সই-প্রীতি
আখ ক্ষেতে কচি গাছ লাউ এর লতা ,
‘পাতানী’র ‘খাসি’ খায় তাই যতো কথা ।
‘ফেলানী’র লোক ডাকা সাঁঝের বেলায়,
‘শুকানী’ সে নালিশের বহর শুনায় ।
‘আন্ধারি’, ‘কালটি’, আর ,’অঘনি’,
‘মোটাই’ বসেছে ‘কেঁথি’ মধ্যমনি ।
বিচারের রায় ভালো ‘খাসি’ নির্দোষ,
‘পাতানী’-‘কেঁথি’যে সই তাই আফসোস !
(**)
##############
মোদের ‘দুই বুবু’ যদি এমন হতো,
গাঁ-চড়া ‘ খাসি ‘ খাওয়া বিবাদ যতো ।
নিজেদের মতো তাঁরা মিটমাট করে,
সিধে-সাদা বঙ্গীয়’দের থাকুক অন্তরে !
এই কামনাই মোরা করি রাতদিন,
‘ক্ষমতার লোভটুকু’ শুধু বাদ দিন ।।
(‘**’ এইতো নব্বইয়ের দশকের সময়েও বাংলাদেশের গোটা উত্তরাঞ্চল জুড়ে গ্রাম্য এলাকার মা-বাবারা তাদের সন্তানদের এইসব আঞ্চলিক নামে ডাকতো । এইসব আঞ্চলিক নাম বেশ অথর্বহ আবার অতি আদরেরও বটে । তবে, হালে সময়ের সাথে কিংবা শিক্ষা / সভ্যতার বিকাশ ও মানূষের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের সাথে সাথে এই নামগুলো এখন নেই বললেই চলে । পরিবতর্নের সংস্কৃতি তথা আকাশ সংস্কৃতিও গ্রাস করেছে আমাদের শিকড় সংস্কৃতি কিংবা বলা যায় পড়শি দেশের বহুমাত্রিক সংস্কৃতি আমাদের নুতন প্রজন্মকে শিকড় থেকে ছিনিয়ে নিয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসছে । আমরা পরিবর্তন চাই , সবকিছুর বিকাশও হোক এই গ্লোবাল ভিলেজের সাথে পাল্লা দিয়ে । তবে, দেশীয় সংস্কৃতিকে বিসর্জন দিয়ে নয় । কেননা, শিকড় উপড়ানো বৃক্ষ দৃঢ়ভাবে টিকে থাকতে পারেনা । *পুণশ্চ :ছড়াটি কাল্পনিক তবে ব্যাঙ্গাত্বক নয় )