আমার ভাবনায় বিয়ে, ঘর সংসার
সংসারকে সবসময়েই আমার কাছে ভীতিকর এক রনক্ষেএ মনে হয় । যেখানে অধিকাংশ সময়েই যুদ্ধের আয়োজন চলে, প্রতিনিয়ত যুদ্ধ চলে । কিন্তু কখনো কোন হারজিত হয় না । তবে দুইয়েই এবং সমস্তই পরাজয়ের থেকে তিক্ত স্বাদে ভোগেন । এবং একে অপরকে ও অপর অন্যকে দোষ দিয়ে দিব্যি সংসার কাটান । কোন মায়াজালে অথবা কোন ঐশ্বরিক নির্দেশনায় এ খেলা চলে কে জানে ?
আমার উপলব্ধির বর্তমান মানদন্ডে যদি নিজেকে সুখী রাখার উপায় হিসাবে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহন করি তবে কারো আপওি থাকার কথা নয় । তবুও আপওি । কেউ কেউ’তো কয়েক ধাপ এগিয়ে ষাট বৎসরের বার্ধক্যেকে পারলে তিরিশ বৎসরের যৌবনে নামিয়ে নিয়ে আসে । এবং আমার অনাগত দুর্ভাবনার কথা ভেবে নিজের বর্তমান সুখটুকুকে আপওির পর্যায়ে নিয়ে আসে । আমি এর কোন যৌক্তিকতা খুঁজে পাই না । আমাকে অন্যের মতো সুখী হতে হবে এমন সম্ভাবনার কথা ভাবলে শিউরে না উঠে পারি না । ধার করে পেট চালানো যায়, তাই বলে জীবন ? তিরিশ বৎসরের যৌবনের সুখকে ষাট বৎসরের বার্ধক্যের চোখ রাঙ্গানীর মধ্যে রাখার কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে কে জানে ! আর একটা সিদ্ধান্তই সকল দূর্ভাবনার সমাধান দিবে এর কোন নিশ্চয়তা আছে ? আর আপনি অতকাল বাঁচবেন এই আশ্বাসই বা পেলেন কোথায় ? মানুষ অবশ্য সম্ভাবনার কথা বলে । সম্ভাবনা নিয়েই বেঁচে থাকে । তাহলে হয়তো আমার কোন সম্ভাবনা নেই ।
আমাকে ভুল ভাবেবেন না । নিজেকে শুদ্ধ ভাবুন । এই আমি বড় অনর্বর, বড় কদাকার এবং পরিপূর্ন মূর্খ ।
………………………………..নিঃশব্দ নাগরিক ।