“কু-ঋণ”
পরিশোধ হবে না এই ঋণ
দেনার দায় থেকে যাবে অনন্তকাল।
যতদিন রবে মর্ত্যলোকের আয়ু
ঋণের বোঝা রবে ততকাল।
রক্তের ঋণে ঋণী করেছ মোদের
বল কেমনে করি তা পরিশোধ?
ফিরিয়ে দিবো মা-বোনের ইজ্জত
কাহার আছে এমন মুরোদ?
এমন ঋনে ঋণী করেছে মোদের
কোনো মূল্যে হবে না তা শোধ।
কু-ঋণের বোঝা খতিয়ান বহি’তে
রক্তের কালি’তে লিখা খোদ।।
তবুও মোদের গর্বিত উঁচু শির
নইকো মোরা বিষণ্ণ মলিন,
চাইলেই কি পারে কেউ?
কাঁধে নিতে এমন ঋণ।
মোরা সেই জাতি বিশ্ব দরবারে
রক্তের দামে কিনেছি পরিচয়,
কাহারো দয়া দাক্ষিণ্য নহে
পূর্বসূরির ত্যাগের বিনিময়।
ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রাণ
দু’লক্ষ মা-বোনের সতীত্ব।
এমন আত্মত্যাগে পেয়েছি তা
নহে তো করে দাসত্ব।
এমন আত্মত্যাগের ঋণ তবে
কেমনে করি পরিশোধ?
হীরা-মুক্তোও সম নহে
এই ঋণের বাবদ।
জানি কিছুতেই হবে না
শুধু পারবো জানাতে কৃতজ্ঞতা।
মুখের বুলি’তে নহে তা
কর্মে প্রমাণ সত্যতা।
দেশপ্রেমের চেতনা অন্তরে গেঁথে
কপালে বাঁধ কৃতজ্ঞতার গামছা।
দেশের তরে জীবন মোদের
এই হোক রোজনামচা।