Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

শাড়ী……….(১ম পর্ব)

: | : ১০/০১/২০১৪

ভালবেসে বিয়ে করেছিল অন্বেষা আর আরিফ । তাদের কথা নিয়েই আমার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ।
======================================================

-এই শুন আজ আমাদের অফিসের একটা পার্টি আছে সন্ধ্যায় । তুমি রেডি থেকো। আমি সন্ধ্যায় এসে তোমাকে নিয়ে যাব ।

-ঠিক আছে । কি পড়ে যাব? থ্রি পিচ না শাড়ী ?

-শাড়ী পড় । শাড়ীতেই তোমাকে বেশী ভাল লাগে

-ঠিক আছে

কথাগুলো বলে আরিফ চলে গেল অফিসে ।

সারাদিন বাসার রান্নাবান্নার কাজ সেরে সন্ধ্যায় অন্বেষা আলমারি খুলে শাড়ী বাছাই করতে লাগল । তার পছন্দের রং গোলাপি । তাই বেছে গোলাপি শাড়ীই সিলেক্ট করল, সাথে গোলাপি কানের দুল হাতে গোলাপি চুড়ি গলায় হালকা নীল অর্নামেন্ট। আয়নায় নিজেকে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল অন্বেষা। আহ কি ভাল লাগছে তাকে। নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ ।

যথারীতি আরিফ সন্ধ্যায় অফিস হতে এসে অন্বেষাকে নিয়ে অফিস পার্টিতে গেল ।

চোখ ধাঁধানো আলোয় অন্বেষার চোখ ধাঁধিয়ে গেল । জমকালো অনুষ্ঠানে সে এই প্রথম এসেছে ।

ভিতরে ঢুকতেই আরিফের বন্ধুরা তাদেরকে ঘিরে দাঁড়াল ।

-শালা এতদিন বউরে লুকিয়ে রাখছিলি ক্যান?
-না তেমন কোন অকেশনে যাওয়া হয়নি তো তাই
অন্য এক বন্ধু বলল
-দোস্ত তো বউ তো দারুণ সুন্দরী রে ।
আর একজন বলল
-শাড়ীতে ভাবীকে যে অপ্সরা লাগছে । ওফ দারুণ লাগছে ভাবী আপনাকে । আপনাদের বাসায় কিন্তু বার বার হানা দিব । চা খাওয়াতে হবে কিন্তু ।
-জি । অবশ্যই আসবেন ।

সবাই অন্বেষার রূপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, এসব শুনে আরিফের মাথায় আগুন ধরে গেল। কোনমতে বন্ধুদের এড়িয়ে কাউকে কিছু না বলেই অন্বেষার হাত ধরে টানতে টানতে বাসায় ফিরে এলো ।

-কি ব্যাপার, এভাবে হটাৎ চলে আসলে যে?

-আসব না । যে রূপ নিয়ে জন্মেছ সবাই যে গিলে ফেলবে । কেন এত রূপ তোমার? খবরদার আর কোনদিন তুমি শাড়ী পরবে না । জামা-ই পরবে তুমি ।

-অযথাই রাগছ কিন্তু । আর আমার রূপ আছে এটা কি আমার দোষ?
-হ্যাঁ, এটাই তোমার দোষ । যাও চোখের সামনে থেকে যাও । যাও বলছি । রাগে গর গর করতে থাকে আরিফ ।

অন্বেষা চোখের পানি ফেলতে ফেলতে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বিছানায় শুয়ে কাঁদতে লাগল। কাঁদতে কাঁদতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল টেরই পায়নি অন্বেষা । ঘুমের মধ্যেই সে চলে গেল আগের দিনগুলোতে।

অন্বেষা মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে । লম্বা ৫.৪ ইঞ্চি । সবদিক দিয়েই তাকে সুন্দরী বলা চলে । পড়াশুনার পাশাপাশি একটা চাকুরীও পেয়ে যায় । কল সেন্টারে তার চাকুরী হয় । লম্বা আর সুন্দরী হওয়াতে অনায়াসেই সে চাকুরী পেয়ে যায় ।

কল সেন্টারে চাকুরী করার সময় আরিফের সাথে পরিচয় । একদিন আরিফই ফোন করেছিল কল সেন্টারে তার মোবাইল সেবা চেয়ে । প্রথম কথোপকথনেই ভাল লেগে যায় অন্বেষার কণ্ঠস্বর ।

এভাবেই দিনের পর দিন কথা বলতে বলতে তাদের মধ্যে প্রেম হয়ে যায়। এমনি একদিন তারা ঠিক করল দেখা করবে । কেউ কাউকেই দেখেনি । ফোন করেই তারা জায়গা ঠিক করে নিল ধানমণ্ডির একটা রেস্টুরেন্টে।

 

http://2.bp.blogspot.com/-QnJhIIlx-j0/UF30kMW5rjI/AAAAAAAAKZ8/FuaGmqogw3E/s640/9-18-2012.jpg

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top