“অযোগ্যতা”
একতিল যোগ্যতাও পাইনি খুঁজে আপন অরণ্যে।
তোমার চাকর-চাকরাণী’র ছায়া’র তুলনায়ও আমি নগণ্যে।
তোমার নখের যোগ্যতাও আমার চেয়ে ঢের বেশি।
তাই তো সচরাচর দেখি না ঠোঁটকাটা স্বভাবের আরশি।
আপন প্রতিবিম্ব আপনার কাছেই পায় না মুগ্ধতার সমীহ।
অন্যের তরফ থেকে সুপুরুষের খেতাব সে তো দুরূহ।
কোন কিছুতেই যোগ্য নই;সে আমি নির্দ্বিধায় মানি।
আমি যেন পরিত্যক্ত অবহেলিত কোন খনি।
পাঠশালায় গিয়েছি বটে তবু সীমিত জ্ঞানের পরিধি।
আমি খালবিলের মাঝি আর তুমি সাত সমুদ্দের সারথি।
তোমার কাঁধ বরাবর দাঁড়ানো সে তো আমার অভদ্রতা।
তফাতে শালীন দূরত্ব এই আসল শুদ্ধতা।
বিত্তবৈভবে ভিখারির চেয়ে আমার কিঞ্চিত ঊর্ধ্ব স্তর।
তোমার তুলনায় আমি ফুটো পয়সার দর।
নুন আনতে পান্তা ফুরায়;এমনি আমার জীবনধারা।
তুমি ধনীর দুলালী;জীবন তোমার কাছে রঙের ফোয়ারা।
তোমার সনে আমার তুলনা সে তো আকাশ পাতাল।
তুমি জমিদার কন্যা আর আমি যেন পরিশ্রান্ত রাখাল।
চোখের মাপেই পরিষ্কার তোমার আমার ব্যবধান।
প্রতি পদে পদে আমার অযোগ্যতার শ্লোগান।
আমি জানতাম আমার অসংগতি আমার অযোগ্যতা।
অস্বীকার করিনি তাই আমার আপন দীনতা।
সব অযোগ্যতা তুচ্ছ করে ঘটালে তেল জলের মিশ্রণ।
তবে অতিঅল্পক্ষণেই বুঝলে এ যে অসমানুপাতিক দ্রবন।
মোহের কুয়াশা কেটে ফুটে উঠল তেল আর জলের অসমতা।
বুঝলাম দোষ তোমার নয়;দোষ আমার অযোগ্যতা।