নষ্ট কাব্য-২
স্বাধীনভাবে বড় হয়েছিল তার দু’টি মেয়ে
শাসন যে ছিল না মোটে,
পড়াশুনায় ছিলনা তো মন
পাড়ার ছেলেরা সুযোগে মজা লোটে ।
সন্ধ্যায় দেখা যেতো তাদের ঘরে
রাতভর আড্ডা চলত বকাটেদের
বিড়ি খেত, তাস খেলত
কিছুতেই বাঁধা ছিলনা তাদের।
আচমকা একদিন তার বড় মেয়ে
বলা নেই কওয়া নেই হয়ে গেল পোয়াতি
সংসারে তাদের নেমে এল ঘোর অমাবস্যা
এক একটা দিন যেন ভয়ঙ্কর কালো রাতি।
অবশেষে ডাক্তার বাপ তার
নতুন অতিথি কে করে দিল ধ্বংস
পৃথিবীর মুখ দেখার আগেই
বিদায় নিল জারজের বংশ।
সহসা বাপ তার মেয়েটিকে বিয়ে দিতে
ঠিক করল গরিব লাচার এক পাত্র
চাল নেই চুলো নেই পাত্রের
থাকার মত একটি ঘর ছিল মাত্র।
বিয়ের পরই শুরু হল মেয়েটির
দুঃখ কস্টের জীবন
সুখের জীবন যাপন ছেড়ে, অভাব অনটনে পরে
জীবন তার এখন আঁধারকালো ভুবন।
এই কস্টের জীবনে তাদের ঘরে আলো হয়ে
এসেছিল তাদের একটি পুত্র
গরিবানা জীবনে, চাহিদার আধিক্যে
মিটল না কভু ঝগড়ার সুত্র।
এমনি একদিন তাদের বিবাহিত জীবনের
হয়ে গেল অবসান
তালাকে হল তারা আলাদা
পুত্রের জীবনটা করে দিয়ে শ্বশান।
শান্তিতো তবু আসলো না ফিরে
অবাধ্য দু:খী মেয়েটির
কোথায় যাবে, কি করবে
পারলো না করতে স্থির।
কিছু একটা করবে কি করে
শিক্ষা যে ছিল কম তার
দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়
জীবনটা পুড়ে হলো ছারখার ।
আবারো বেচে নিলো সে নষ্টের জীবন
জীবন তার ভরপুর হল বেদনায়
রোগাক্লিষ্ট শরীর নিয়ে আজ তার
সময় কাটে এর তার বিছানায়।
আবারো বলব চরিত্র অমূল্য ধন
নষ্ট যেন না হয় অবহেলায়
মা বাবার চরিত্র গড়া সন্তানদের
জীবন যেন না ভাসে দুঃখের ভেলায়।