Today 10 Oct 2025
Top today
Welcome to cholontika

আমার মা, একুশে ফেব্রুয়ারী

প্রায় তিন থেকে চার বছর,
মায়ের সাথে কথা হয় না; যদিও বহু কষ্টে
ভাল আছিস বাবা! মুখ দেখে চেয়ে থাকে চেনার চেষ্টা করে
কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারে না।
যদিও মনে হয় চেনা চেনা তার,
নাম বলতে পারে না; মাতৃভাষার ফেব্রুয়ারী
প্রাণ খুলে

 

২১শে ফেব্রুয়ারীতে

ভালোবাসি বলতে গেলেও যারা একুশ এনেছে

তারাঁ ভাবেনি আমার ভাষা

কখনও অনাদরিত হবে

কখনও শ্রদ্ধা হারাবে….

অথবা অন্য কোন ভাষার কাছে

নিজের স্বকীয়তা হারাবে….

 

যাঁরা একুশ এনেছে

চেতনায় ভাষার যতনে

হৃদয় কাপিয়ে, উম্মাতাল ছন্দে

মরু ভূমির বালুর উপর
গড়ে ওঠা উচু পাহাড় ,
রাখালের গান বাঁশীর সুরে
হৃদয়ে কম্পন ওঠে সবার ।

দুপুরের খর তাপ রোদে
গাছের নিচে ঘুমিয়ে রাখাল
স্বপ্ন দেখে নিয়ে কিশোরী ,
থাকবে কোথায় তারা দুজন
রাখিবে কোথায় সে স্বপ্নপুরী ।

কাল বৈশাখীর ঝড়ের শব্দে
ভেঙ্গে যায় রাখালের ঘুম ,
হঠাৎ উঠে

আবারও সময় আসবে
স্বপ্নগুলো হাওয়ায় ভাসবে।
থাকবে আলো আঁধারির লুকোচুরি
এক একটা স্বপ্ন হবে এক একটা নূড়ি।
স্বপ্নগুলো ধরবো আমি হাতড়ে হাতড়ে
আলো ছায়ায় বেড়াবো সাঁতরে সাঁতরে।
রাতটা ক্রমেই যদি হয় কালো নিকষ, নিরব
জাগিয়ে আমি রাখবই, রাত্রিজুড়ে স্বপ্ন থাকবে সরব।
অন্তত সেই নিকষ রাত্রিতে পরস্পরের

(১)

 

পান গাঁও থেকে আনুমানিক ১১ মাইল দূরের কুর্মিটোলা অর্ডন্যান্স ডিপো অফিসে যেতে হবে সাইকেল চালিয়ে।

 

সূর্য ওঠার আগেই কেরানীগঞ্জের পান গাঁও-এর জায়গীরদারের বাড়িতে হারিকেনের আলোয় শীতের মধ্যে বসে দু-মুঠো ঠান্ডা ও শক্ত ‘কড়কড়া’ ভাত একটু

গালে গাল রেখে বলি

মাগো তোকে ভাল বাসি।

বাংলা তোর ভাষা
মোরা সে ভাষারই চাষি,
কে ভাঙ্গে তোর মনের আশা,
কোন সে অভিলাসি ?
মাগো তোকে বড্ড ভাল বাসি,
মোরা তোর ভাষারই চাষি ।।
রক্তে ভেঁজাই রাজপথ,
হই জলন্ত অগ্নিকুন্ড
লড়ে যাই,বেঁচে থাকি
মরে যাই ভাবিনা এক দন্ড ।
মোরা বাংলার

জেগে আছি এখনও , যদিও
প্রহরের পর প্রহর নিশি যায়
নক্ষত্র মালা ধরে নানা রঙ
আদমসুরত , কালপুরুষ ক্ষণে ক্ষণে বদলায় স্থান
শুকতারা করে উঠি উঠি

হঠাত ধূমকেতুর দুরন্ত চলা ভাবনারে করে এলোমেলো
ইচ্ছে ঘুড়ি মেলে পুচ্ছ
লাল ,নীল, হলুদ কাতান পরে
সহসাই আজিব উষ্ণতা ঘিরে ধরে, এই

সেদিনও ফাগুন ছিল,
বসন্ত ছিল এই বাংলায়।
বাগানে বাগানে ফুটেছিল ফুল,
ভ্রমর মেতেছিল ফুলের বনে, গুঞ্জরণে।
গাছে গাছে ফুটেছিল শিমুল, পলাশ আর কৃষ্ণচূড়ার লাল।
ছিল কোকিলের কুহুতান।

হঠাৎ ফুলগুলো সব ঝরে গেল!
কোকিলের গান থেমে গেল!
সালাম বরকত রফিকের রক্তে রঞ্জিত হল রাজপথ,
ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রুতে নদী হল

বছর ঘুরে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি
আবার এল বাঙ্গালী জাতির তরে,
তাঁদের কথা কেমনে ভুলে যাই
যাঁরা মাতৃভাষার জন্য জীবন দিল অকাতরে।

যাঁদের ত্যাগে পেলাম মোরা
বাংলা ভাষার স্বাধীনতা,
তাঁরা শহীদ গাজী হয়ে
দখল করে নিল ইতিহাসের পাতা।

তাঁদের তুলনাহীন অবদানে
তাঁরাই হলেন শ্রেষ্ঠ বীর
তাঁরাই খাঁটি দেশপ্রেমিক
উঁচু হলো তাঁদের শির।

একুশ মানে ভালোবাসা, একুশ মানে লড়াই
একুশ মানে বিশ্বজুড়ে, ভাষা নিয়ে বড়াই

একুশ মানে মাথা উঁচু, গর্ব করে চলা
একুশ মানে বুক ফুলিয়ে, সত্য কথা বলা

একুশ আমার মায়ের মতো, দেশকে ভালোবাসা
একুশ আমার সুখে-দুখে, বেঁচে থাকার আশা…

go_top