Today 11 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

আজ পহেলা ফাগুন বসন্তের প্রথম দিন।‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত।’ কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়-এর প্রকৃতিকে চ্যালেঞ্জ করা অমিয় বাণীটি ঋতুরাজকে আলিঙ্গনের আহ্বান জানায়। শীতের শেষে প্রকৃতিতে এসেছে মধু বসন্ত। চারদিকে রঙ্গের বিচিত্র সমারোহ। দক্ষিণা বাতাসে

 

এক বসন্ত পার হয়

দুই বসন্ত পার হয়

একে একে হাজার বসন্ত পার হয়…

তবুও জীবনকে মনে হয়

একটি কচি সবুজ লেবু পাতার মত

অযাচিত আনন্দ, আর ভালোলাগা

প্রত্যেকটি মানুষের কাছে থাকা

ভালোবাসাকে আরো বেশী করে

আচ্ছাদিত অনুভূতির দেয়ালে

যন্ত্রের শহরে পলাশ শাখে
নাই ফুল ফুটন্ত
তাতে কি! লেগেছে আজ
প্রাণে প্রাণে বসন্ত।
রাস্তায় নেমেছে ঢল দেখ ঐ
লাল সবুজ হলুদ বাসন্তির
মিলেমিশে বসন্তের গানে মাতাল
পরশ আনে মনের শান্তির।
কোকিল ডাকে না কুহু কুহু
শুনি না সুরেলা ধ্বনি
শিমুল শাখ নেই পাখি নেই
নেই ভ্রমরের

আম্র কাননে সুভ্র সকালে মুকুলে ভ্রমরার গুনগুন
ফুরফুরে হাওয়া পরম দোলায় আগমনে ফাল্গুন।
হৃদয় কোনে ধুকধুক মনে ভালবাসার স্পন্দনে
না দেখা নয়নে খুঁজি শয়নে স্বপনে সংগোপনে
জানাই ভালবাসা তোমায় এই ফাল্গুনে ।।

এই আলয়ে অপরূপ সুন্দর যাঁর ঈশারায়,
তাঁর সুপারিশে পারাপার সেই দরজায়,
ভালবাসা জানাই তাঁকে

ইচ্ছে না থাকলেও সে দিন নিরালায় মনির সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে গেল। খগেন ঠাট্টার সুরে বলেছিল,কি গো কেমন আছ ?

–তুমি কেমন আছ,খগেন,দা ? মনি নম্রতার সাথে বলে উঠে ছিল।

বাবাঃ,অনেক দূর নেমে এসেছে,মনে মনে কথাগুলি আওড়ে খগেন বলে উঠলো,ভাল রে ভাল। খগেনের মনে সেই

একুশ আমাদের বোধের পুনঃজন্ম,
লাঙ্গলের ফলার মত; বার বার মাটি কর্ষণে
চকচকে ক্ষুরধার; বার বার ঋতুবদলের মত
একান্তে বোধের শান দেওয়া।
ক্ষয়ে যাওয়া কাস্তে ভোতা মুখে,
কোনো কাজেই সারল্য লাভ হয় না; তাই শান দেয়ায়
তার ক্ষুরধার যৌবন ফিরে আসে; কৃষকের নাদাল সম্বল
পরিপক্ক শস্য দানায় কৃষকের

 

একুশ আমার, একুশ তোমার, একুশ হলো আমাদের সবারি,
অমর এই একুশ হলো পুত্রহারা মায়েদের বুকের আহাজারি।
ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিল যারা, তারাইতো ভাই আমাদেরি,
প্রাণ দিয়েছিল ভাইরা আমার, তাইতো তাদের স্মরণ করি।
তাদের জন্যই আজ আমরা, বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি,
নিজের ভাষায় কথা বলতে

হলুদ শাড়িতে তোমাকে বেশ লাগল মোহিতা
খোপায় জড়ানো ছিল হলদে ফুল,
তাই দেখে আমি ভুল করে বলে বসলাম
আজ পহেলা ফালগুণ।
শুনে তুমি সে কি হাসি
যেন আমার মস্তবড় ভুল,
মুখ ফুটে বললে-আজ বসন্তের প্রথম দিন।
আমি কিছুটা ভ্যাবাচেকা খেয়ে বুঝলাম
দুটোও সঠিক।
ততক্ষণে তুমি হেসে কুটিকুটি
যেন বিভ্রান্তিতে ফেলে

সুখ সাগরে অবগাহন নিমিত্তে
তুমি খুলে ফেল সত্যের বসন।
লাজের অবগুণ্ঠন উন্মুক্ত করে
তুমি কর নির্লজ্জ স্বার্থের তোষণ।
বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে
বিবস্ত্র দেহ ভাসাও জোয়ারে।
অবজ্ঞা কর নৈতিকতার তীক্ষ্ম নজর
তালা মেরে দু’চক্ষু দুয়ারে।

বিবেকের লাইনচুত্য হয়ে
তোমার হেয়ালী বগি মাড়ায় ধানক্ষেত।
কারো অনিষ্ট তোমার মাথাব্যথা নয়
তোমার স্বার্থই

নদী ধায় অজানা
অচেনার পথে
জানে না কোথা
সংগম কার সাথে ।

ঢেউয়ের তালে তালে
বাঁজায় বীণা
কখনও ঝড়ের তাণ্ডবে
কাঁপে সিনা ।

হর রোজ নদীতে
জোয়ার আসে
জীবন নামের নৌকাতেও
বসন্ত হাসে ।

চলতে চলতে নদী
সাগরে মিশে
জীবনও যায় থেমে
মরণের  বিষে ।

go_top