ইতিহাস আপনাকে পথ চলতে শিখিয়েছে। আবার আপনি যদি ইতিহাসের হাত না ধরে সামনে এগোতে চান সেটাও তে ইতিহাসের অংশ। সুতরাং ইতিহাস আপনার নিত্যসঙ্গী হবেই হবে।
আশার কথা হলো-ইতিহাস কোন সমস্যারই সমাধান না করে থাকেনি। অপেক্ষা করি, দেখি ঐতিহাসিক সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য ইতিহাস আবার কোন ইতিহাস সৃষ্টি করে।