“পাথরের মূর্তি”
তোমাদের ভীড়ে আমি সেই পাথরের মূর্তি
স্থীর দাঁড়িয়ে অপরিবর্তিত যার মূকাভিনয়।
রোদ-বৃষ্টি;পাগলা ঝড়ের তাণ্ডব।
তবুও অবিকৃত তার ভঙ্গি-তার অবয়।
কেউ অবহেলার দৃষ্টিতে মুখ ফিরিয়ে নেয়
কারো বা দৃষ্টি আগ্রহে আতশ কাঁচ।
আমি দক্ষ মূকাভিনেতার মত একই ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকি
কোথাও পরে না একচুলও ভাঁজ।
কখনো সময়ের ধুলোর আস্তর
কখনো পাখির অনাধিকার চর্চা।
তবুও আমি অবিকৃত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকি
কোনো কিছুতেই হই না মূর্চা।
আমি চৌরাস্তার মোড়ের অবহেলিত সেই পাথরের মূর্তি
আমি কারো পথের বিশেষ চিহৃ।
কত জনের পথ দেখিয়ে গেলাম মুফতে
কৃতজ্ঞাস্বরূপ কহিল না কেউ মোরে ধন্য।
কখনো কখনো আমি বিজ্ঞাপন বোর্ড
বিনে পয়সায় লুটে ফায়দা।
মুনাফার এক কানা কড়িও আমার ভাগ্যজোটে না
যেন করেছি নিঃস্বার্থ সেবার ওয়াদা।
আমি সেই কঠিন পাথরের মূর্তি
টিকে থাকি অবিকৃত ভঙ্গিতে বছরের পর বছর।
প্রতিকুলতার মাঝেও আমার অবিচল আদিরূপ
বাহ্যিক ভঙ্গিতে নেই এতোটুকু অসংগতির আঁচড়।
কখনও কখনও কারো প্রয়োজনে আমি স্থান বদলাই
শুধু বদলাই না আমার অভিন্ন-অবিকৃত রূপ।
শত দুঃখ শত বেদনার তীর আঘাত করে আমার দেহ
তবুও আমার মুখাবয়ে লেগে থাকে হাসির প্রতিরূপ।