বসন্ত কি শুধু এজনের…
গাছের পাতা হলুদ হলে
কোকিল কুহ ডাক দিলে
মনটা হঠাৎ হারিয়ে গেলে
একাকীই কি মনে আগুন জ্বলে…?
তখনতো তুমিও
হাত বাড়াও ভালোবাসায় উজার করা
কোন এক জীবন তানে….
বসন্ত কি একাই আসে
শুধু
( উৎসর্গ : ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে-ভালবাসাহিন সকল-কে )
************************************* ********************
তুমি বল্লে আমি পারবোনা চাঁদ এনে দিতে
দাও যদি তোমার ভালোবাসার শতো দায়,
তুমি বল্লে আমি পারবোনা সূর্য এনে দিতে
যদি ধরো দু-হাতে আমার দুটি পায়।
তুমি আমায় ভালবাসা দাও সখি
আমি এনে দেবো আকাশের সব নীহারিকা,
এনে
দুধ সাদা হাজরে আসওয়াদ
পাপের কালিমায় কালো বরণ।
পাপের নেশায় মাতাল হয়ে
পাপের গভীরে একরোখা সরণ।
বিবেকবর্জিত ইচ্ছের দাম্ভিক পথতলে
লুটোপুটি খায় খোদার কালাম।
খিস্তির অশ্লীল শব্দ মুখস্থ করে
ভুলে যাও শালীন সালাম।
সহনশীলতা যেন দুর্বলতার সমার্থক
খায়েশ মত লুটো ফায়দা।
সরলতার দরবারে অসহায়ত্বের মুখোশ পরে
স্বার্থ আদায়ের কুট কায়দা।
ইচ্ছে যেন
তখন আমি জল পান করেও
নেশাগ্রস্থ হই,
যখন সে জলের পাত্র তোমার
হাতের স্পর্শ পায়।
তখন আমি বাতাস নিঃশ্বাসে নিয়েও
মাতাল হই,
যখন সে বাতাসে মিশে থাকে তোমার
শরীরের গন্ধের মাদকতা।
তখন আমি ঘুমের মধ্যে থেকেও
মদ্যপ হয়ে উঠি,
যখন তোমার মৃত্যুহীন হাসি আমার
স্বপ্নের আকাশে ভাসতে থাকে।
বাংলা মোদের মায়ের ভাষা
বাংলা মোদের প্রাণের ভাষা,
ত্রিশ লক্ষ শহীদের দান
তুমি বাংলা অমর দান।
তোমার জন্য দিয়েছে প্রাণ
করেছে নিজেকে শেষ,
অবাক হয়ে চেয়ে রয় পৃথিবী
তোমাদেরি আত্নত্যাগে।
ভাষার জন্য প্রাণ দিতে পারে
চেয়ে দেখে বিশ্বমানব-
অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়।
শুধু একটি মুখের ভাষার জন্য
প্রাণ দিয়েছে ঝাকে ঝাকে
নিজের রক্ত
কাছাকাছি দুটি বাতায়ন
হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায় হাত
যেমন খুশি চালাতে পার ইচ্ছে ঘুড়ি,
গভীর রাতে, তোমার নিশ্বাসের শব্দ
আনমনা করে আমায়,
এত কাছে, তবু এত দূরে
দেখাদেখি প্রতি ভোরে !
চোখের ভাষায় বর্ণমালারা জলছবি আঁকে
শব্দের মালা গাঁথে কবি
উদোম পাথর খিলখিল হাসে
কখনো দুরন্ত ট্রেন পাতায় মিতালি
ক্ষণিক ভাললাগার স্পর্শ বাড়ায়