উত্তরা থেকে ফার্মগেট
আজ সকালটাই যেন কেমন,
তীব্র গরমে ঘামে ভিজেও
মুক্তি নেই গন্তব্যের পথ থেকে
চলতে না চেয়েও চলতে থাকা,
উদাস দুপুরের মত সবুজ সকালে…
বাসে উঠার তীব্র আকাঙ্খায়
ভীড় ঠেলে যখনই আমি উত্তরা বাসস্ট্যান্ড,
তখন যেন আরো বেশী করে লোকের সমাগম
পিচঢালা পথ রোদের আগুনে
যেন শিষ বের করছে,
কানে এয়ার ফোনের গানেও বিরক্ত…
এমন সময়ই হঠাৎ কেমন যেন শিক্ত হলাম,
দৌড়ে বাস ধরার চেষ্টায়
একটি মেয়ের অপ্রস্তুতি দেখে
না চাইতে চেয়েও আমার দৃষ্টি ফেরাতে পারিনি,
ভালোলাগার সবটুকু অনুভুতি যেন আটকে গেল
অন্যমনস্কতার অব্যক্ততার মোহে
হলুদ জামায় সাদা ওড়না,
বাতাসে মুখে এসে পড়া চার পাঁচটা চুলের ঝাপটা
হাত দিয়ে যখনি সরাতে গেল মেয়েটি
তার ফর্সা মুখের আলোর ঝাপটায়
আমি অনেকটাই ভালোবাসতে শুরু করেছি তাকে ।
এতক্ষনে উত্তরা থেকে বিশ্বরোডের তীব্র জ্যাম
আমার তাকে দেখা আরো সহজ করে দেয়,
মাঝে মাঝে তার কানে মোবাইলের আনাগোনা
ব্যাগের ভিতর হাত চলে যাওয়া
অথবা ওড়না ঠিক করার ভঙ্গিগুলো
আমাকে বাধ্য করছে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে…
আমি বার বার ডুব গিয়েছি
তার প্রতি ভালোবাসার অপার টানে
এতক্ষনে এমএইচে এসে পৌছেছে বাসটি
ভির ঠেলে যখন ঠিক আমারই পাশে মেয়েটি
ততক্ষনে বনানীর কাছাকাছি বাসটি….
অপেক্ষার প্রহর গুনতে হল আরো কয়েকটি
মহাখালিতে এসে আমার পাশেই মেয়েটি
আনন্দিত মনে ভালোলাগার তীব্রতা যেন উদগীড়িত…
ততক্ষনে জাহাঙ্গীর গেটে পৌছে যাওয়া
বিজয় সারনীর জ্যামে যেন মুখ খোলার সুযোগ মেলা
ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় বলে ফেলা
এই মেয়ে ভালোবাসি তোমায়….
আবার সেই চার পাঁচটা চুলের ঝাপটা সরিয়ে
অবাক দৃষ্টির চাওয়ায় আমার ঘামে ভেজা শরীর
কখন যে শুকিয়ে পিপাশার্ত হয়েছে,
তা বোধহয় ভুলেই বসেছি…..
জবাবটা পেয়েই গেলাম
অনেকটা অনাকাঙ্খিত স্বপ্নই যেন হাতে পাওয়া
আমিও ভালোবাসি তোমায় তোমারি মতন
বাস থেকে নামতে নামতে বলে ফেলা কথাটিই যেন
আজও চির নতুন
উত্তরা থেকে ফার্মগেট একটি ভালোবাসা হয়েছে মনেরই মতন
সেই থেকে ২০টি বছর করেছি তোমারই মনটাকে যতন…
উত্তরা থেকে ফার্মগেট……।
একটি স্বপ্নময় ভালোবাসার কবিতা ।
(সাঈদ চৌধুরী ০৫.০২.১৪ইং সন্ধা ৬টা )