কল্পলোকের জীবন-কাব্য
ছিল এক অরণ্য-রাজ্য শান্তি-শুভ্রতায় পরিপূর্ণ
হরিত হৃদের কোমল রাজা-রানী সকলের অর্হ,
ধীরে ধীরে রাজ্যপাট এতো দূর চলে যায়
রাজা-রানীর ছায়া পড়ে না চোখের তারায়,
রইল শুধুই এক রাজকন্যা আর রাজপুত্র
বঞ্চকের শঠতায় হল অমোচনীয় দুরত্ব,
আঁখিজলে ভাসে বিমূর্ত রাজা-রানী
সংসর্গহীন রিক্ত প্রাসাদের নন্দিনী,
কার পড়েছে এমন দায় –
রাজকন্যার জন্য অশ্রু ঝড়ায় !
ভাগ্য পরিক্রমায় কন্যা হল মায়াবী রাজ্যের রানী
রানীর দুই কুমার প্রকৃতির দ্বৈত মূর্তি,
নদীর মতোন শান্ত বয়, রাগলে দাঁড়ায় হিমালয়
এ যেন আর কিছু নয়, মায়া রাজার পরিচয়,
মায়া কুমারী প্রকৃতির শান
ষড়ঋতুর অনুভবে বাঁধা তার প্রাণ,
সে দ্বীপ রাজ্যে আছে স্নেহের খনি
মায়াকন্যা সুর গাঁথে – এই তো স্বপ্নপু্রি ;
স্নেহে আর ভরে উঠে না রাজপুত্রের বুক
কবেই সে হয়ে গেছে ভালোবাসা থেকে দলছুট,
রানী তার বিড়াল তপস্বীনী
রাজ্য-সুখ খেলো যার শ্যেন দৃষ্টি,
সন্তানেরা তার মরুর বন্দী
ধূ-ধূ শুষ্কতা তাদের সত্তাজুরি,
গড়ে তোললো এক আপন গোর
লোক মুখে যার নাম হল প্রস্তর ।