জাগরণ
ভোরের ঐকতানের সংগীতের আগমণে,
জাগরিত হতে হবে, গাইতে হবে যে গান,
অস্পৃষ্ট প্রতিটা নুতন দিনের জন্য,
অপেক্ষা করতে হবে তাকে ভরিয়ে দেওয়ার জন্য।
আমাদের একটি রংধনু আঁকাতে হবে,
সাথে থাকবে তার সকল প্রতিশ্রুতি।
নয়ত ঢিমে ওই ক্যান্ভাসটাও যে,
ম্লান হয়ে ফুটে উঠবে।
প্রতিটা দিনই যখন তার নিজস্ব রং বইয়ে নিয়ে আসে,
তখন শুধুই নির্বাচন আর মিশ্রিত করতে হবে।
আনন্দের রঞ্জকে, শুভ মুহূর্তটাকে,
হাসি আর অট্রহাসি, এই সব মিলিয়ে।
আমাদের তখন যা আঁকাতে হবে, তা শুধুই জীবনের জন্য,
নিজস্ব উপায়ে, সমস্ত প্রয়োজনে নির্মান করতে হবে।
মূল্যবান কিছু, যা হবে ধীর্ঘস্থায়ী সৌন্দর্য্য,
হবে আমাদের যাত্রার পথটাও চিহ্নিত।
আঁকাতে তো হবেই, আমরা যে চিত্রশিল্পী।
এঁকে দিতে হবে বালির মধ্যে পদচিহ্ন—-
আকাশের ঐ লভোনীল, উষ্ণ সূর্য আর সুবর্ণ,
একটি তারের হালকা ছায়াযুক্ত খেলার মধ্য দিয়ে
মৃদুভাবে সাতার কাটানো কিছু গাছ।
পরিষ্কার করে নিতে হবে রংতুলিটা, বেছে নিতে হবে চিত্রকরের প্যালেট,
প্রানবন্ত আর জীবন্ত রং দিয়ে ভরিয়ে দিতে হবে আজকের ফাকা ক্যানভাস।