স্পেস-১৪(অংশ ১৪)
শ্রাবন্তীর চোখ মুখ চকচক করে উঠল।খুব ভাল লাগছে।এত ভাল লাগছে কেন,বুঝতে পারল না।
-একটা বিয়েও করেছে।
শ্রাবন্তী চমকে উঠে বলল-কি?
-ছেলেটা কয়েকদিন হল বিয়ে করেছে।
ক্ষণিকেই শ্রাবন্তীর মনটা খারাপ হয়ে গেল।কান্না আসতে চাইল।যে ছেলেকে বারবার অবহেলা করেছে,তার বিয়ের কথা শুনে এমন লাগছে কেন?যেন কি এক অমূল্য সম্পদ তার ছিল,যেন আর নেই।বুকটা খুব শূন্য শূন্য লাগছে।
-একি আপনি কাঁদছেন?
-হু।
-কেন?
-সে তুমি বুঝতে পারবে না।এর নাম ভালবাসা।
-এটা আবার কি?
-এক ধরণের অনুভূতি।
-আমি কি আপনার হাতটা ধরতে পারি?
-আচ্ছা ধর।
হিপ শ্রাবন্তীর হাত ধরে।
-তোমার হাত ধরার ইচ্ছে হল কেন?
-দেখছি আমার ভিতর কোন অনুভূতি কাজ করে কিনা?
শ্রাবন্তী বেশ আগ্রহ নিয়ে বলল- কি করে?
-কিছু মনে হচ্ছে না।
-সে জন্য তুমি যন্ত্র আর আমি মানুষ।
-অনুভূতি থাকলেই একজন মানুষ হয়ে যায়?
-হু।
-তাহলে আমরাও একদিন মানুষ হয়ে যাব।আমাদের ভিতর অনুভূতি দেয়া খুব একটা কষ্টের কাজ বলে মনে হয় না।
শ্রাবন্তী হেসে বলে-বেস্ট অব লাক।
মহামন্য টিক বেশ চিন্তায় আছেন।পাঁচ ছয়দিন হয়ে গেল,এখনো দূরত্ব সীমার মধ্যে স্পেস -১৪ যায়নি।এমন তো হওয়ার কথা না।এ সময়ে টিনডিমুটা গ্রহে থাকার কথা।ও গ্রহের প্রাণীর সাথেও যোগাযোগ হচ্ছে না।এমন সময় জীবাণুবিদ আফিয়া রুমে প্রবেশ করে।
-আমি কিছু বুঝতে পারছি না মহামান্য?
-কি?
-এসব কি ঘটছে?
-আবার কি কান্ড ঘটল?
-আমরা এখনো দূরত্ব সীমার মধ্যে আসতে পারি নি কেন?
-বুঝতে পারছি না।আরেকটা ব্যাপার তারাও আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে না।তারা কি চাচ্ছে না,আমরা তাদের গ্রহে যায়?
আফিয়া কিছুটা ভেবে বলে-আমার তো অন্যরকম মনে হচ্ছে।