Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

খানভবন হরর

: | : ২১/০১/২০১৪

horor

তৃতীয় পর্ব

একতলা দোতলা তিনতলার প্রতিটি রুম বাথরুম কিচেন সব দেখা হল।কোথাও সামিয়াকে পাওয়া গেলনা। শ্ত্রী শাহানা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।

জ্ঞান ফিরলে মেয়ের খোজ করেন যখন শোনেন এখন পাওয়া যায়নি তখন ই আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

কি পুলিশ তো এখন ও এসে পৌছলনা ।তোকে কি বলেছে ওরা জিজ্ঞাসা করলেন রহমান সাহেবের বড় ভাই।

এখন ও পুলিশ ফোর্স এসে পৌছাচ্ছে কেন কে জানে।আমিতো ফোন করে যাচ্ছি ।জিজ্ঞাসা করলে বলে রওয়ানা করেছে।আমাদের দেশের পুলিশ ।এদের কি আর মানুষ নিয়ে কোন মাথাব্যাথা আছে? ফোন করছি সাতটা এখন বাজে দশটা।

রহমান সাহেব এবার আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারলেন না।কান্না মিশ্রিত চিৎকারের সাথে বকাবকি শুরু করলেন পুলিশের যে কর্মী ফোন ধরেছে।

সেই তিনঘন্টা থেকে শুনছি আপনারা আসছেন আসছেন এটা কি অন্য ডিষ্টির্ট নাকি? এত সময় কেন লাগছে।আমার মেয়ে মিসিং।আমাদের ইম্মেডিয়েট প্রটেকশান দরকার।হয়তবা ভয়ন্কর কোন ক্রিমিনাল দের মাঝখানে পড়ে আছি ডুকরে উঠলেন তিনি।

পুলিশের এক কর্মী ফোন হাতে নিয়ে জিজ্ঞাসা করছে স্যার আপনার অ্যাড্রেস আবার বলেন।আমাদের ফোর্স একঘন্টা ধরে আপনার বাড়ী খুজতেছে ।তারা বলতেছে কোন বাড়ী খুজে পাচ্ছেনা।আপনাদের ফোন দিয়ে যাচ্ছে ফোন শো করতেছে ডিসকানেক্ট।

আমার ফোন তো ঠিক আছে।অস্থির জবাব রহমান সাহেবের।তিনি কিছুই বুঝতে পাচ্ছেনা এইসব কি হচ্ছে।

শুনুন মনোযোগ দিয়ে কথা আমাদের ফোর্স খুব দ্রত চলে আসবে কিছুক্ষনের মধ্যে।তারা পুরা জায়গা দেখে শুনে আসছে।আপনারা সব দরজা জানালা শক্ত করে বন্ধ করে সবাই একরুমে বসে থাকুন।ছেলেরা হাতে লাঠি বটি এসব নিয়ে হামলার জন্য প্রস্তুত হয়ে বসে থাকুন।

ভয়ে ওনার হাত থেকে ফোন পড়ে গেল।পুলিশটির কথা এখন শোনা যাচ্ছে।আমরা ট্রেস করেছি কম্পিউটারে আপনাদের জায়গা।ফোর্স খুজে পাচ্ছেনা কেননা আপনার ওখানে কোন ষ্ট্রীট লাইট নাই। এত অন্ধকার তারা কিছুই দেখছেনা ফোন দিয়ে ও পাচ্ছেনা আপনাদের।

এই সময় উপরের ছাদ থেকে কারও চিৎকার ভেসে আসল।সবাই আতকে মাটিতে বসে পড়ল।

চিৎকার করে উঠলেন রহমান সাহেব কেও উপরে যাবেনা।সবাই একজায়গায় বসে থাক নির্দেশ করলেন সামিয়ার বন্ধু দের।

একবন্ধু বলল চাচা কন্ঠ্স্বরে মনে হল সামিয়া।আমরা তো ছাদে খুজিনি সামিয়াকে। যে এই কথা শোনা সবাই লাফিয়ে লাফিয়ে ছাদের দিকে রওয়ানা করল।সামিয়াকে সবাই অত্যন্ত ভালবাসে।তার নিরুদ্দেশে সবাই বিষন্ন হয়েছিল এতক্ষন।

ছাদের দরজা খুলে সবাই দেখল দরজার পাশে বসে সে কাদছে।

সবাই তাকে জড়িয়ে ধরল চিৎকার করে।বন্ধুরা বলল এখানে এলি কিভাবে?

আমি জানিনা কিভাবে এলাম।সে অনবরত কেদে ই যাচ্ছে।আমি দাড়াতে পারছিনা।ভীষন দূর্বল লাগছে বলে সে বসে পড়ল মাটিতে। রহমান সাহেব শাহানা জড়িয়ে ধরলেন মেয়েকে পরম আবেগে সব ঠিক হয়ে যাবে মা ।আল্লাহর নাম কর।

ছাদের ছিটকানী লাগিয়ে তাতে তালা লাগিয়ে দেওয়া হল।

ভিতরে এদিকে হুজুরকে বাগে আনানো মুশকিল হয়ে গিয়েছে।সারা ঘর চরকির মত দৌড়ে যাচ্ছে হুজুর এবং অদৃশ্য কাকে তার ছাতার ডাট দিয়ে মারার চেষ্টা করছে আর বলছে সর খবিশের বাচ্ছা পিশাচের বাচ্চা সর সর তোরা।

ভাইজান আমি চইলা যামু ভাইজান।দরজা খোলেন।হুজুর কাদতে কাদতে বলে।

বাহিরে আরও বিপদ হইবার পারে হুজুর ।একটু ধৈর্য ধরেন আপনারে পুলিশের সাথে করে পৌছায় দেওয়া হবে।বলল বাসের ড্রাইভার।

প্রতিটি দরজা জানালা শক্ত করে ছিটকিনি লাগিয়ে তাতে তালা লাগিয়ে সবাই বসে রইল।পুলিশের কোয়ার্টার থেকে আবার ফোন আসল ।তারা নাকি অনেক চেষ্টা করা স্বত্বেও বাসার কাছাকাছি পৌছতে পারছেনা।প্রচন্ড বাতাস গাড়ী উল্টে পড়ে যাচ্ছে।

আমাদের এখানে তো কোন বাতাস নাই।অবাক রহমান সাহেব বলেন।

এখানে অনেক বাতাস ঘূর্নিঝড়ের মত। একজন পুলিশ বলছে ফোনে।তারা অভয়ের ভঙ্গিতে বলছে আপনারা চিন্তা করবেন না কিছুক্ষনের মধ্যে গাড়ী সরানো সম্ভব না হলে আমরা হেটে আসতেছি সবাই আপনাদের কাছে।দশজনের এক গ্রপ রওনা করে দিছে আপনার বাসার দিকে।শুধু পুলিশ দেখলে দরজা খুলবেন।অন্য কাওকে দরজা খুলে দিবেন না।

বাহিরে বাতাসের শো শো আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।ভিতরে আতন্কে কম্পমান কিছু মানুষ যারা এখন ও জানেনা কিছুক্ষনের মধ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে।

এই সময়ে প্রচন্ড জোরে বাহির থেকে দরজার কড়া নড়ে উঠল।সবাই লাফ দিয়ে উঠল চমকে।কিন্তু দরজার বাহিরে দেখার বা দরজা খোলার সাহস কার ও হলনা।

(চলবে)

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top