রক্ত ঝরা এ ফাগুনে
তাকাই যে দিক ফুটে আছে যেন রক্তে রাঙানো
রক্ত জবা ডালে ডালে রক্ত ঝড়া এ ফাগুনে।
নিশ্বাসে ঢুকে যায় অক্সিজেন নয়,
রক্ত মাখানো বাতাস ফুসফুসে।
চোখ মুদলেই আৎকে উঠি আমি
শুনে সেই চিৎকার,
মায়ের ভাষা কেড়ে নিতে দিব নাকো আমি।
আজো ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠে মা
শুনে সেই আত চিৎকার,
মাগো,
আসছি আমি তোমায় মা বলে ডাকতে।
শহীদের রক্তে ভেসে যাবে অন্যায়
জন্ম নিবে শত শত ভাষা সৈনিক,
তোমাকে মা বলে ডাকবে,
ডাকবে মাটিকে—-
ডাকবে তোমারি ভাষায়।
মাগো,
আমার মুখে তোমায় মা বলে ডাকতে দিলনা ওরা।
তুমি কেদনা মা,আমার কথা মনে হলে
তাকিওপাশের বাড়ির ছেলেটির দিকে,
সে তবু ডাকবে তোমায় ,
তোমারি ভাষায় মা বলে অনাধিকাল ধরে।
আমি দেখবো সেই নক্ষত্রালোকে বসে,
মা ডাক শোনে আনন্দে উদ্ভাসিত মুখ তোমার।
বছরের পর বছর কেটে যায়,
মাগো আজও কি কাদো তুমি?
তুমিই বলো মা,
আমি যদি মায়ের ভাষার জন্য না দিতাম প্রাণ,
তোমারি মতো আমার মাতৃভাষা মা-ও কাদতো
অনন্ত কাল ধরে,
সেকি তুমি সইতে পারতে মা?
এক মা কি আর এক সন্তান হাড়া মায়ের কান্না
সইতে পারে ?
মাগো,
এ ভরা ফাগুনে তুমি তাকিও যারা গেয়ে উঠে,
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙগানো একুশে ফেব্রুয়ারী”
তুমি দেখতে পাবে আমায় তাদেরি মুখে।
রক্তে রাঙা ফাগুনে তোমার হাসোজ্জল মুখ দেখে
ঘুমিয়ে যাবো আমি অপার আনন্দে।