Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

আমরা করব জয় একদিন

: | : ২৮/০১/২০১৪

(নবম পর্ব )

এই সেই পাহাড় এর চূড়া পৃথিবী ধংসের পরে যেখানে জেলান আর আইমা প্রথমে এসে পড়েছিল। অনেক সৃতি তাদের মনে ভিড় করছিল। দুইজন দুইজন কে যদিও দেখছিল কিন্তু এখন তাদের মাঝে বাধা হয়ে আসছিল সময় প্রকৃতি। দুইজনে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলল তারপর নিজেকে প্রকৃতির হাতে সমর্পণ করা শ্রেয় মনে করলো। এই মুহুর্তে তাদের প্রথম কাজ হলো পৃথিবী ধংসের আগে র অবস্থানে যাওয়া। ওখান থেকে প্রয়োজনীয় কাজ করে পৃথিবী কে বাচাতে হবে আগে ধংসের হাত থেকে।

আরিয়ান তোমার এই যান কত টুকু পর্যন্ত এবং কত আগের পৃথিবীতে যেতে পারবে ?নোয়া জিজ্ঞাসা করলো।

আমি আরো দুই যুগ আগে যেতে পারব নোয়া। এই মুহুর্তে আমি যেতে চাচ্ছি এই প্রকোষ্ঠে যেখানে আমি পৃথিবী ধংসের আগে কাজ করতাম। আরিয়ান বলল। গালাক্সী এর সেভেন্থ ওয়াল।

ওখানে তো মাম্মি ও কাজ করত আরিয়ান। তুমি নিশ্চয় আমার মাম্মি র সব ইনফরমেশন পাবে। নোয়া উত্তেজিত।

আমি আর তোমার মা বন্ধু ছিলাম নোয়া সেই সময়ে । সে আর অত কিছু ভেঙ্গে বললনা।

নোয়া হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো দুজনের দিকে।

আরিয়ান তার টাইম মেশিন এ র সাথে কিছু সৌর রশ্মি তে পাথর উত্তাপ দিয়ে নিল। পাথর এর ক্যালসিয়াম কার্বনেট যোজিত হয়ে ক্যালসিয়াম আর কার্বন দুইটা মৌলিক পদার্থ এ পরিনত হলো। দুই টা সিলিকন কটেদ প্লাস্টিক এ ভরে নিল। সায়বর্গের কিলার বাহিনী র সাথে টিকে থাকতে হলে কার্বন দিয়ে স্মোক সৃষ্টি করতে হবে। একবার এদের চোখে ধুলা দিয়ে সৌর জগতে ভিতরে ঢুকে গেলে ওখান থেকে প্রয়োজনীয় প্রটেকশন দিয়ে পৃথিবীকে রক্ষা করার একটা চেষ্টা করা যেতে পারে। পূর্বে যখন পৃথিবী ধংশ হয়েছিল তখন তাদের কে আচমকা আক্রমন করা হয়েছিল। সেইজন্য তারা কোনো পূর্ব প্রস্তুতির সুযোগ পায়নি। তবে এবার তারা প্রস্তুত। এবার লড়াই হবে সমানে সমানে।

নোয়া তার শক্তিশালী টেলিস্কোপিক মেশিন এ দেখতে পেল এখন ও সাইবর্গ এর কিলার বাহিনী তাদের খোজে সপ্তমন্দলী মহাকর্ষ চষে ফেলছে। আপাতত তারা এখন আছে তার মেশিন এ জরুরি নাইট্রজেন্ এর মধ্যমে কৃত্তিম স্মোকের আস্তরণে যা শত্রুর শক্তিশালী মাইক্রোস্কোপিক লেন্স কে ফাকি দিতে সক্ষম।

দুইজন ছোটো ছোট নাইট্র জেন্ বম বানালো। বানাতে গিয়ে ঠান্ডাতে আরিয়ান এক আঙ্গুলের অর্ধেক ফ্রীজ হয়ে ভেঙ্গে পড়ল। সে এতই কাজে নিবিষ্ট হয়ে ছিল তার একটা আঙ্গুল ভেঙ্গে পড়ে গিয়েছে সে সচেতন ই হয়নি।

জেলান আইমা চিতকার করে উঠলো সেই বিস্মৃত হয়ে যাওয়া বহু আগের নামে।

নোয়া আরিয়ান দুইজনে চমকে গেল।

আইমা লজ্জা পেল দেখালো আঙ্গুল টা।

ইশ তুমি খেয়াল করনি। নোয়া আঙ্গুল টা তুলে লাগিয়ে দিতে চেষ্টা করলো।

ও কিছু আমার হরহামেশা ই এসব হয় নোয়া।

আমার বাবার নাম জেলান। মা কিছু হলে বাবার নাম ধরে চিত্কার করে। তুমি কিছু মনে করনি তো ?

কিছু মনে করবে কেন। আরিয়ান প্রবল আবেগে তাকিয়ে তার আত্মজ এর দিকে একবার তারপর আইমা র দিকে কৃতজ্ঞতায় ভালবাসায়। তার দৃষ্টি বলছে ধন্যবাদ আইমা আমাকে তুমি বাঁচিয়ে রেখেছে ওর মধ্যে।

আমি তোমার কাছে এই প্রতিজ্ঞা করছি পৃথিবীকে যে করে হোক ধংশের হাত থেকে রক্ষা করব। আমার ছেলে কে তোমাকে পৃথিবীর সব মানুষকে একটা বাস যোগ্য পৃথিবী দিয়ে যাব।

দুইজন দুইজনের চোখের তাকিয়ে রইলো। আইমা ও যেন বুঝতে পারল জেলান এর প্রতিজ্ঞা।

লেখক সম্পর্কে জানুন |
সর্বমোট পোস্ট: ০ টি
সর্বমোট মন্তব্য: ১ টি
নিবন্ধন করেছেন: মিনিটে

মন্তব্য করুন

go_top