Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

স্বপ্ননীল

: | : ২৭/০১/২০১৪

shopno nil coverপায়েশ খাওয়া পর্ব শেষ। কাওসার ভাই মুচকি হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেলেন। তার মুচকি হাসির কারণ, বুবুর মিথ্যেটা আমার কাছে ধরা পড়েছে। আমার ধারনাই ঠিক। বুবু পায়েশ রান্না করেছে আমার এখানে আসার আগে। এটা নতুন কিছু না। বুবু আমার সঙ্গে সাজিয়ে গুছিয়ে এমন ভাবে মিথ্যে বলে যেন প্রত্যেকটা মিথ্যে সত্যের এক একটা সহোদর ভাই বা বোন। কিন্তু শেষ রক্ষে হয় না। আমি তার প্রতিটি মিথ্যেই ধরতে পারি। আগে মাঝে মাঝে ভাবতাম, বুবু আমার সঙ্গে মিথ্যে বলে কেন? প্রতিবার একটি উত্তরই পেয়েছি, আমার প্রতি তার যে অঘাত ভালোবাসা সেটা লুকিয়ে রাখতে চায়। আর এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমি প্রতিদিন তার হাজারটা মিথ্যে কথা শোনতে রাজি আছি। বুবু তার শাড়ীর আঁচল দিয়ে আমার মুখ মুছে দিলো। আমি বললাম, বুবু, তোমার দুই বীর চুণীপান্নাকে দেখছি না।
বুবুর মাথায় যেন বাজ পড়ল। স্থির দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি বললাম, কী হয়েছে ? এভাবে তাকিয়ে আছ কেন ?
বুবু থমথমে গলায় বলল, মিনু তোর কী হয়েছে বল তো শোনি।
আমার আবার কী হবে?
তুই আমার সাথে মাঝে মাঝে রসিকতা করিস সেটা ঠিক আছে। কিন্তু তুই আমার ছেলেদের নাম ভুলে যাবি, এটা তো মেনে নিতে পারছি না।
ও, আমি ওদের নাম ভুলে গিয়েছি নাকি ?
বুবু আমার দিকে পাথর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। অধিক শোকে মানুষ পাথর হয়, আর বুবু হয় অধিক রাগে। এরপর সে কী করবে তা আমি ভালো ভাবেই জানি। চোখ থেকে অশ্রু ঝরাবে, বাচ্চাদের মতো কাঁদবে। আর কাঁদলে তাকে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। মনে হয় যেন চোখ থেকে সৌন্দর্য ঝরে ঝরে পড়ছে। বিধাতার সৃষ্টিশৈলিতার প্রতি আস্থা বেড়ে যায়। আমি ইচ্ছে করেই আমার ভগ্নিপুত্রদ্বয়ের নাম ভুল বলেছি। যাতে বুবু রেগে যায় এবং তার রূপ বেড়ে গিয়ে দ্বিগুন তেগুন হয়ে যায়। বুবুর জমজ দুইটা ছেলে আছে। যাদের বয়স ছয় বছরের মতো। বুবু যেমন পৃথিবীর সেরা সুন্দরী, তার ছেলে দুটোকে এই বয়সেই সেরা দুষ্টোর টাইটেল দেওয়া যায়। ইতোমধ্যেই বুবুর চোখ থেকে দুই ফোঁটা অশ্রু ঝরে পড়েছে। বুবুর কান্না দেখে আমার মাথা ব্যথার প্রায় অর্ধেক ভালো হয়ে গেছে। না, বুবুকে আর কাঁদানো যাচ্ছে না। তার রূপের সৌন্দর্য অধিক বেড়ে গেলে আমার নজর লেগে যেতে পারে।
বুবুর দিকে তাকিয়ে বললাম, শোন বুবু, আমি ইচ্ছে করেই হীরা মানিকের ভুল নাম বলেছি। দেখতে চেয়ে ছিলাম তুমি ওদেরকে কতটুকু ভালোবাস। বুবু চোখ মুছতে মুছতে বলল, আমি জানতাম।
তুমি জানতে?
বুবু মাথা নাড়িয়ে হ্যাসূচক জবাব দিলো। আমি সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাস করলাম, তাহলে কাঁদলে কেন? বুবু প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে বলল, ওরা নাকি ওদের নানীর সাথে রাগ করেছে। তাই আমার সাথে আসে নি। মায়ের সাথে রাগ করেছে, কেন? বললাম আমি।
বুবু বলল, মাকে নাকি বলেছিল গাছ থেকে ডাব পেড়ে দিতে, মা দেয় নি। রাগ করে দুই ভাই দুই ঘরের দরজায় সুসু করে চলে গেছে। দেখেছিস, বাঁদর দুইটা কেমন দুষ্টো হয়েছে ? আমি যখন বললাম চল তোর মামার সঙ্গে দেখা করতে যাবি। এমন ভাব করল, যেন আমার কথা শোনতেই পায় নি। আমি আবার বললাম, তোদের মামা ঢাকা থেকে কতদিন পর বাড়ি এসেছে, দেখা করতে যাবি না? সঙ্গে সঙ্গে কী বলল জানিস? বলল, আমাদের উমুক যাবে! উমুক কী বুঝেছিস তো? আমি হেয়ালীর সুরে বললাম, না বুঝতে পারি নি, খুলে বলো। বুবু তার কন্ঠ ততক্ষনাৎ গম্ভীর করে বলল, মিনু! তুই আমার সাথে দুষ্টোমি করছিস? বলত এই বাঁদর দুটোকে কী করি?
আমি আমার মতো করেই বললাম, সকাল বিকেল দুই টাইম থাপড়াবে, দেখবে সব ঠিক হয়ে গেছে। ছেলেমেয়ে মাত্রাতিরিক্ত দুষ্টামি করলে, তার এক নাম্বার ঔষধ হচ্ছে মুগুর। জান না, মারের উপরে কোনো ঔষধ নেই।
বুবু ধীরে ধীরে বলল, ছেলেদের গায়ে আমি হাত তুলতে পারি না। ওরা আমার দিকে তাকালেই আমার অনেক মায়া লাগে।
তাহলে আমার কাছে পাঠিয়ে দিও। আমি যে কয়দিন বাড়িতে আছি, দৈনিক চার বেলা থাপড়াবো, দেখবে কেমন টাইট হয়ে গেছে।
আমার কথা শোনে বুবু যেন আকাশ থেকে পড়ল! ঈষদুচ্চস্বরে বলল, কী, তুই ভাগ্নেদের গায়ে হাত তুলবি! তোর হাত কাঁপবে না?
বুবুর কথায় ভ্রুক্ষেপ না করে আমি শান্ত গলায় বললাম, হাত কাঁপবে কেন? বরং মজাই লাগবে। বুবু শোনো, মার দেওয়ার মধ্যেও এক ধরনের প্রহ্লাদ আছে। দেখতে পারছ না, আমাদের সমাজের প্রভাবশালীরা এবং আমাদের নেতানেত্রীরা যুগ যুগ ধরে সাধারণ মানুষকে কেমন চাপা মার দিয়ে যাচ্ছে। ঢের আনন্দ না পেলে তারা কী এই কাজটি করতেন? বুবু বলল, থাক, তোকে আর ভাষণ দিতে হবে না। তোর না মাথা ব্যথা করছে, চুপচাপ শুয়ে থাক। বেশি কথা বললে ব্যথা মাথা আরো বাড়বে।
আমি মোটেও ভাষণ দিচ্ছি না বুবু, যা সত্য, তাই বলছি। একদল গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে হরতাল দিবে, রাস্তায় অবরোধ করবে। যখন কোনো নাগরিক গণতন্ত্রের অধিকার বলেই সেই হরতালকে অগ্রাহ্য করে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হবে, তখন তার মাথার উপর ককটেল মেরে মাথার খুলি উড়িয়ে দিবে, গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারবে! আরেকদল সংবিধানের দোহাই দিয়ে বসে বসে সেই ভয়ংকর মৃত্ত্যু উপভোগ করবে! এটাকে মার বললেও তো কম বলা হবে। এই নৃশংসতা , এমন বর্বরতা দেখার জন্যেই কি দেশ স্বাধীন হয়ে ছিল? ত্রিশ লক্ষ শহীদ জীবন দিয়ে ছিলেন? দুই লক্ষ মা বোন তাদের….. বুবু মোটামোটি ধমকের সুরেই বলল, মিনু, তোকে বললাম না চুপ থাকতে। আমি আর কিছু বললাম না। নির্বাক দৃষ্টিতে বেশ কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকার পর বুবু নিরবে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। ছেলেদের কথা বলতে গিয়ে বুবুর যেই চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ছিল, সেই চোখে মুখে এখন অমাবস্যার ঘোর অন্ধকার! অন্ধকার হবারই কথা, এই প্রশ্নগুলো আমি অনেককেই করেছি। মানুষ হত্যা করা, গাড়ী ভাঙ্গা, মানুষের জানমালের ক্ষতি করা, এসব কেমন রাজনীতি? এমন রাজনীতির চর্চা কি বিশ্বের আরও কোনো দেশে হয়? বুবুর মতো সবাই মুখ কালো করে ফেললেও কেউ কোনো সদোত্তর দিতে পারে নি! বুবু ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর কাওসার ভাই বললেন, ঢাকা শহরে কি খুব গেঞ্জাম হচ্ছে? আমি বললাম, জ্বী।
কাওসার ভাই দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, আমাদের দেশের কখনো উন্নয়ন হবে না। দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় চল্লিশ বছর হয়ে এল, জানি না আর কত দিন আমরা বিদেশীদের ভিক্ষার পাত্র হয়ে বেঁচে থাকবো? কখনো আমরা উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে দাড়াতে পারবো বলে মনে হয় না!
কাওসার ভাইয়ের মুখ থেকে যেন কেবল হতাশাই বেরিয়ে এল। এত হতাশার মাঝে মানুষ বেঁচে থাকে কীভাবে? জানি না আর কতদিন আমরা এভাবে বাঁচতে পারবো! আমি তাকে আশ্বাস দেওয়ার ছলে বললাম, হয়ত একদিন হবে। অন্ধকার যেমন কখনো চিরস্থায়ী হয় না। সব কিছুর-ই যেমন একটা শেষ আছে। ঠিক তেমনি হয়ত আমাদের দুর্দিনও একদিন ফুরাবে। যারা আমাদের মাথা, যারা আমাদেরকে পরিচালনা করেন বা করতে চান, হয়ত একদিন তাদেরও শুভবুদ্ধির উদয় হবে….
আমাকে শেষ করতে না দিয়েই কাওসার ভাই বললেন, কখনো হবে না। এদের মনে দেশপ্রেম নেই। এরা সবাই নিজ নিজ স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত! তাই তো ক্ষমতার জন্য এত কাড়াকাড়ি, এত মারামারি! পাঁচ বছর পর পর একই ঝগড়ায় মত্ত হচ্ছে বার বার! ব্রিটিশ, পাকিস্তান আমলে রাজপথের আন্দোলন যেমন ছিল, এখনো তেমনি আছে। এমন কি আরো অনেক বেশি সহিংস আকার ধারন করেছে। পরাধীন ও স্বাধীন দেশের আন্দোলন যদি একই হয়, তাহলে দেশ স্বাধীন করে কী লাভ হল?
এরই মাঝে কুসুম ও বুবু ঘরে ঢুকল। তাদের সঙ্গে আরো একটি মেয়ে আছে। কে এই মেয়ে? আগে কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। হালকা খয়েরি রঙের সেলোয়ার কামিজে রূপবতীর রূপকে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়িয়ে দিয়েছে। আমার ধারনা বুবু পৃথিবীর সেরা রূপবতী। কিন্তু এই মেয়ে বুবুর চেয়ে কোনো অংশে কম হবে না। যে কোনো ভালো পোশাক রূপকে দীপ্তিমান করে। কিন্তু এই রূপবতীর পোশাক তাকে সুন্দরী করে তুলেছে, না অপরূপার রূপের ছোঁয়া পাওয়ার কারণেই তার গায়ে জামাটিকে এত সুন্দর লাগছে? ঠিক বুঝতে পারছি না। অপরূপার রূপকে ছোঁয়ে দেখার লোভ সামলাতে না পেরে বিনা অনুমতিতে জানালার গ্রীল বেয়ে ঘরে ঢুকে পড়ন্ত বিকেলের সোনালী রোদ্দুর মেয়েটির মুখ ও বুকের অর্ধেক অংশ জুড়ে বসেছে । সেই রোদ্দুর বেয়ে বেয়ে যেন ঝরে পড়ছে রূপের বাহার। বুবু কুসুমকে পানি আনতে বলল। কিছুক্ষণ পর কুসুমের সঙ্গে মেয়েটিও বেরিয়ে গেল। তার কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে গেলেন কাওসার ভাই। আমার দিকে সামান্য ঝুঁকে এসে মুচকি হাসতে হাসতে বুবু বলল, কেমন দেখলি ?
আমি পাত্তা না দেওয়ার মতো ভাব করে বললাম, কি? ক্ষণকাল বিলম্ব না করে বুবু বলল, কুসুমের সঙ্গে যে মেয়েটি বেরিয়ে গেল। আমি মিনমিনে গলায় বললাম, ভালো-ই তো।
বুবু সোজা হতে হতে বলল, শুধু ভালো, অনেক সুন্দর না?
আমি শুতে শুতে শুষ্ক স্বরে বললাম, এ আবার কেমন সুন্দরী? নাক কেমন যেন টেরা, মাথার চুল ছোট।
বুবু বোধ হয় কিঞ্চিৎ হতাশ হল। তাই তো খানিকক্ষণ চুপচাপ বসে রইল। খানিক পর ফের আমার দিকে ঝুঁকে এসে বলল, মিনু শোন।
বলো।
মেয়ের বাবা কী করে জানিস? ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানি ইলেকশন করে ফেল করেছে। সামনে নিশ্চয় পাস করবে।
তাহলে তো নিশ্চিত গম চুরি করবে।
যা ছেমরা, কী যে আবোল তাবোল বকিস না। সব চেয়ারম্যানই কি গম চুরি করে? তাছাড়া ওর বাবা তো অনেক জমিজমার মালিক।
বুবু শোনো, সম্পদ আর সম্মান। এই দুই জিনিসের নেশা অনেক ভয়ংকর। যে যত বেশি পায়, তত বেশি বেশি চায়।
বিবাহ আলাপনের অতি উত্তেজনায় আমার ভারী কথা শোনা বা তা বুঝতে চেষ্টা করার মতো সময় বা মন মানসিকতায় বুবুর বোধ হয় এই মূহুর্তে নেই। তাই তো আমি কী বলছি বুবু তার বিন্দু মাত্র ভ্রুক্ষেপ না করেই বলল, মিনু শোন, এই মেয়ে তার বাবার একমাত্র সন্তান। তুই যদি ওকে বিয়ে করিস, তাহলে ওর বাবার অবর্তমানে সব সম্পত্তি হবে তোর। আর তখন তুই হয়ে যাবি এই এলাকার জমিদার। আমি কিঞ্চিৎ বিরক্তির সুরে বললাম, বুবু শোনো। এই মূহুর্তে তো নয়ই, জমিদার হওয়ার স্বপ্ন আমি কখনোই দেখি নি, এবং ভবিষ্যতেও দেখবো না। বিয়ে যদি করতেই হয় সুন্দরী ও লক্ষী দেখে একটা বউ ঘরে আনবো, কোনো রাজকুমারীকে নয়। বুবু বোধ হয় আর আগ্রহ পেল না। আমার কথা শোনে কেমন যেন মিইয়ে গেল। খনিকক্ষণ চুপ থেকে ফের বলল, আচ্ছা মিনু, ঢাকার ঐ মেয়েটা দেখতে কেমন রে? আমি খানিকটা অতৃপ্তির সঙ্গেই বললাম, কোন মেয়েটা?
ঐ যে, যিনি তোকে চাকরী দিয়েছে তার মেয়ে। মেঘলা না ছাগলা কী যেন নাম। ভালো, তবে তোমার মতো সুন্দরী না।
হৃষ্ট ঠোঁটে বুবু বলল, যা! বানিয়ে বানিয়ে যতসব মিথ্যে বলিস। আমি আবার সুন্দরী নাকি? মোটেও বানিয়ে বলছি না বুবু। আমার ধারনা তোমার মতো সুন্দরী পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। কেন কাওসার তোমাকে কিছু বলে নি ? বুবুর ঠোঁটের কোণে হাসির ঝলক ভোরের প্রথম সূর্যালোকের মতো ঝলমল করছে। বুবু প্রাণপণ চেষ্টা করছে সেই হাসিকে লুকানোর জন্য, কিন্তু পারছে না। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, বলে তো….
ক্ষণকাল বিলম্ব না করে আমি সোজা হতে হতে বললাম, আচ্ছা। আর কী কী বলে, বলো তো শোনি।
যা ছেমরা। ঢাকায় থেকে যথেষ্ট ফাজিল হয়েছিস তুই।
বুবু ধীর পায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। আমার বিশ্বাস দরজা পার না হতেই লুকানো হাসিটা ঠোঁট বেয়ে ঝরে পড়বে। এই হল বুবুর সাথে আমার সম্পর্ক। আমি তার ভাই, সন্তান, আবার সেরা বন্ধু। গত এক বছরে আমি যত বার বাড়ি এসেছি। বুবু তত বারই একটা না একটা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছে। আর আমি প্রতিবারই কোনো না কোনো যুক্তি দিয়ে বুবুকে পরাস্থ করেছি। আর কতদিন পারব কে জানে ?

(উপন্যাস স্বপ্ননীল থেকে……….আগামী বইমেলায় বইটি পাওয়া যাবে। যাদের বই পড়ার ব্যমো আছে, তাদেরকে পড়ার অনুরোধ রইল)

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top