স্পেস-১৪(অংশ১২)
-মজার মানে খুবই মজার।আপনি কখনো নৌকায় করে ভরা পূর্ণিমায় ঘুরে বেরিয়েছেন?
ফিক আবার মাথা নেড়ে না বাচক উত্তর দেয়।
-কি বলেন,এমন চমৎকার সুন্দর দৃশ্য মিস করেছেন!পৃথিবীতে এমন সুন্দর দৃশ্য আর হয় না।বিলের চারদিকে থইথই করা পানি।আকাশে রূপালী চাঁদ।চাদের রূপালী আলোয় ঝিকমিক করছে পানি।বিস্মিত না হয়ে উপায় নেই।এর মাঝে ঝড়ো বাতাস,গলা ছেড়ে গান¬-সে কি যে অদ্ভুত আনন্দ আসে মনে প্রাণে,সে আমি বুঝাতে পারব না।
-আমার তো এমন আবহাওয়ায় বেশ ঘুরতে ইচ্ছে হচ্ছে।
শ্রাবন্তী বড় ধরণের শ্বাস নিয়ে বলল-সে কি আর পাওয়া যাবে জনাব?
ফিক শ্রাবন্তীর দিকে ভাল করে তাকায়।চোখে মুখে এমন পরিবেশ পাওয়ার তীব্র আকুতি দেখা যাচ্ছে।শ্রাবন্তী বলতে থাকে-খুব ভোরে কখনও খালি পেয়ে শিশির ভেজা ঘাসে হেটেছেন?
-না।
-না,আপনি তো দেখি পৃথিবীর কোন চমৎকার কিছুর স্পর্শই পান নি।এসব সুন্দর দৃশ্য দেখেন নি বলেই এমন অজানা অনিশ্চত গন্তব্য যেতে পারছেন।
ফিকের পৃথিবীতে ফিরে যেতে খুব ইচ্ছে করছে।এত সব সুন্দর দৃশ্য ছেড়ে ভিনগ্রহে যাচ্ছে চিড়িয়াখানার পশু হওয়ার জন্য, কোন মানে হয়?আগে বুঝতে পারলে যেতই না।পৃথিবীর সব সুন্দর সুন্দর দৃশ্যগুলোর স্পর্শ নিত।তার বেশ খারাপ লাগে।।ফিক নিজের রুমের দিকে গেল।মন খারাপ হলে একা একা থাকা বাল্যবেলার অভ্যাস।শ্রাবন্তীর অনিকেতের কথা মনে পড়ছে।বিশেষ করে অনিকেতের একটা চিঠি।
প্রিয় শ্রাবন্তী,
আমার আজ কিছু করার নেই শ্রাবন্তী।তোমার কথা ভাবতে ভাবতে আমার সারাটাদিন কেমন চলে যায়,কিছুতেই বুঝতে পারি না।বিশ্বাস কর,তোমাকে না ভেবে একটু সময়ও আমার কাটে না।সকাল দুপুর বিকেল সন্ধ্যা রাত্রি সবসময় মাথার ভিতর শুধু তুমি,তুমি আর তুমি।যেন পৃথিবীতে শুধু তুমিই আছ আর কিছু নেই।
ইতি
অনিকেত
-ফুল কিসের জন্য এনেছেন?
অনিকেত মুচকি হেসে বলে-পথ দিয়ে আসতে ছিলাম।এমন সুন্দর ফুল দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না।মনে হল,ফুলটা তোমার খুব পছন্দ হবে মনে হল।