Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

পদ্মার চর (একটি গীতি কবিতা )

: | : ২৭/০১/২০১৪

কাক  ডাকা  ভোরে   ঐ   কে   এলোরে

ডাকছে   এমন   সুরে ,

দোর  খোলে  কাশেম   মাতব্বর   কয়

বল   খবর   তরা   করে ।

মাছ   ধরিতে   গিয়ে দেখে   এলাম

পদ্মায়   জেগেছে   নতুন  চর

সমির  মাতব্বর  আজি  লোকজন   নিয়ে

তুলছে  সথায়   তারা   ঘর ।

খবর   শুনে   জ্বলে    উঠে  মাতব্বর

রাগিয়া,  হুংকার   ছেড়ে   কয়

নতুন   জাগা   চর   আমাদের  হবে

মোদের, করতে   হবে তা  জয় ।

ডাক্   লাঠিয়ালদের  যে   যেথায়   আছে

ভোরে ই   যাবো  মোরা  চরে

চর   আমার   চাই- ই  যত  টাকা   যাক

তাতে   যদি বা   কেউ   মরে ।

খবর   শুনে   তা ই   লাঠিয়াল   সরদার

তার,   পুত্রকে   কাছে   ডাকে

চর   দখলের   ডাক   পরেছে  আজি

যেতে  হবে   সাথে   তোকে ।

পুত্র   শুনে  তা ই,  মন   খারাপ  করে

বাবাকে   স্ববিনয়ে   কয়

রক্ত ঝড়িয়ে  চর   দখল   করা

এমন  কাজ  মোর  পছন্দ  নয় ।

ছেলের   মুখে   এমন   কথা  শুনি

গর্জে  উঠে  কয়  বাবা  তার

লজ্জায়   মরি যে, ভীতু  ছেলে   মোর

আমি এক লাঠিয়াল  সরদার ।

আবার  সেই  লাঠিবাজি  আবার  সেই  খুন

কেঁদে   উঠেরে  মায়ের  মন

এলো  বুঝি  আবার  মরণের  ডাক

আজ, হাড়াবে  কার বুকের  ধন ।

তুমি  যাবে  যা ও  মনিবের  তরে

তোমার  জীবন  রাখো  বাজি

পুত্রকে   মোর   ভাসিয়োনা  রক্তে

কথা  টুকু   রাখ  আজি ।

তিরস্কার   করে  পিতা   হেসে  কয়

আজি,  আমিই  সেরা  সরদার

আমার  ঘরে  এক   জন্মেছে  ডরগপোক

এমন  কথা   বড়ই  লজ্জার ।

পিতার  তিরস্কার  সহেনা  মনে

আসলে, ভীতুর  ডিম  সে নয়

ভয়  কাকে বলে  জানেনা  তা  সেও

শুধু  খুন তার পছন্দ  নয় ।

মনের  দুঃখে  ভগ্ন  হৃদয়ে  সে

যায়  তার  পিতার  সাথে  সাথে

ভ্রক্ষেপ  নে ই  মায়ের   আহাজারিতে

মহা  খুশী  পিতা তাতে ।

কোয়াশার    ভোরে   লাঠিয়ালেরা

গিয়ে,  নামলো  পদ্মার   চরে

মার  মার  রবে  শুরু  হল  যুদ্ধ

কে  বাঁচে আর  কেবা  মরে ।

আহতের  চিৎকার আর  নিহতের  লাশ

চরে,   রক্তের  বন্যায়  ভাসে

পূর্ব  দিগন্তে  আজ  নতুন  সূর্য

হেন  দৃশ্য  দেখে  হাসে ।

ব্যাথিত   পুত্র  স্বকরুণ   চোখে

তার,  পিতার  পানে সে চায়

জয়ী  তারা  মহা  খুশী  পিতা

যেই  মরুক   কিবা  আসে  যায় ।

চেয়ে  দেখে  পুত্র  আহত  এক

অগ্নি  দৃষ্টি,  কষ্ট  করে

বর্শা   এক  খানা  ছুড়ছে  তখন ই

তার,  পিতাকে লক্ষ্য   করে ।

তীর  বেগে পুত্র  ছুটে  গিয়ে  দাঁড়ায়

তার,  পিতাকে আড়াল  করে

ছুড়ে দে ওয়া  বর্শা  পিতার  বুকেই

তার,  পুতোকে   হত্যা  করে ।

মরণের  আগে পুত্র  কেঁদে কয়

লাঠিয়াল  পিতার  হাত  ধরে

কথা দা ও  বাবাআর  নিয়োনা  রক্ত

কভু, আমার  মৃত্যুর  পরে ।

কাশেম  মাতাব্বর  খুশীতে বলে

তুমিই  দেশের সেরা  সর্দার

তোমার  ন্যায়  শক্তিশালী  লাঠিয়াল

এ  তল্লাটে  কহে  নেই আর ।

পুত্রের  বুকের  বর্শা  তুলে  সর্দার

বলে  অতি  স্নেহ  ভরে

তোমায়  দেয়া বচন  ভাঙ্গিলাম  পুত্র

প্রতিজ্ঞা  রক্ষারই   তরে ।

চোকের  পলকে সর্দারের বর্শায়

গেথে গেল  কাশেম  মাতাব্বর

হায়ানাদের হাত থেকে  মুক্তি পেল

পদ্মার  যত  মানুষ  আর চর । ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top