মুক্তি যুদ্ধের গল্প (একাদশ পর্ব )
আমাদের দেশের অনেক মানুষই মধ্য প্রাচ্যের তথা আমাদের দেশ থেকে পশ্চিম দিকের যে কোন দেশের লোকদেরই খাঁটি মুসলমান বলে মনে করে । তোমরাও কি তাই মনে কর ? আসলে কিন্তু তা নয় । মধ্যপ্রাচ্য এবং তার আশে পাশের দেশ গুলির মানুষ এখনও সভ্য হয়ে সারতে পারেনি । আফ্রিকা মহাদেশের মানুষ তো এখনও অন্ধকার যুগেই রয়ে গেছে । আমাদের দেশের আদিবাসী সমাজে যেমন পুরুষেরা কোন কাজ না করে বসে বসে খেত, আর মহিলারা শ্রম দিয়ে উপার্জন করে সংসার চালাতো । আফ্রিকাতে এখনও সেই আদি কালের মতো অবস্থা বিরাজমান । পুরুষেরা শুধু ঘুরে বেড়ায় । আর মহিলারা মাঠে মাঠে কাজ করে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করে । অধিকাংশ পুরুষেরই একাধিক স্ত্রী । কোন পুরুষের ৪ জন স্ত্রী থাকলে তাকে সম্মানের প্রতিক হিসেবে একটি লাঠি দেওয়া হয় । সে লোক শুধু লাঠি হাতে নিয়ে এক স্ত্রী থেকে আর এক স্ত্রীর বাড়ি ঘুরে বেড়ায় । পুরুষদের নেশাই হলো খুঁজে বেড়ানো যে, কার মেয়ের বয়স ১০ পার হলো । তাহলেই তার বাবাকে উপযুক্ত পণ দিয়ে তাকে বিয়ে করে নিয়ে আসবে । মেয়ের বাবা মোটেই চিন্তা করবে না যে, তার মেয়ে একজন বয়স্ক লোকের সাথে বিয়ে দিচ্ছে । মেয়ের বাবার কাজটাই যেন মেয়ে জন্ম দিয়ে বড় করে বিক্রয় করা । এই সব দেশে পরিবার পরিকল্পনার কোন বালাই নেই । কাজেই একজন পুরুষ তার মেয়ের বয়সী বা তার নাতীনের বয়সী মেয়েকে বিয়ে করে বছরের পর বছর বাচ্চা ধরিয়ে দিয়েই তার দ্বায়িত্ব শেষ করে । মহিলাটি ১২ বছর বয়সে প্রথম সন্তানের মা হবার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে ফি বছর একটা করে সন্তানের মা হতে থাকে এবং নিজের পরিশ্রমের উপর ভর করে তাদের বড় করার কাজে নিজেকে নিয়োযিত রেখে সে ভুলেই যায় যে, সে একজন মানুষ । তার সুষ্ঠুভাবে জীবন উপভোগ করার আকাংখা আছে । তার পরও কোন মহিলা যদি অন্য কোন পুরুষের সাথে কথা বলে , হয়তো তাদের মধ্যে কোন সম্পর্কই নেই, তথাপী ঐ মহিলার স্বামী যদি কোন ভাবে সন্দেহ করে, তাহলে ঐ স্ত্রীর আর বেঁচে থাকার কোন উপায় নেই ।স্বামী তাকে নির্ঘাত কতল করে ফেলবে । বিক্ষাত লোক লাদেনের কথাই ধরা যাক । তার চারটি স্ত্রী বর্তমান । সেই সকল স্ত্রীর ঘরে এক পাল ছেলে মেয়ে । তার পরও তার ১৩ জন অবধৈ সন্তান আছে । ঐ যে ইসলাম ধর্মের একটি ফাঁক ফোকর আছে যে, কোন পুরুষ তার ৪ জন স্ত্রী থাকার পর যদি সে মনে করে যে এই ৪ জন স্ত্রী তার জন্য যথেষ্ট নয় তা হলে সে দাসীদের ব্যবহার করতে পারবে ।আর সেই সুযোগ লাদেনের মতো ধর্ম যুদ্ধের নেতারা অগনিত মহিলাদের ব্যবহার করতে মোটেই দিধাবোদ করেনি । লাদেনের বাবার স্ত্রী ছিল ২৬ জন ।আমাদের পাকিস্তানও সেই সকল আরবীয় দেশের পার্শবর্তী দেশ । কাজেই তারাও সেই রকমই আমাদের দেশে ধর্ম যুদ্ধ করে ।আর সভ্যতার দিক থেকে তারাও আরবীয়দের চেয়ে পিছিয়ে নেই । মোট কথা পাকিস্তানীরাও পুরুদস্তর সভ্য জাতি নয় ।বর্তমান ইউরোপ নিজেদের সভ্য জাতি হিসেবে দাবী করে । অথচ তারাই আজ থেকে ১০০/১৫০ বছর আগে ভারত বর্ষ থেকে মানুষ ধরে নিয়ে জাহাজ ভর্তি করে জীব জানোয়ারের মত ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্রয় করে দিত । এই ছিল তাদের সভ্যতার নমুনা । কাজে ই আমাদের যে পাকিস্তানীদের সাথে যুদ্ধ করতে হয়েছে তারা মোটে ই কোন সভ্য জাতি নয় । অনেকে বলেন মধ্যপ্রাচ্য ও তার পার্শবর্তীভূখন্ডের মানুষ অসভ্য থাকার কারণেই যুগের পর যুগ ধরে এই সকল এলাকায় ধর্ম নাজিল হয়েছে । যাতে ধর্ম প্রণেতারা মানুষদের সৎ পথে আনতে পারে । কিন্তু তাদের দেশে নাজিল হওয়া ধর্ম বর্হিবিশ্বের মানুষদের সভ্য বানিয়েছে, সৃষ্টি করেছে তাদের মধ্যে মানবতাবোধ । অথচ এই সকল ধর্ম ঐ সকল দেশের লোকদের সভ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনি । পারেনি তাদের মধ্যে মানবতা বোধের সৃষ্টি করতে । আমাদের পাকিস্তানীদের মধ্যেও কোন মানবতা বোধ নে ই । এখনকার দুনিয়াতেই যদি তাদের মধ্যে মানবতা বোধ না থেকে থাকে তবে আজ থেকে ৪০ বছর আগে এই পাকিস্তানীরা কতটুকু সভ্য ছিল তোমরা তা সহজেই অনুমান করতে পার ।বর্তমান দুনিয়ায় এসে ও যারা ধর্মের দোহা ই দিয়ে বোমা মেরে হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলতে পারে তারা ৪০ বছর আগে তারা আমাদের দেশে কি পরিমান নির্মমতা প্রদর্শন করেছে ।
মুক্তি যুদ্ধ চলাকালে যে সকল স্থান থেকে আমাদের নিকট সংবাদ আসতো যে, পাক হানাদাররা কোন ক্যাম্প থেকে বেড়িয়ে এলাকায় এসে মেয়েদের ধরে নিয়ে যেত, নিজেদের খাওয়ার জন্য গরু ছাগল নিয়ে যেত, ঐ সকল ক্যাম্পে ই আমরা আক্রমন চালাতাম । আক্রমনের ফলে কোন কোন ক্যাম্প পরদিনই তুলে নিয়ে যেত, অথবা নিদেন পক্ষে ঐ সকল ক্যাম্পের হানাদাররা পরে আর ক্যাম্পের বাইরে বের হতো না ।অবশ্য হানাদাররা বাইরের ক্যাম্প গুলিতে কখনও স্থায়ীভাবে থাকতোনা । বড় রাস্তার ব্রীজ গুলিতে রাজাকারদের ক্যাম্প ছিল । পাক হানাদাররা মাঝে মাঝে এসে ঐ সকল ব্রীজে ডিউটিরত রাজাকারদের সহায়তায় নিকটবর্তী গ্রামে গন্জে ডুকে পড়তো । অগ্রীম সংবাদ পেয়ে যে সকল মেয়েরা বাড়ি ঘর ছেড়ে পালাতে পারতো তারা বেঁচে যেত , আরযারা না পালাতে পারতো তারা নির্বিচারে ধর্ষীত হতো । ফেরার পথে তারা গরু ছাগল যা পেত সব ধরে নিয়ে যেত । এই রকম কোন ধরনের সংবাদ পেলেই আমরা ঐ সকল ক্যাম্প আক্রমন করতাম । আমাদের আক্রমনের অর্থ এই নয় যে, সেই আক্রমনের ভয়ে পাক সেনারা দেশ ছেড়ে চলে যাবে । আমাদের আক্রমনের উদ্দেশ্যই তা ছিল না । প্রথম দিকে আমাদের উদ্দেশ্যই ছিল আক্রমন করে তাদেরকে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া যে, মুক্তি যোদ্ধারা এলাকায় আছে । তারা বড় রাস্তার নিচে নামলে বিপদে পরতে পারে । কোন কোন আক্রমনে উপরি পাওয়ানা হিসেবে দুচারজন রাজাকার মারা যেত । আবার কোন কোন ক্যাম্প থেকে রাজাকাররা গুলি বন্দুক ফেলে পালিয়ে যেত । এমন অবস্থা হলে আমরা বেশ কিছু গুলি বন্দুক পেয়ে যেতাম ।
এমনই যখন সারা দেশের যুদ্ধের অবস্থা তখন আমাদের নিকট খবর আসতে লাগল কোদালা ব্রীজের রাজাকারদের সহায়তায় পাক সেনারা প্রায় প্রতিদিনই কোদালা ব্রীজের পার্শবর্তী এলাকায় প্রবেশ করে নারী ধর্ষণ করছে এবং সাধারণ নাগরীকদের গরু, ছাগল লুট পাট করে নিয়ে যাচ্ছে । তখন বর্ষাকাল কেটে গেছে । সম্ভবত তখন অক্টোবর মাস চলছিল । আকাশ পরিস্কার । যেকোন অবস্থাতেই বড় রাস্তা থেকে নেমে যে কোন দিকে চলে যাওয়া যাবে । সংবাদ নেওয়া হলো রাতে ব্রীজে রাজাকার ছাড়া আর কেউ থাকে না ।তাই পরিকল্পনা হলো এবার আর দূর থেকে অভিযান নয়, একেবারে ক্যাম্পে গিয়ে অভিযান চালানো হবে । আমাদের কোম্পানীর টু-আই-সি, ই পি আর এর সদস্য ছিলেন এবং কোম্পানী কমান্ডার সেনাবাহিনীর লোক ছিলেন । ফলে তাদের নিকট ইউনিফর্ম এবং চাকরীরত পুলিশদের নিকট হতে আরও কিছু খাঁকি পোশাক জোগার করা হলো ।১০ জনের একটি গ্রোপ খাঁকি পোশাক পরে রওয়ানা হলো অপারেশনে ।একটি গ্রোপ ব্রীজ থেকে খানিক দূরে অবস্থান করতে থাকল । যদি এ্যাডভান্স পার্টি কোন রকম বিপদে পরে তবে তাদের সাহায্যে এগিয়ে যাবে তারা । পুরো প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকল আমাদের একটি গ্রোপ । তখনকার দিনে আজকের দিনের মতো মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা ছিলনা । কাজেই কোন সংবাদ দিতে হলে গুপ্তচরেরা পায়ে হেটে সংবাদ নিয়ে যেত । অবশ্য সরকারী বাহিনীর হাতে ওয়ার্লেস সেট থাকতো । কাজেই তাদের পক্ষে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা খুবই সহজ ছিল যেটা আমাদের পক্ষে ছিল না ।অভিযানের পরিকল্পনা সন্ধ্যা রাতেই করা হল গাড়ি সংগ্রহের সুবিধার জন্য । কারণ তখনকার দিনে এখনকার মতো এত ঘরে ঘরে বা রাস্তা ঘাটে গাড়ি পাওয়া যেত না । আমরা কুমুদিনী হাসপাতালে গেলাম । হাসপাতালে বিদেশী ডাক্তারদের চলাচলের জন্য একটি ডাবল ক্যাবিন পিক আপ ছিল । আমরা হাসপাতালে গিয়ে যোগাযোগ করলে ডাক্তাররা ড্রাইভার সহ তাদের পিক আপটি আমাদের দিয়ে দিল । আমরা পিক আপ নিয়ে গাদা গাদী করে বসেকোদালা ব্রীজের দিকে রওয়ানা হলাম । সবাই রাইফেল এক দম কাক করা অবস্থায় ছিলাম । ব্রীজ থেকে আধ মাইল দূরে থাকতেই আমরা টর্চ লাইট জালিয়ে আমাদের সাহায্যকারী গ্রোপকে বার্তা পাঠালাম ।আস্তে আস্তে আমরা ব্রীজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আর তখন আমাদের সবারই হৃৎপিন্ডের গতি বেড়ে যাচ্ছিল । যদি কোন ভাবে রাজাকাররা অগ্রীম সংবাদ পেয়ে থাকে তাহলে নির্ঘাত মৃত্যু ।তার পরও কারও মনেই যেন কোন ভাবান্তর ছিল না । সবার মুখেই একটা উৎসাহ মিশ্রিত উত্তেজনা । আমি সে মুখে কোন উৎকণ্ঠা দেখতে পেলাম না । তাইতো ভাবি , কি দিন ছিল তখন , সকলেই জানতো যে কোন সময় এক সেকেন্ডের মধ্যেই যে কেহ মারা যেতে পারে । অথচ মৃত্যু ভাবনা যেন সকলেই ভুলে গিয়েছিল । আমাদের পিক আপটি ব্রীজের মুখে গিয়ে থামলো । তখন আমাদের টীম লীডার উর্দু ভাষায় কয়েকটি দাপট ছাড়লো , আর তাতেই কাজ হয়ে গেল । রাজাকাররা মনে করলো আমরা পাক সেনাদের লোক । তারা আমাদের অনুগত হতে তটস্থ হয়ে পড়লো । আমাদের গ্রোপ লীডার ই পি আর সিপাহী ছিলেন । বিধায় তিনি ভালই উর্দু বলতে পারতেন । তিনি গাড়ি থেকে নেমেই উর্দুতে নানা কথা জিজ্ঞেস করতে লাগলেন । আর সেই ফাঁকে আমরা এক এক জন রাজাকারের পাশে দাঁড়িয়ে পড়লাম রাইফেল আনগার্ড করে তাদেরকে বললাম—
রইফেল নীচে রাখ । তখন তারা বুঝতে পারলো আমরা পাক-সেনা নই । সকলেই বিনা বাক্য ব্যয়ে রাইফেল নিচে রেখে দিল । তাদেরকে বললাম—
ব্রীজ থেকে পানিতে ঝাপিয়ে পড়তে । কাল বিলম্ব না করে সকলেই পানিতে ঝাপিয়ে পড়লো । তারা কোন পেশাদার সেনা নয় বলে প্রথম বুঝতে পারেনি । তাদের আগেই বুঝা উচি ছিল যে সিভিল পিক আপে কখনও পাক সেনারা আসবে না । তাছারা আমাদের কারও মাথাতেই ক্যাপ ছিল না । কাজেই পেশাদারী সেনা বাহিনীর লোক হলে প্রথম দর্শনেই বুঝতে পারতো যে, আমরা পেশাদার সেনা নই যাই হোক আমরা একটি সহজ বিজয় পেয়ে গেলাম । তাতে ১০ টি রাইফেল সহ বিপুল পরিমান গুলি আমাদের হস্তগত হলো । সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিজয়ের সিগনাল হিসেবে আমরা ৫ রাউন্ড গুলি বর্ষন করলাম । বিজয়ের সিগনাল পেয়ে আমাদের সাহায্যকারী দল থেকে লোকজন দৌড়ে চলে এল । তাদের সহায়তায় গুলি বন্দুক নিয়ে ব্রীজ থেকে নীচে নামতেই সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি এলো , ব্রীজে কোন ডিউটি না দেখে এবং কিছুক্ষণ আগে গুলির শব্দ শুনে তারা ভেবে থাকবে ব্রীজের অস্র লুট হয়ে গিয়ে ছে । ফলে তারা ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে গেল । ঐ সময় আমরা ব্রীজের নীচেই দাঁড়ানো । পাক সেনারা ব্রীজের নীচে তাকালেই আমাদের দেখতে পেত । সৌভাগ্য বসত তারা তা না করে দ্রুত চলে গেল । সম্ভবত তারা নিজেরাও ভয় পেয়ে থাকবে, হয়তো এমনটা হয়ে থাকবে যে, মুক্তিরা সুবিধা পেলেই আক্রমন করবে । ফলে আমরা ভাগ্য গুনে কোন প্রকার ক্ষতির সম্মুখিন না হয়েও অনেক গুলি বন্দুক নিজেদের দখলে নিতে পেরে ফুর্তিতে টইটম্বুর হয়ে ক্যাম্পে ফিরে এলাম । স্বাধীনতা যুদ্ধ ব্যতিরেকে হয়তো কোন সময়ই এত বড় রিস্ক নিয়ে কেহ যুদ্ধে যাত্রা করবে না । কিন্তু তখন যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিল তাদের মনের মধ্যে কোন প্রকার মৃত্যু ভয় ছিল না বললেই চলে । আমরা রাজাকারদের ছেড়ে দিলাম ।কারণ আমরা নিশ্চিত ছিলাম না যে, তারা নিজেদের খুশীতে রাজাকারে এসেছে না কি পারিপার্শিক চাপে পরে রাজাকারে আসতে বাধ্য হয়েছে । কারণ তখনকার দিনে নিজেদের বাড়ি ঘর রক্ষা করার জন্যও কেহ কেহ রাজাকারে গিয়েছিল । আমরা তাদের ক্ষমা করেছিলাম । কিন্তু রাজাকার আল বদরের বংশদরদের রক্ত থেকে সেই প্রবাহ এখনও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি । তারা আজও এদেশের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলে । স্বাধীনতাকে তারা নস্যাৎ করে দিতে চায় । প্রকাশ্য সভা মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধার পাছায় লাথি মারে । এটাই কিএ দেশ বাসীর কাছে আমাদের প্রাপ্য ?